বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিআরটিসি’র ২৯৫ তম পর্ষদ সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্ষদ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসন অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম।
পর্ষদ সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআরটিসির পরিচালক (প্রশাসন) এস, এম, কামরুজ্জামান। সভার শুরুতেই চেয়ারম্যান সদ্য যোগদানকৃত পরিচালক ড. অনুপম সাহা এবং পদোন্নতি প্রাপ্ত জিএম ফাতেমা বেগম’কে উপস্থিত সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন।
সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিআরটিসি সেবাদানের পাশাপাশি লাভ করবে এবং লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির টেকসই উন্নয়নকে ধরে রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পর্ষদ সভায় নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়-
বিআরটিসি’তে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা প্রদান।
কল্যাণ তহবিলে প্রতিমাসে বেতন হতে কর্তনকৃত একশত টাকার পরিবর্তে একশত পঞ্চাশ টাকায় উন্নীত করণ।
নগর পরিবহন ও মেট্রো রেলের যাত্রী পরিবহনে বিআরটিসি’র বাস পরিচালনা ও বিআরটি’র সাথে বিআরটিসি যৌথভাবে কাজ করা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের গাড়িগুলো মেরামতের জন্য তাদের সাথে বিআরটিসি চুক্তি করা।
ট্যাক্স ফাইল নিয়মিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
বিআরটিসি’র অর্গানোগ্রাম এবং প্রবিধানমালা সংশোধন পূর্বক হালনাগাদ করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রনয়ন।
বিআরটিসি’র আর্টিকুলেটেড বাসে স্বল্প ব্যয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাবার ভ্যালুস প্রস্তুত।
মোটর যান ড্রাইভিং ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ কোর্সে “কোর্স নির্দেশিকা” প্রণয়ন।
মোটর ড্রাইভিং (হালকা ও ভারী) কোর্সের ফি বর্ধিতকরণ।
সভায় পর্ষদ সভার সভাপতি বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও সক্ষমতায় বিশ্বাসী। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও সক্ষমতা টেকসই করার লক্ষ্যে বিআরটিসি’র সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পর্ষদের মাধ্যমে সম্পাদন করতে চাই।