আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
প্রত্যাশিত বৈদেশিক বিনিয়োগে ভাটা

বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ ৩৫০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বা ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আকর্ষণের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছে। কর অবকাশ থেকে শুরু করে ব্যাংক ঋণ, প্রণোদনা, অবকাঠামোগত সুবিধার ছড়াছড়ি। তার পরও প্রত্যাশিত হারে সাম্প্রতিক সময়ে এফডিআই বাড়ছে না। বিদেশ থেকে দেশে এফডিআই না বাড়লেও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগের হার বেড়েই চলেছে। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বিদেশে দেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ছয় কোটি ২৭ লাখ ডলার বেড়ে স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে শুধু উপস্থান করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে দেশি উদ্যোক্তাদের বৈধভাবে নেওয়া বিনিয়োগের তথ্য। এর বাইরে অবৈধভাবে বা পাচারের মাধ্যমে আরও অনেক পুঁজি নেওয়া হয়েছে যেগুলো বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৈধভাবে দেশ থেকে পুঁজি নেওয়ার চেয়ে পাচারের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে অনেক বেশি। বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফা দেশে আনা হয়েছে খুবই কম। বরং নেওয়া হচ্ছে বেশি। এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি নীতিমালা জারি করে দেশের সচ্ছল রপ্তানিকারকদের বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অনেকে বিদেশে বিনিয়োগের আবেদনও করেছে। এগুলো এখন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হু হু করে বাড়ছিল। গত অক্টোবরে তা বেড়ে চার হাজার ৭০০ কোটি ডলারে উঠেছিল। যা দিয়ে ওই সময়ে নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব ছিল। অথচ তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। রিজার্ভকে অনেক বেশি উদ্বৃত্ত মনে করে দেশ থেকে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা জারির এক মাস পরই গত মার্চ থেকে বাজারে ডলার সংকট বাড়তে থাকে। এ মাসের শুরুতে সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এখন রিজার্ভ রক্ষায় বিদেশ ভ্রমণ, বিলাসী পণ্য আমদানি, অন্য পণ্য আমদানিতে লাগাম টানা হয়েছে। দেশ থেকে বিদেশে ডলার নিয়ে বিনিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রিজার্ভ হচ্ছে বিপদে ব্যবহারের জন্য। সুসময়ে ব্যবহারের জন্য নয়। কিন্তু রিজার্ভকে সুসময়ে ব্যবহার করেই যত বিপত্তি লেগেছে। রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ দেওয়া হয়েছে। অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক একটু ধকল এখন সহ্য করা যাচ্ছে না। অর্থনীতিকে প্রচণ্ড চাপে ফেলেছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে এফডিআই বেড়েছে ১৩ শতাংশ। এর বিপরীতে একই সময়ে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের স্থিতি বেড়েছে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে বিদেশিদের বিনিয়োগ বাড়ার চেয়ে বিদেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ ৬ দশমকি ২ শতাংশ বেশি বেড়েছে।

বিনিয়োগের এই চিত্রকে অর্থনীতিবিদরা মোটেই স্বস্তিদায়ক মনে করেন না। তাদের মতে, দেশের চেয়ে বিদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর মতো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এখনো পৌঁছেনি। এখন দেশেই বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রায় স্থানীয় উদ্যোক্তারাও দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, দরিদ্রতা কমবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও প্রসারিত হবে। দেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে বিদেশমুখী না করে দেশমুখী করাটা জরুরি। এ জন্য সরকারি নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। তা না হলে ভুলের মাশুল দিতে হবে দেশের মানুষকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন দেশে এফডিআইয়ের স্থিতি ছিল ৩২ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন হাজার বা দুই হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এ স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি ডলার। যা স্থানীয় মুদ্রায় তিন হাজার ৪৩২ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বিদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে ছয় কোটি ২৭ লাখ ডলার বা ৫৫২ কোটি টাকা। আলোচ্য বিনিয়োগ থেকে ২০২০ সালে দেশে মুনাফা হিসাবে এসেছে এক কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

২০২১ সালে এসেছে ২৯ লাখ ১৭ হাজার ডলার। করোনার কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি নেতিবাচক হওয়ায় মুনাফা আসার হার বেশ কমেছে। ২০২০ সালে দেশি উদ্যোক্তারা বিদেশে বিনিয়োগ করেছিলেন তিন কোটি ১১ লাখ ডলার। ২০২১ সালে করেছেন ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। ওই সময়ে বিনিয়োগ বেড়েছে ছয় কোটি ৩৬ লাখ ডলার। মোট বিনিয়োগের স্থিতির মধ্যে গত বছর মূলধন হিসাবে নেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ডলার, আয় থেকে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে দুই কোটি ৩৩ লাখ ডলার এবং এক কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছে ছয় কোটি ২৬ লাখ ডলার। ২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া মোট বিনিয়োগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাজ্যে চার কোটি ৮৩ লাখ ডলার। এর পরেই গেছে হংকংয়ে দুই কোটি ডলার, নেপালে এক কোটি ১৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া ভারতে ৬৬ লাখ ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ লাখ ডলার, যুক্তরাষ্ট্রে ২১ লাখ ডলার, ইতালিতে ১১ লাখ ডলার, সিঙ্গাপুরে ৯ লাখ ডলার, দক্ষিণ আফ্রিকায় সাত লাখ ডলার, কেনিয়া ও শ্রীলংকায় পাঁচ লাখ ডলার করে বিনিয়োগ গেছে। এ ছাড়া ওমান, মালয়েশিয়া, চীন, গ্রিস ও পাকিস্তানেও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ রয়েছে। দেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগ বাড়তে থাকে ২০০০ সাল থেকে। ওই বছরে স্থিতি ছিল ছয় কোটি ৭৯ লাখ ডলার, ২০০১ সালে আট কোটি ৫২ লাখ, ২০০২ সালে আট কোটি ৮২ লাখ, ২০০৩ সালে ৯ কোটি ৫১ লাখ, ২০০৪ সালে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার স্থিতি ছিল। ২০০৬ সালে তা বেড়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। ২০১১ সাল থেকে টানা বাড়তে থাকে। মধ্যে শুধু ২০১৮ সালে ২০১৭ সালের চেয়ে সামান্য কমেছিল। ২০১০ সালে স্থিতি ৯ কোটি ৮৩ লাখ ডলার, ২০১১ সালে ১০ কোটি ৬২ লাখ, ২০১২ সালে ১০ কোটি ৭২ লাখ, ২০১৩ সালে ১৪ কোটি ২৫ লাখ ও ২০১৪ সালে ১৬ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ২০১৫ সালে তা আরও বেড়ে ১৮ কোটি ৮৩ লাখ ডলার, ২০১৬ সালে ২১ কোটি ২৯ লাখ, ২০১৭ সালে ৩৩ কোটি ১০ লাখ, ২০১৮ সালে ৩১ কোটি পাঁচ লাখ ও ২০১৯ সালে ৩২ কোটি ৩৬ লাখ ডলার স্থিতি ছিল।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশ থেকে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ করলে দেশের ব্র্যান্ডিং হবে। কিন্তু দেখতে হবে বিদেশে বিনিয়োগের সক্ষমতা আছে কিনা? বর্তমানে ডলারের বাজারে যে সংকট, তা তো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের সক্ষমতা দেশের নেই। আগে অর্জন করতে হবে। ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য রিজার্ভ থাকতে হবে। তা না করে বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়াটাও যুক্তিযুক্ত নয়।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া বৈধভাবে বিদেশে কোনো পুঁজি নেওয়ার সুযোগ নেই। বৈধভাবে যারা বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে করেছেন। রিজার্ভ বাড়ায় বিদেশে বিনিয়োগের সীমিত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া প্রবাসীরাও বিদেশে বিনিয়োগ করেছে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ বেড়েছে। বৈশ্বিক কারণে আমদানি ব্যয় বাড়ায় ও রেমিট্যান্স কমায় এখন আবার কমছে। রিজার্ভ বাড়ার কারণে সরকার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের পক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের জন্য ২০১৫ সাল থেকে অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়। এর আগে বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা, এক্সচেঞ্জ ও সীমিত কিছু বেসরকারি উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষক আউয়াল সরকারের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ১১০ থেকে ২২০ কোটি ডলার পাচার হচ্ছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ কোটি ডলার পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের তদন্তে আর্থিক খাতের বহুল আলোচিত জালিয়াত পিকে হালদারের ভারত ও কানাডায় বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। বিসমিল্লাহ গ্রুপ দুবাইয়ে বিনিয়োগ করেছে। তারা অর্থ পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: এফডিআই ডলার

আরও খবর



কী করবেন গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ভরদুপুরে গরমে বাইরে কোথাও যাওয়ার পথেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা হরহামেশাই হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এই ভ্যাপসা গরমে একেবারে অচেতন হয়ে যান।  প্রচণ্ড রোদ আর গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে যে কোনো বয়সের মানুষের।

যদি মনে হয় কেউ  হিটস্ট্রোক হয়েছে তাহলে সবার আগে অসুস্থ ব্যক্তিকে একটু শীতল জায়গায় নিন, গাছের নিচে বা কোনো দোকানের ভেতরে ফ্যানের বাতাসের নিচে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানিতে বা বরফে ভেজা কাপড় দিয়ে বারবার গা মুছে দিন বা শরীরে পানি স্প্রে করুন এবং শিগগির হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

সারাদিন নানা কাজে রোদের মধ্যেই ঘুরেছেন। গরমে অসুস্থতা আচমকা আপনার পেটে ও পা দুটোয় যেন টান লাগল বা কেউ খামচে ধরল। এ সমস্যার নাম হিট ক্র্যাম্প। শরীরে পানি ও লবণের অভাবে এমনটা ঘটে। এমন অবস্থায় দ্রুত গরম ও রোদ থেকে সরে যান। তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় বসে পড়ুন। প্রচুর পানি ও লবণসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, লেবু-লবণের শরবত) পান করুন। পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। খুব ধীরে মাংসপেশি নাড়াচাড়া এবং পায়ের হালকা ব্যায়াম করুন।

সারা দিন রোদে গরমে ঘুরে দেখলেন ত্বক লালচে হয়ে গেছে বা পুড়ে গেছে। র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এটাকে বলা হয় হিট র‍্যাশ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ত্বকে ঠান্ডা বরফ বা ভেজা কাপড় লাগান।

তীব্র গরমে যে কেউ এমন আকস্মিকভাবে যে কেউ অসুস্থ হতে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে। গরমে বাড়ির বাইরে গেলে সঙ্গে রাখুন পানি, ছাতা এবং সানগ্লাস। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করবেন। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরমে ঘরে ফিরেই ঠান্ডা পানি খাবেন না কিংবা গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। আগে শরীরটা বাতাসে জুড়িয়ে নিন। প্রচণ্ড গরমে ঘরের ভেতরের বদ্ধ পরিবেশে হাঁসফাঁস লাগলে ছাদে যান কিংবা বারান্দায় গিয়ে বসুন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯ বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এতে ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

জয়দেবপুরের স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে কোনো ট্রেন চলছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার। তিনি বলেন, এখন ওই রুটে ট্রেন নেই। আর শুধু জয়দেবপুরে কোনো ট্রেন যাবে না। দুপুরের পরে ওই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ভুল সিগনালের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীশূন্য ট্রেনটি ঢাকায় ফিরছিল। অন্যদিকে তেলবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল রংপুরে। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটি তেলবাহী ট্রেনের লাইনে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। গতকাল বুধবার বোগোটায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে উল্লেখ করে পেত্রো জানান, কলম্বিয়া বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর পরে কলম্বিয়া ইসরায়েল থেকে অস্ত্র ক্রয় স্থগিত করে।

গুস্তাভো পেত্রো গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে প্রতিবাদে সরব ছিলেন। চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের চরম বিরোধী তিনি। এ সম্পর্কে পেত্রো বিভিন্ন সময় তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের নেতাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কাজ সহজ করতে অন্যান্য দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের মিত্ররা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টির কারণে যেসব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না বিরল সূর্যগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরল সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে আছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাদের জন্য দুঃসংবাদের খবর দিচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। অনেক স্থান থেকেই বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা নাও দেখা যেতে পারে বলে সিএনএনর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিরল এই সূর্য গ্রহণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য হলো ভরদুপুরে ঘুট ঘুটে অন্ধকার দেখা যাবে। মনে হবে রাতের অন্ধকার।

বিরল সূর্য গ্রহণ দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দুটি স্থানকে আদর্শ জায়গা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ভারমাউন্ট এবং দক্ষিণ ইন্ডিয়ানার মিসৌরিতে আকাশে মেঘ থাকতে পারে। এজন্য এ অঞ্চল থেকে পরিষ্কারভাবে সূর্যগ্রহণের দেখা পাওয়া যাবে না। এছাড়া টেক্সাসের কিছু এলাকার আবহাওয়া মেঘ যুক্ত থাকতে পারে। ফলে এখানকার বাসিন্দারাও পরিষ্কারভাবে সূর্যগ্রহণের দেখা নাও পেতে পারে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেভিল্যান্ড, ওহিও, ইরি, পেনে সকাল থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলেও মেঘ সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতি পরিলক্ষিত হতে পারে। নিউইয়র্ক মহরের পূর্বাঞ্চলের বাফেলো এবং রচেস্টারেও আকাশ মেঘলা থাকবে। ফলে এসব এলাকা থেকে সূর্যগ্রহণ স্পষ্টভাবে নাও দেখা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের আকাশে শুধু মেঘ নয়, এখানে ঝড়ের সম্ভবনা রয়েছে। ডালাসের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণের পূর্বে এখানের আকাশ মেঘে ঢাকা থাকবে। এছাড়া ওই সময়ে ঝড়েরও পূর্বাভাস রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর