আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম
লক্ষ্য রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো

বিদেশে প্রবাসী এলাকা সফর করবেন ব্যাংকাররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন দেশের যেসব এলাকায় বাংলাদেশিরা থাকেন সেসব এলাকা সফর করবেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তারা সরেজমিন গিয়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের কি কি সমস্যা হয়, কিভাবে এসব সমস্যা সমাধান করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে কিভাবে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায়- সেসব বিষয় জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) থেকে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা ব্যাংকের বা যৌথ খরচে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে পারবেন। এ কাজে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাফেদার কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। কিন্তু বিদেশে জনশক্তি গমণের প্রবণতা বেড়েছে। বিদেশে যারা যাচ্ছেন, তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন না। হুন্ডি বা ব্যাংকবহির্ভূত বিভিন্ন চ্যানেলে পাঠাচ্ছেন। এতে একদিকে প্রবাসীরা মাঝে মধ্যে টাকা না পেয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা থেকে। ফলে দেশে ডলার সংকট প্রকট হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে- মোট রেমিট্যান্সের ৩০ থেকে ৪২ শতাংশ হুন্ডির মাধ্যমে আসছে। এসব রেমিট্যান্সকে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে পারলে দেশে ডলার সংকটের সমাধান খুব সহজেই করা সম্ভব।

দুই বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল। তখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল দেশটিতে গিয়েছিল কারণ অনুসন্ধান করতে। তারা ঢাকায় ফিরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সেটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসীরা বেশকিছু কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন না। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- তারা যেখানে কাজ করেন আর যেখানে থাকেন এই দুইয়ের কাছাকাছি কোনো স্থানে ব্যাংকিং সুবিধা নেই। কিন্তু তাদের আশপাশেই রয়েছে হুন্ডি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের আবাস স্থলে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে তা দ্রুত দেশে পাঠায়। অন্যদিকে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আত্মীয়স্বজনরা তা দ্রুত পান না। আর হুন্ডিতে কোনো খরচ লাগে না। কিন্তু ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ বাবদ বেশ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এসব সমস্যা সমাধানে প্রতিনিধিদলের সুপারিশ ছিল প্রবাসীরা কাজ করেন বা থাকেন এমন এলাকায় বাংলাদেশের ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ানো।

বিদেশে যেসব বাংলাদেশিরা রয়েছেন তাদের অনেকের ভাষাগত সমস্যা রয়েছে। ফলে তারা ওইসব দেশের ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করতে পারেন না। অনেকে কাগজপত্রের অভাবে ব্যাংক হিসাবও খুলতে পারেন না। এসব সমস্যা সমাধানে ব্যাংকগুলোকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের এক্সচেঞ্জ হাউজ গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি মালিকানায়ও এক্সচেঞ্জ রয়েছে। তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে দেশে পাঠায়। আর প্রবাসীরা দেনদরবার করে যাদের কাছ থেকে বেশি দাম পান তাদের মাধ্যমেই অর্থ পাঠান। এতে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স নিয়ে একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দাম বেশি দিলে রেমিট্যান্স দিচ্ছে, তা না হলে দিচ্ছে না। এতে ডলারের দামের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর হাতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশে প্রবাসীদের এলাকায় গিয়ে ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা প্রবাসীসহ এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গে কথা বলে রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আনার উদ্যোগ নিতে পারে। প্রয়োজনে এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে। ব্যাংক চাইলে ছোট ছোট আকারে বাংলাদেশের এজেন্ট ব্যাংকের মতো বুথ স্থাপন করতে পারে। প্রবাসীদের ব্যাংক হিসাব খুলে দ্রুত রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে পারে।

বাফেদা মনে করে বিদেশে প্রবাসী এলাকায় সব ব্যাংক একই স্থানে যেতে দেওয়া হবে না। একেক ব্যাংক একেক দেশে বা স্থানে যাবে। এতে প্রবাসীদের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি সেবা পাওয়া সহজ হবে। দ্রুত রেমিট্যান্স সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে।

এদিকে বাফেদা রেমিট্যান্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো হার এবারের চিঠিতে উল্লে­খ করেনি। আগের নিয়মে ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারে। তবে অনেক ব্যাংক এখন ওই হারের চেয়ে বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে।


আরও খবর



মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরীক্ষায় মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর



ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় ফ্লাইট, যা বলল বেবিচক

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি ইসরায়েল থেকে দুটি ফ্লাইট সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আজ শনিবার বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায় শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে এবং অপরটি গত ১১ এপ্রিল রাতে ঢাকায় অবতরণ ও মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত এবং ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‌বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়-শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ উদযাপিত হবে কাল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। যদিও গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ঈদ উদ্‌যাপিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল।

এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি জামাত। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিদেশি কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সব স্তরের মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। নারীদের নামাজের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।

২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়াও অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন।

এই ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে, বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন ক্বারি মো. ইসহাক মোয়াজ্জিন।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম ইমাম হিসেবে এবং খাদেম মো. আব্দুল হাদী মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন থাকবেন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

তবে এই পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪