টুইট করে বিবাহ
বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়। জানালেন, স্বামী-স্ত্রী নয়, পিয়া
চক্রবর্তীর সঙ্গে বন্ধু হিসেবেই থাকবেন। তিনি জানান, পিয়ার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের
সম্পর্ক মনে রাখার মতোই ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত মতানৈক্য এবং ভাবনার ফারাকের জন্য স্বামী-স্ত্রী
হিসাবে তাঁরা আর থাকতে পারছেন না।
ঘটনাচক্রে এটি
অনুপমের দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদ। টুইটে অনুপম কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, বন্ধু, পরিবার এবং
শুভানুধ্যায়ীদের যাঁরা বরাবর পিয়া এবং তাঁর পাশে থেকেছেন এবং তাঁদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপকে
সমর্থন জানিয়েছেন। সেই সমানুভূতি এবং সমর্থন যাতে ভবিষ্যতেও থাকে, তার জন্য তিনি অনুরোধ
জানিয়েছেন। এই বিবাহবিচ্ছেদকে সম্মানের সঙ্গে দেখার কথাও বলেছেন।
টুইটে বিবাববিচ্ছেদের
খবর জানানো অবশ্য নতুন কোনও বিষয় নয়। সাম্প্রতিক অতীতে এমনই বিবৃতি দিয়ে নিজেদের আলাদা
করে পথে চলার কথা ঘোষণা করেছিলেন, আমির খান এবং কিরণ রাও। আমিরও লিখেছিলেন, বন্ধু এবং
সহকর্মী হিসাবে কিরণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকবে। এই পথে হাঁটলেন অনুপমও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে
অনুপমের এই ঘোষণার প্রায় আধঘণ্টা বাদে পিয়াও ইনস্টাগ্রামে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে হুবহু
একই বক্তব্য প্রকাশ করেন। যদিও কিছু দিন আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কোনও আভাস পাওয়া
যায়নি। নেটমাধ্যমে ১৪ অক্টোবর ‘প্রিয়’ লিখে অনুপমকে নিয়ে পিয়া পরিবার এবং বন্ধুদের
সঙ্গে ছবি দিয়েছিলেন। সেখানে পুজোর মেজাজেই তাঁদের দু’জনকে দেখা গিয়েছিল। হয়তো পিয়া-অনুপমের
গভীর বন্ধুত্বই এই বিচ্ছেদকে সহজ করেছে।
৬ ডিসেম্বর ২০১৫
সালে পিয়াকে বিয়ে করেন অনুপম। প্রায় ৬ বছরের মাথায় বিয়ে ভাঙল। অনুপমের স্ত্রী পিয়া
নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি করেছেন গ্রেটার নয়ডার শিব নাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে পড়ার সময়
অনুপমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল তাঁর। এই বন্ধুত্ব পরবর্তীতে এসে গড়ায় ভালবাসার সম্পর্কে।
তার পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তত দিনে অনুপমের প্রথম বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।
পিয়ার সঙ্গে বিয়ের পর অনুপমের পেশাদার জীবন কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে কোনও বদল আসেনি। একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে গান গেয়েছেন, সুরারোপ করেছেন অনুপম। প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই। অন্য দিকে, পিয়া পড়াশোনার সঙ্গে নানা সামাজিক কাজকর্মে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। এমনকী অনুপমের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের গানের একক একটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছিল পিয়ার।