গোপালগঞ্জ থেকে
তপন পোদ্দার:
গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা চিতলমারী শৈলদাহ গ্রামের বিধবা নারী ফরিদা বেগমের সম্পত্তি ও বাড়িঘর আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে জায়গা জমি লিখে নেওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে তারই দেবরের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় ফুসে উঠেছে ওই গ্রামবাসী। এমন মিথ্যা অপচেষ্টা বিরুদ্ধে গত ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে একটি মানববন্ধনও করেছে ওই এলাকাবাসী।
বিধবা নারী
ফরিদা বেগমের প্রতিবেশী তোতা মিয়া, আম্বিয়া খাতুন নজরুল খান সাকায়েত খানসহ অনেকে বলেন,
২০১৩ সালে ফরিদা বেগমের স্বামী জাহান আলি খান মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর ফরিদা
বেগমের জায়গা জমি আত্মসাৎ করার পায়তারা করে তারই দেবর হোসেন আলী খান, দেবরের স্ত্রী
মাবিয়া বেগম, কন্যা নাহিদা খানম ও তার জামাই কালাম শেখ।
তারা আরও বলেন,
গত ১ তারিখে যে চুরির ঘটনায় ঘটেছে তা সর্ম্পূণ মিথ্যা সাজানো। নিজেরা ঘুমের ঔষুধ খেয়ে
বিধবা নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মাবিয়া বেগম ও
তার কন্যা নাহিদা খানমের। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে
বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন তারা।
বিধবা নারী
ফরিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ২০১৩ সালে মারা যান। আমার স্বামী জাহান আলী খান চট্টগ্রামে
কাজ করতেন। সেই সুবাধে জীবিকা নির্বাহের জন্য আমরা চট্টগ্রামে থাকতাম। গ্রামের বাড়ি
শৈলদাহতে আমার দেবর হোসেন খানকে থাকতে দেয় আমার স্বামী। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে আমার দেবর
হোসেন খান, তার স্ত্রী মাবিয়া বেগম, মেয়ে নাহিদা ও তার জামাই কামাল মিলে আমার স্বামীর নিজ মালিকানাধীন জমি আত্মসাৎ
করার পায়তারা করছে। জমি লিখে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েদের মারপিট করছে। মারপিট
করে জমি লিখে নিতে না পেরে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার জমি লিখে দেওয়ার পায়তারা
করছে। আমি একজন বিধবা নারী। আমি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারী উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সহযোগীতা
কামনা করছি।
এ ব্যাপারে
চিতলমারী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর সামাদ বলেন, মামলাটি এখনও তদন্ত
চলছে। প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।