আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার জন্য বিএনপি এবং তার চরমপন্থী জামায়াতে ইসলামী মিত্রদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রতিনিয়ত ব্যাহত করার চেষ্টা করছিল। তারা সহিংসতার আশ্রয় নিয়ে ২০১৪, ২০১৮ এবং তারপর ২০২৪ সালের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের জনবিরোধী কার্যকলাপ প্রত্যাখ্যান করায় তারা সফল হতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের দিল্লিতে ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়ায় (এফসিসি, সাউথ এশিয়া) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এফসিসি সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক ভেঙ্কট নারায়ণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ নন্দ সূচনা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন>> বিএনপিকে ভুলের খেসারত অনেক দিন দিতে হবে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপিকে রাস্তার বিরোধী হিসেবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ (সরকারি) স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এমনকি তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবন এবং গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে, যার ফলে দুইজন নিহত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, তাদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমনকি ইউরোপের কিছু দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তুলনায় আমাদের ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুক্ত সমাজ, সেহেতু সবার স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে। এই সুযোগ নিয়ে কিছু মহল ভারত, চীন এমনকি আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিতে পারে। কিন্তু এই ট্যাবলেট এখন আর কাজ করে না।

ধর্মান্ধরা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী তাস খেলেছে মন্তব্য করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক ভারতীয় সাধারণ জনগণ এবং সৈন্যরা তাদের জীবন উৎসর্গ করায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। কাজেই এই সম্পকর্কে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।

ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছিল কিন্তু রাজ্য সরকার এতে আপত্তি করে।

তিনি বলেন, যেহেতু আপনারা (ভারত) মার্চ বা এপ্রিল বা মে মাসে নির্বাচন করছেন, তাই নির্বাচনের পর আমরা আবার সরকারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব এবং আমি আশা করি আমরা এর একটি সমাধান খুঁজে পাব। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ একটি বহুত্ববাদী সমাজ হওয়ায় আমরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখি। বাংলাদেশ একদলীয় রাষ্ট্র নয়, এটি একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। গত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টির মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

সীমান্তে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে একজন বিজিবি সদস্যের লাশ পাওয়া যাওয়ার পর তারা বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছেন। আমরা সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছিলাম এবং ভারতীয় পক্ষ এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং ঘটনাটি উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে।

চীন সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদিও চীন আমাদের পাশের প্রতিবেশী নয়, তবে এটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী এবং চীনের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, দেশটি বাংলাদেশের একটি প্রধান উন্নয়ন সহযোগী।

এছাড়া তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা আমাদের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে দেশের আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন।


আরও খবর



এখনো বাইরে ৪৬ হাজার অস্ত্র, জমা দেওয়ার শেষ সময় মঙ্গলবার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এসব বৈধ অস্ত্রের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি, অর্থাৎ এখনও জমা হয়নি ৪৬ হাজারের বেশি অস্ত্র। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দিতে হবে সব অস্ত্র।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান চালানো হবে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে সব বাহিনীর সমন্বয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলবে। আজকালের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে।

একটি সূত্র জানায়, গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সম্প্রতি থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়ে এতে জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা-ঢাকা দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গুলি করার অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নির্বিচারে গুলি করায় সরাসরি জড়িত এবং পলাতক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, জেল পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর দেওয়া হবে।

পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত লুণ্ঠিতসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি। গুলি জব্দ করা হয়েছে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড, টিয়ার গ্যাসের শেল ২২ হাজার ২০১টি ও সাউন্ড গ্রেনেড দুই হাজার ১৩৯টি।

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।

এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গুলি জমা না দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানকে ভাটার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান মিজান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রংধনু গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গ্রুপটির বিভিন্ন কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: রংধনু গ্রুপ

আরও খবর



উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া কুতুপালং ২০ নম্বর ক্যাম্প ও ৪ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ২০ নম্বর ক্যাম্পের আবুল কালামের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৭) ও ৪ নম্বর ক্যাম্পের গণি মিয়ার ছেলে রহমতুল্লাহ (২৫)।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উখিয়া ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাত ১০-২০ জন সন্ত্রাসী রহমত উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় আবদুল্লাহ নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।

অপরদিকে ২০ নম্বর ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে তুলে নিয়ে ইমাম হোসেন নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেন। তবে কে বা কারা সেটি করছে তা জানা যায়নি। এ মূহুর্তে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



পাথরঘাটায় জাতীয় ইমাম সমিতির কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার পাথরঘাটায় জাতীয় ইমাম সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি হয়েছেন মাওলানা মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ক্বারী সাইফুল ইসলাম।

শনিবার (৩১ আগষ্ট) সকল ১০টায় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে জাতীয় ইমাম সমিতির আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন করা হয়। এসময় উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক ইমাম ও খতিব উপস্থিত ছিলেন।

তাইফান্ড জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি এমদাদুল হোসেন। বিশেষ অতিথি জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা জহিরুল হক, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মাওলানা জামাল উদ্দিন, পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ শামীম আহসান, পাথরঘাটা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সাভাপতি ডাঃ সোহাগ বাদশা, পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হাফেজ মাওলানা মাসুদুল আলমকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ক্বারী সাইফুল ইসলাম ও হাফেজ মোঃ রাকিবুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সন্ধান মিলেছে। শাহবাজপুর ও ইলিশায় ২.৪২৩ টিসিএফ এবং চর ফ্যাশনে ২.৬৮৬ টিসিএফ মজুদ গ্যাসের সন্ধান মেলে। এর বাজার মূল্য সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক টিসিএফ গ্যাস দিয়ে দেশের এক বছরের গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা যায়। সেই হিসেবে মজুদ এই গ্যাস দিয়ে বাংলাদেশ অন্তত পাঁচ বছর চলতে পারবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রমের যৌথ গবেষণায় গ্যাস মজুদের এ তথ্য মিলেছে। গবেষণাটি ২০২০ সালে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুনে শেষ হয়। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ, পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সে গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বর্তমানে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করছে। খোলাবাজার প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দর ১০.৪৬ মার্কিন ডলার, সেই হিসাবে ৫.১০৯ টিসিএফ গ্যাসের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ভোলার শাহবাজপুর থেকে ইলিশা পর্যন্ত ৬০০ বর্গকিলোমিটার থ্রিডি সিসমিক সার্ভে করা হয়। এতে ২.৪২৩ টিসিএফ উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়। ভোলার চরফ্যাশনে ১৫২.৬ লাইন কিলোমিটার টুডি সিসমিক সার্ভে করে ২.৬৮৬ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়।

গ্যাজপ্রমের মুখপাত্র এলেক্সি বেলবেজিয়াভ বলেন, গবেষণাটি আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করা হয়েছে, যেখানে সিসমিক ডাটা, অয়েল লক ডাটা, কোর ডাটা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার, সুপার কম্পিউটার সিস্টেম এবং উন্নত মানের ল্যাব ব্যবহার করার ফলে গবেষণার তথ্যগুলো খুবই নির্ভরযোগ্য।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, গবেষণার প্রতিবেদনটি নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনতে ভোলা-বরিশাল, বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপলাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলএনজি ও সিএনজির মাধ্যমে ঢাকায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শিগগিরই এর একটি টেন্ডার দেওয়া হবে। এখন থেকে সব কাজ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হবে। একাধিক কোম্পানিকে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। এই গ্যাস পেলে এলএনজি আমদানি সীমিত করা হবে।


আরও খবর