আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পথ জানে না: মোজাম্মেল হক

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে। একটি নির্বাচনের ব্যালটের মাধ্যম অপর দুটি গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান।

আওয়ামী লীগ সবগুলো পথই ব্যবহার করতে জানে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথই জানে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টে ৮০ ও ৯০ দশকের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে না গিয়ে ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, মানুষ হত্যা করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। অথচ এগুলো করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। কোনো প্রভু এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেএমন ধারণাও অবান্তর। তাই ক্ষমতায় যেতে হলে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে, নির্বাচনে যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২৯ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন জিয়া, এরশাদ ও খালেদা, এ সময় তারা দেশকে সারাবিশ্বে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর আর তার কন্যা শেখ হাসিনার সাড়ে ১৮ বছর সব মিলিয়ে ২১ বছরে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ জাতির দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাস ব্যতিক্রম ও গৌরবের।

সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাদি শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

এতে বক্তব্য রাখেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জিএস গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারুউজ্জামান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব আবদুল হালিম সরকার, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা হিরা সরকার প্রমুখ।


আরও খবর



হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ।

সৌদি রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।

এই সহযোগিতার কারণ হিসেবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাত থেকে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালিত করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ। সৌদি আরব কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। সেই সঙ্গে যেসব দেশ যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদেরকেও সমর্থন করে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল তা পরিষ্কার। গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।


আরও খবর



সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ফলে সিলেট নগরীর কিছু অংশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ থাকলেও জেলার অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাইভোল্টেজের তারের স্পা‌র্কিং থেকে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কা‌দির বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে হাইভোল্টেজের তারের স্পা‌র্কিং থেকে কেন্দ্রে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে।

এ ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলি পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৭৭ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া সব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



মূল্যবান খনিজ জমিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ডংগিংয়ে গতবছর নতুন জ্বালানি তেলের একটি ডিপো নির্মাণের কাজ শেষ করেছে চীন। আর চলতি বছরের শুরু থেকেই সেখানে নজরে আসছে তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ব্যস্ততা। কৌশলগত জ্বালানি মজুত হিসেবে অভিহিত ডংগিংয়ের এ বিশাল তেলের ডিপোর ধারণ ক্ষমতা ৩ কোটি ১৫ লাখ ব্যারেল। মূলত রাশিয়া থেকে ভর্তি হয়ে আসা ট্যাংকারগুলোই এখানে খালাস করছে তাদের তেল। দ্রুত খালাস করেই নতুন চালান ভরতে চীনা ট্যাংকারগুলো ফের ছুটছে রাশিয়ার বন্দরগুলোর উদ্দেশ্যে।

যেভাবে তেলের মজুত বাড়াচ্ছে চীন

দিন দিন রাশিয়া থেকে চীনের এ জ্বালানি আমদানি বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দিনে গড়ে ২১ লাখ ব্যারেল তেল মস্কো থেকে আমদানি করছে বেইজিং। টানা দুবছর ধরে বেইজিংয়ের জ্বালানি সরবরাহের প্রধান উৎস মস্কো। এতো বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কেনার মাধ্যমে চীনের কৌশলগত জ্বালানি তেলের মজুত বর্তমানে উঠানামা করছে ২৮ কোটি থেকে ৪০ কোটি ব্যারেলের মধ্যে।

যেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জ্বালানি মজুতের পরিমাণ ৩৬ কোটি ব্যারেলের আশপাশে। শান্তিপূর্ণ সময়ে চীনের দৈনিক জ্বালানি চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেল। এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময়ের তেলের মজুত নিজের হাতে ধরে রেখেছে চীন।

চীনের তেলের মজুত গড়ে তোলার এ পরিসংখ্যানই পশ্চিমা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক মহলকে উদ্বিগ্ন করে তোলার জন্য যথেষ্ট। তাদের ধারণা, সামনে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা আঁটছেন চীনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর অংশ হিসেবেই দ্রুত ডংগিংয়ের মতো এসব ডিপোকে তেলে ভর্তি করছে বেইজিং।

অন্যান্য খনিজের মজুতও বাড়াচ্ছে চীন

শুধু জ্বালানি তেলই নয়, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কৌশলগত প্রায় সব শিল্প কাঁচামালের মজুত গড়ে তুলছে বেইজিং। পশ্চিমা মহলের ধারণা, ভবিষ্যতে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি কিংবা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানকেই এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বেইজিংকে সুযোগ করে দিচ্ছে ডিসকাউন্ট দরে মস্কো থেকে তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল কেনার ব্যাপারে। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি অনেক সস্তায় মস্কো থেকে নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ কিনতে সক্ষম হচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলো। আর চীনের এ মূল্যবান ধাতু কিনে মজুত করার প্রবণতার গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর আরোপ করা সর্বশেষ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা।

বিশ্বব্যাপী লিথিয়ামের এক-তৃতীয়াংশই চীনের কব্জায়

এসব ধাতুর পাশাপাশি বেইজিংয়ের নজরে রয়েছে বর্তমান যুগের অন্যতম মূল্যবান খনিজ পদার্থ হিসেবে পরিচিত লিথিয়ামের ওপরও। ব্যাটারি শিল্পের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে চীন মজুত বাড়িয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না; বরং বিভিন্ন দেশে থাকা লিথিয়ামের খনি থেকে শুরু করে পরিশোধনাগার পর্যন্ত কিনে ফেলতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইউবিএস গত মার্চে জানায়, এভাবে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের সব লিথিয়াম সরবরাহের তিন ভাগের একভাগই চলে যাবে চীনের কব্জায়।

অবশ্য চীন অনেক আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ধাতু ও বিরল মৃত্তিকার মতো খনিজ পদার্থের মজুত গড়ে তুলছে। এ ব্যাপারে মার্কিন খনি বিষয়ক দফতর ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনের হাতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, কপার, গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, ইরিডিয়াম, ট্যানট্যালাম, টিন, টাংগেস্টন, জিংক ও জিরকোনিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য বিরল মৃত্তিকা পদার্থের মজুত রয়েছে। এরপরের বছরগুলোতে চীন এসব খনিজ মজুত করার তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে।

চীন স্বর্ণের মজুদও বাড়াচ্ছে, টান পড়ছে সারা বিশ্বে

শুধু এসব খনিজ পদার্থই নয়, বরং স্বর্ণের মজুতও দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং। আর এ স্বর্ণ শুধু সরকারই কিনছে না, বরং চীনের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে বেড়ে গেছে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা। মূলত চীনাদের এ স্বর্ণ কেনার প্রবণতাই বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামকে রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪শ ডলারে।

মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনেই চীনের এ স্বর্ণ কেনার উদ্দেশ্য বলে কেউ কেউ মনে করছে। তবে এর পেছনে দেশটির জনগণের একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। তাদের মতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা আঁচ করতে পেরেই চীনের এলিট সমাজ তাদের সম্পদ দেশের বাইরে জমা করার বদলে দেশেই নিজের হাতের নাগালে রাখতে চাইছেন। আর স্বর্ণ কিনে জমা রাখার মাধ্যমেই তা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব। অর্থাৎ চীন যে তাইওয়ানকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাচ্ছে, সে বিশ্বাস দানা বাঁধছে চীনের সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

টার্গেট তাইওয়ান, ডেডলাইন ২০২৭

জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মজুত চীন যেভাবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে নিচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের সামরিক বাহিনীকেও ব্যাপকভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করছে বেইজিং। এমন এক সময়ে এই সামরিকীকরণ চলছে যখন তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বেরও উত্তেজনার পারদ বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। আর চীনের এসব প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন সামরিক মহল। মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন শি জিনপিং তাইওয়ান দখলে তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আর এজন্যই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কিছুটা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং।

এ ব্যাপারে সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত নৌবাহিনীর সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুলিনো বলেন, অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা সত্ত্বেও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চীন সচেতনভাবে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। যা কিনা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে।’

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি বিষয়ক ব্লগিং সাইট ওয়ার অন দ্য রকস’-এ নিজের এক লেখায় মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের পরিচালক অ্যাডমিরাল মাইক স্টুডম্যান বলেন, শি জিনপিং (চীনা প্রেসিডেন্ট) তার দেশকে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত করছেন। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য এক বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য শি জিনপিং চীনা সমাজকে সামরিকীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বর্মে মুড়িয়ে ফেলছেন।’

এর অংশ হিসেবেই চীনা কর্তৃপক্ষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামালের একটি কৌশলগত মজুত গড়ে তুলছে বলে মনে করেন মার্কিন এ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো, সেই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই বেইজিং এই মজুত গড়ে তুলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাইক স্টুডম্যান আরও বলেন, ২০২২ সালে চীনের শীর্ষে নেতৃত্বের যে রদবদল, সেখানেও শি জিনপিংয়ের এ যুদ্ধ প্রস্তুতির ইঙ্গিত রয়েছে। বেছে বেছেই তাইওয়ান সম্পর্কে অভিজ্ঞদের নিজের ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে চীনের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ পলিটব্যুরোর ২৪ সদস্যের মধ্যে ১৫ জনকেই মনে করা হয় তাইওয়ান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ।

এমনকি তাদের মধ্যে সামিল রয়েছেন এমন একজন সামরিক কর্মকর্তা, পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে তার আগের ধাপ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তিনি। তাইওয়ান বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতাই পলিটব্যুরোতে জায়গা করে দেয় তাকে। এ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সাবেক কমান্ডার। আর তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের যেকোন সামরিক অভিযানের সার্বিক দায়িত্ব প্রথমে এই ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের ওপরেই বর্তাবে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি চীনের, দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা বিশ্ব

তবে চীন যখন দ্রুত তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে, তখনও চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা মহল। জ্বালানি ও কাঁচামালের আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বেইজিংকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে এখনও দৃশ্যমান কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির মাইক্রো চিপ থেকে চীনকে বঞ্চিত করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত। বরং চলতি মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস চীন সফরের মধ্যদিয়ে এ বার্তাই দেয়া হচ্ছে যে, ইউরোপীয়রা চীনের সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্যিক সহযোগিতা বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহী।


আরও খবর



গরমে ক্লান্তি দূর করবে চিয়া সিড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে লেবুর ঠান্ডা পানি মন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেই গলা ভেজান কোল্ড ড্রিংসে। এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোল্ড ড্রিংস ছাড়ুন। এই গরমের ফল আর সুপারফুড চিয়া সিড দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এতে ক্লান্তি দূর হবে।

এই বীজে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মুক্তি দেয়। রক্তে সুগার লেভেল ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চিয়া সিডের মধ্যে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

চিয়া সিডের শরবত বানাতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তবে, এই চিয়া সিড পানিকে আরও মজাদার বানাতে পারেন।

লেবু ও চিয়া সিডের পানি : পাতিলেবুর রস দিয়ে লেবুর পানি বানিয়ে নিন। চিনির বদলে এই পানিতে মধু মেশান। কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এই লেবুর পানিতে চুমুক দিন। এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

তরমুজ ও চিয়া সিডের পানীয় : তরমুজের শরবত শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের শরবতের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে দিলে এর স্বাস্থ্য গুণ বেড়ে যায়। ব্লেন্ডারে তরমুজ ব্লেন্ড করে নিন। এবারে এতে পুদিনা পাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এই পানীয় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর খান। শরীরে সতেজতা এনে দেবে এই পানীয়।

নিউজ ট্যাগ: চিয়া সিড

আরও খবর