আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বিধি-নিষেধ অমান্য করে পদ্মায় স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সদরপুর(ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সদরপুর-চরভদ্রাসন উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পদ্মা নদীর আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে বিধি নিষেধ অমান্য করে স্পিড বোটে নিয়মিত পদ্মা নদী পারাপার করা হচ্ছে ঢাকাগামী যাত্রীদের।

এ আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাটটির অবস্থান জেলার সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে। উক্ত ঘাট থেকে মাত্র এক কি.মি. উত্তর দিকে পদ্মা নদীর জল সীমানায় রয়েছে চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর-মৈনট আন্তঃ জেলা ঘাটের অবস্থান।

বিধিমতে, শুধুমাত্র আন্তঃজেলা ঘাট দিয়েই বিভিন্ন জেলার যাত্রী পারাপার করা বৈধ। আর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাটগুলো তাদের নিজস্ব চৌহদ্দীর মধ্যে থেকে নৌযান চলাচল করতে পারবে।

কিন্তু পদ্মা নদীর আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট ইজারাদার স্বপন পাটনীর পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী শাহীন আনোয়ার ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাটটি ইজারা নিয়ে ঘাটের চৌহদ্দী সীমানা অতিক্রম করে ঢাকা জেলাধীন দোহার উপজেলার বিলাশপুর-আকোটেরচর ঘাট হয়ে অবৈধভাবে ঢাকাগামী যাত্রীদের স্পিডবোটে পারাপার করে চলেছেন।

উক্ত ঘাট মালিকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পার্শ্ববর্তী চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা ঘাটটি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একই সাথে উপজেলার গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা ঘাটের অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এবং ভবিষ্যতে সরকার এ ঘাট থেকে মোটা অংকের রাজস্ব হারাতে পারে বলেও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট থেকে আন্তঃজেলা ঘাটের চলমান কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ন অবৈধ উল্লেখ করে বার বার অফিসিয়াল চিঠি ইস্যু করলেও বাস্তবে স্থানীয় প্রশাসন কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি বলে গোপালপুর-মৈনট ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ হতাশা ব্যাক্ত করেছেন।

এদিকে, গত একমাস যাবৎ সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাত দিয়ে আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে আন্তঃজেলা ঘাটের যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। একই সাথে আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘাট দিয়ে খুব সহজে এবং কম খরচে ঢাকা যাতায়াতের সুখবর উল্লেখ করে এলাকা জুড়ে আরেকটি মাইকিং করে চলেছেন। দিনরাত এ দুই ধরনের মাইকিং শুনে জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

সম্প্রতি আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট থেকে দোহার উপজেলার বিলাশপুর ঘাট দিয়ে লঞ্চ/স্পিড বোটে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ অবৈধ এবং তা স্থায়ী বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ সদরপুর, চরভদ্রাসন ও দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বরাবর ০৫.৪১.৩০০০.০০৯.০৬.০০৫. ২১-৬৯ (সং) এবং ০৫.৪১.৩০০০.০০৯.০৬.০০৫. ২১-৭৭ (সং) নং স্মারকে দুটি পত্র দিয়েছেন।

একই সাথে উক্ত ইউনিয়ন ঘাট থেকে দোহার উপজেলার বিলাশপুর ঘাট দিয়ে লঞ্চ/স্পিড বোটে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করে এবং ভবিষ্যতে ইজারাদার চুক্তি ভঙ্গ করলে উক্ত ইউনিয়ন ঘাটটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে গত ১৩ মার্চ ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ডিও লেটার ইস্যু করেছেন। এরপরও আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট থেকে বহাল তবিয়তে অবৈধ উপায়ে নিয়মিত আন্তঃজেলা ঘাটের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের আগের অবস্থান থেকে সরিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে কলাবাগানের ঝোপের মধ্যে নতুন করে ঘাট বসানো হয়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে পদ্মা পারের বিশাল কলাবাগানের মধ্যে দিয়ে অটোবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চলাচলের জন্য পথ তৈরী করা হয়েছে।

উক্ত কলা বাগানের মধ্যে আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাটের ব্যানার ও সাইনবোর্ট টাঙিয়ে পদ্মা পারে বাঁশের মাচাল বেধে তৈরী করা হয়েছে স্পিডবোট ঘাট। এ ঘাট দিয়ে নিয়মিত ঢাকার যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। উক্ত ঘাটে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চলমান স্পিডবোটগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট ইজারাদার স্বপন পাটনীর পক্ষে শাহীন আনোয়ার জানান, আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাটটি এ বছর আমি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি এবং ইজারামূল্য পরিশোধ করেছি। কিন্তু প্রশাসন আমাকে ঘাট বুঝিয়ে দেয় নাই।

তিনি আরও জানান, এ ঘাট থেকে পদ্মার অপর পারের দোহার উপজেলার বিলাশপুর ঘাটের মাধ্যমে স্পিডবোটে নিয়মিত আমি ঢাকার যাত্রীদের পারাপার করে চলেছি। এ সময় ঘাট পরিচালনা বিধি নিষেধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মনগড়া বিধি উল্লেখ করে জানান, আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্তে যাওয়া যাবে কিন্তু যাত্রী আনা যাবে না।

ঘাটের আরেক অংশীদার শেখ সামাদ বলেন, যেহেতু সরকার নাম দিয়েছে আকোটেরচর লঞ্চ ঘাট, তাই লঞ্চতো পানির উপর দিয়েই চলবে, স্থলেতো আর লঞ্চ চলবে না।

উক্ত ঘাটের পার্শ্ববতী গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা ঘাট মালিক আবুল কাশেম খান জানান, এ বছর আমরা ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ইজারা মূল্যে এ ঘাট নিয়েছি। আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট মালিক শাহীন আনোয়ার আমাদের সাথে দ্বন্দ্ব করে এ বৈধ ঘাটের ক্ষতি করার জন্য পার্শ্ববর্তী আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে ঢাকার যাত্রীদের স্পিডবোটে পারাপার করে চলেছেন।

তিনি আরো জানান, উক্ত ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ২/৩শ যাত্রী অবৈধভাবে পারাপার হচ্ছে। বার বার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও আমরা কোনো ফল পাচ্ছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে এতো টাকা দিয়ে এ ঘাট আর কেউ নিবে না।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারেক মাহমুদ বলেন, আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে অবৈধ উপায়ে আন্তঃজেলা ঘাটের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে বেশ কিছু দিন যাবৎ আমি অভিযোগ শুনছি। কিন্তু সময়ের অভাবে উক্ত ঘাটে যাওয়া হয় নাই এবং বিষয়টি দেখার জন্য অফিসের কাউকেই পাঠাতেও পারি নাই।

তিনি আরও বলেন, আসলে ওই ঘাটে মোবাইল কোর্ট করার মত পরিস্থিতি নাই, তবে তদন্ত করে আমরা ঘাটটি বাতিল করে দিতে পারবো।


আরও খবর



বোনের প্রেমিককে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুজনের ফাঁসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মো. ফয়সল (২২) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, নিহত ফয়সালের সাঙ্গে একই উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিকা মেহেদী আক্তারের ভাই শামীম। পরে শামীম ফয়সালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সাল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে শামীম ফোন করে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ফয়সাল কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই স্থানে যান। এক পর্যায়ে তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ফয়সালের মরদেহ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পুঁতে রাখেন শামীম ও দুলাল।

ওইদিন রাতে ফয়সাল বাসায় না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনরা। পরদিন নিহত ফয়সালের বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। সেটি তদন্তের দায়িত্ব পান হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করেন। এ সময় শামীমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন শামীম।

পরে শামীমের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামীমের এ কাজে দুলাল সহযোগিতা করেন বলে জানালে পুলিশ দুলালকেও আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আটক শামীম ও দুলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে উভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসাঙ্গে প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় উভয় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট, ম্যানেজার অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরপর সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১০টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যায়।

রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না।

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা লুট, অস্ত্র ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু কাল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে রবিবার (২৪ মার্চ) থেকে। মূলত আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলেক্ষ্য নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, কাল সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। এবার ঢাকা থেকে বর্হিগামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



গরম বাড়ছে, সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাড়ছে তাপমাত্রা। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। গরমে একটু অসতর্ক হলেই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই এসময় নিজের প্রতি থাকতে হবে বাড়তি যত্নশীল। গরমের তীব্রতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। প্রতিদিনের সেসব ছোট ছোট কাজের দিকে খেয়াল রাখলেই সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন-

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরে একটি শুষ্ক প্রভাব ফেলে, যা শরীরের তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং ব্যাঘাত ঘটায়। তাই পানির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আপনার প্রতিদিনের তালিকায় আরও পানি যোগ করুন। মনে রাখবেন, মাত্র ৪% পানির ক্ষয় ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং ১৫% হলে, এটি মারাত্মক হতে পারে।

মৌসুমী খাবার খান : সাধারণত বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের এই সময়ে এই জাতীয় খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এগুলো হজম হতে সময় নেয়। গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যকর হজম বাড়াতে এবং অন্ত্রের সমস্যা, বদহজম, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি এড়াতে মৌসুমী খাবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার এবং তাজা শাক-সবজি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় সঙ্গে রাখুন : গ্রীষ্মের অসহনীয় তাপেও কিন্তু কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই সারাদিন সতেজ থাকার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, বাতাসে তাপ ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধি করে, যা খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞরা হালকা এবং শীতল খাবার, আস্ত ফল এবং সাইট্রাস পানীয় সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন। এই খাবার এবং পানীয়গুলো প্রচণ্ড গরমেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

টাটকা রান্না করা খাবার খান : আগেই বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্য দূষণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন তাটকা রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো খাবার প্যাক করার আগে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই করুন।


আরও খবর