ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা
শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, মহাসমাবেশ ঘিরে
২৮ অক্টোবর বিএনপির হামলা-ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। সিনিয়র
নেতাদের নির্দেশে তারা এসব সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রোববার রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। হামলা-ভাঙচুর ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়
আরও ৬ জনকে গ্রেফতারে পর তাদের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ডিবি প্রধান বলেন, শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বিএনপি কর্মী ইসমাইল পাটওয়ারী, শ্যামপুর
থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের
সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু ও যুবদলের কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ এবং
মোস্তফা কামাল সুমন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিন (২৯)।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের
নির্দেশে নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনাগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই এ বিষয়টি স্বীকার
করেছেন।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজে
দেখা গেছে ইসমাইল লাঠি হাতে ও তার পাশে একজন অস্ত্র হাতে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে
ব্যাপক মারধর করেছেন।
এদিকে রনি, মুরাদ ও মাসুদ সিসিটিভি ও গাড়ি
ভাঙচুর এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও পুলিশের ওপর হামলার কথা স্বীকার করেছেন।