আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত ৭ দিন পর

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সব অফিসে অর্ধেক জনবল নিয়ে পরিচালনার মতো সরকারের চলমান বিধিনিষেধগুলো আরও বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে এক সপ্তাহ পর। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়বে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তরণ করতে পারি। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে পাঁচটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদে। তন্মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস পরিচালনার প্রজ্ঞাপন রোববার জারি করে সরকার।

বাকি সব নির্দেশনার বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সোমবার বলেন, আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটি কী পর্যায়ে আছে, সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।

তিনি বলেন, এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন, এটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশিসংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটার (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।

মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,  সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। একটা তারিখ দেওয়া হবে যে, আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্ট নামবে। তাই আগে থেকে সতর্ক করে নিয়েই কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

গণপরিবহণ সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে। এ জন্য আমাদের চূড়ান্ত সংক্রমণ একটু পরে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা চাইব, যাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সবার জন্যই ভালো। পরিবহণ সেক্টরে যারা রয়েছেন, তাদেরও আমাদের সহযোগিতার করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহণ পরিচালনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা ভালো ফল পাব। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তরণ করব।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




শনিবারও চলবে ক্লাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজান, ঈদুল ফিতর, নববর্ষের সঙ্গে তীব্র গরমে ঘোষিত ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়াচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ঘাটতি পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন গণমাধ্যমকে জানান, সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

পবিত্র ঈদ মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব মুসলিম একই আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে রাজা-প্রজা এক কাতারে শামিল করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। হিংসা বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সকল অন্যায় ও পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী পবিত্র জীবন যাপন শুরু করার তাগিদ এনে দেয় পবিত্র ঈদ। এবারের পরিবর্তিত সময়ে ঈদের এই শিক্ষা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৩০তম রোজা পালন করছে। ওই সব দেশে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতেও বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) টানা একমাস তীব্র দাবদাহে পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঢাকাবাসী। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের দুই সমর্থকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল নলপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারইল নলপুকুর গ্রামের মৃত বাদেশ সাখিদারের ছেলে পলাশ সাখিদার (৩৮) এবং একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন (৩২)। তারা দুজনই চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বারইল নলপুকুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এশার নামাজ চলাকালীন সময় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদার ও বকুল মণ্ডলের লোকজন পটকা ফাটায়। এ নিয়ে দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক পলাশ তাদের নিষেধ করলে তারা পলাশকে মারধর করে। পরে পলাশ তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের উপর আঘাত করতে চাইলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে।

এ সময় নাসির হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার বলেন, আমি আহতদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে কয়েকবার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর