আজঃ রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি গভীর হতাশায় নিমজ্জিত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই তারা আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে নিন্দা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না- গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শপরিপন্থী এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। একই সঙ্গে নির্বাচন বানচালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন: জুনে প্রকাশ করা হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোথাও নিজেরা মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। কোথাও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের ওপর নিজেরাই বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন: কেন বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমান?

ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হয় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম। জনগণই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের নামই আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, বিএনপি যত দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধর্না দেবে ততই তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি প্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।


আরও খবর



ত্বকী হত্যার ঘটনায় আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ শেখকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা থেকে জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ত্বকীকে হত্যার পর মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলার জন্য যে গাড়িতে রাখা হয়েছিল, সেটি চালিয়েছিলেন জামশেদ।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ত্বকী হত্যার সঙ্গে তার সরাসরি যোগ ছিল।

ত্বকী হত্যার ঘটনায় এর আগে রোববার ও সোমবার সাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদার নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আজমেরী ওসমানের পাশাপাশি র‌্যাবের তদন্ত তালিকায় তাদের নাম ছিল। বর্তমানে তাদের র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

র‌্যাবের ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় ত্বকীকে। এরপর তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

ত্বকী হত্যার ঘটনায় এর আগে ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ব্রমোর, রিফাত, তায়েব উদ্দিন ও সীমন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ ও সুলতান ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ স্বীকার করেন। বাকি পাঁচজন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক আছেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নিখোঁজ হয়। পরদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের গোপন তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ত্বকীকে অপহরণ করে এবং পরে নির্যাতন করে হত্যা করে।


আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নতুন স্বাধীনতা পেয়ে সব ব্যাথা ভুলে গেছি : গুলিবৃদ্ধ আবু সাঈদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললেও এরপর শুরু হয় তাণ্ডব লীলা। চলে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ গুলি ছুড়লে আবু সাঈদের ডান পায়ে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে সড়কে পরে যায় সাঈদ। পরে আন্দোলনকারীরা তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জুলফিকার আলী ও বিলকিস বানু দম্পতির একমাত্র ছেলে আবু সাঈদ। হাসপাতালে ছাত্রলীগের ভয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দেয় চিকিৎসক। তীব্র ব্যাথা আর অচল পা নিয়ে বাড়িতে ফিরেন আবু সাঈদ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানেও কোন কারণ ছাড়াই দেয়া হয় রিলিজ। বর্তমানে তীব্র ব্যাথা ও পায়ে ভর দিতে পারছে না সাঈদ ৷ পায়ে গুলি থেকে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে তার পরিবার। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান তাদের।

আবু সাঈদের সহপাঠীরা বলেন, গুলি লাগার পরে দিনাজপুরে চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো সাঈদ পা ফেলতে পারতেছে না। তার পায়ে অনেকগুলো ছিটা গুলি আছে। সেগুলো থাকায় হাটতে পারতেছে না। বন্ধুর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

সাঈদের স্বজনরা বলেন, সাঈদ তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। হাটতে না পারলে তার পরিবারের দায়িত্ব কিভাবে নিবে সে। পড়ালেখা করা সাঈদ এখনো হাটাচলা করতে পারছে না। তার ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন যেন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন আবু সাঈদ। বাঁধা দিলেও শোনেননি মায়ের কথা। একমাত্র ছেলের পা স্বাভাবিক না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় তাঁর মা বিলকিস বানুর। তিনি, বলেন, আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমাদের। এখন ডান পায়ের এমন অবস্থায় আমাদের পরিবারের সবাই ভেঙ্গে পড়েছি। ছেলের পা যেন দ্রুত ঠিক হয় সেজন্য সকলের সহযোগিতা চান।

চিকিৎসক আটটি গুলি বের করলেও এখনো অনেক ছিটা গুলি পায়ে রয়েছে। যা প্রতিনিয়তই তাকে পিড়া দিচ্ছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়ালেও নেই কোন আফসোস। পায়ের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতার স্বাদে তৃপ্তি পেয়েছেন আবু সাঈদ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জানান, সকাল থেকে ভালো ভাবেই আন্দোলন চলছিল। দুপুরের পরে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। আমাকে শহরের চৌরাস্তায় কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। পরে আমি পড়ে গেলে আশেপাশের সকলে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক বলে সমস্যা নেই। পরে বাসায় চলে আসি। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলে দিনাজপুরে গিয়ে আটটি ছিটা বুলেট বের করে। এখনো অনেক বুলেট আছে। বুলেট থাকায় পা মাটিতে ফেলতে পারছি না। বাকি বুলেট বের করার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য রংপুর বা ঢাকা যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পায়ের ব্যাথার জন্য যত কষ্ট পাচ্ছি তার থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছি আমার শহীদ ভাইদের জন্য। তারপরেও স্বাধীনতা পেয়েছি সেজন্য অনেক ভালো লাগছে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও ৮ এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও আট সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

দেশত্যাগে যাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সাবেক প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম বকুল, এ কে এম সরওয়ার জাহান, শেখ আফিল উদ্দিন, মেহের আফরোজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শেখ হেলাল উদ্দিনকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ১০ মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক আট মন্ত্রী ও পাঁচ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সাবেক মন্ত্রীরা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।


আরও খবর



‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে দায়েরকৃত রিট সরাসরি খারিজ চেয়েছেন রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম. আসাদুজ্জামান।

শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি আদালতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনা যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী আছেন তারা দলের মতাদর্শ ধারন করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারের বলেন, যিনি রিট করেছেন তার কোনও এখতিয়ার নেই এটা করার। রিটে আওয়ামী লীগকে বিবাদী করা হয়নি। সারডা নামের সংগঠন যে রিট করেছেন তার গঠনতন্ত্রও এ ধরনের রিট করার অনুমোদন দেয় না।

তিনি বলেন, অতীতে অনেক রাজনৈতিক বিষয়কে কোর্টে টেনে আনা হয়েছে। যার মূল্য আমাদেরকে দিতে হয়েছে। যে গণঅভ্যুত্থানটি হয়েছে তা বিচার বিভাগের ওপরেও এসেছে। কোর্টে কোনও ঘটনা হলে আইনজীবী হিসাবে আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। এজন্য মাঠের রাজনীতি মাঠেই থাকুক। সেজন্য রিট সরাসরি খারিজ করে আবেদনকারীর ওপর কস্ট (খরচ) আরোপ করা হোক।

পরে রিটকারী সময় চাইলে ১ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।


আরও খবর



লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে আন্দোলন দমানো হয়েছিল: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ মাইনুল হাসান।

আজ শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

অপেশাদারিত্বের কারণেই পুলিশ ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আন্দোলনে অনেকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে অভ্যুত্থান দমনের অপচেষ্টা করেছেন। সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থাও চলমান রয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি পুড়েছে, অনেক পুলিশ আহত- নিহত হয়েছে। যার জন্য এখনো অনেকটা আতঙ্কে আছে এ বাহিনী। তাই পুলিশ পূর্ণরূপে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।

এ সময় পুরো বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অপেশাদার আচরণ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তার ওপর আস্থার সংকট আছে তারা আর থাকবেন না। নতুন মুখ দেখতে পাবেন।

সাম্প্রতিক ঘটনায় হওয়া মামলায় ক্রিকেট তারকা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নাম কীভাবে এলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল হাসান বলেন, সহিংসতায় অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ বা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে উসকানি দিয়েছেন। এমন নানা বিষয়ে তাই মামলা হতেই পারে। আমরা তদন্তের সময় প্রমাণ সংগ্রহ করব।

যারা ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক সামলেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মাইনুল হাসান বলেন, যারা মনোবল বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। এখন ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএমপিতে নিহত হয়েছেন ১৪ জন পুলিশ সদস্য। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের ৪২৭ সদস্য। এ ছাড়া সাধারণ নাগরিক নিহতের সঠিক তথ্য যাচাই করার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর