আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বই নিয়ে মিথ্যাচার বিশ্বাস করবেন না : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ধর্ম একটি পবিত্র জিনিস। এটি নিয়ে কি কোনো মিথ্যা কথা চলে? তাহলে যারা মিথ্যাচার করে, তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না। বইয়ের মধ্যে কি আছে নিজেরা পড়ে দেখবেন। তারা কি বলে সেটি বিশ্বাস করবেন না।

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরের ইশানবালা কাশেম উলমুল মাদরাসা মাঠে উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছেন বইতে এটি না থাকলে ভালো হতো। আবার কোনটি বেশি লেখা হয়েছে। আমরা বলছি আগামী বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একটি করে দুটি বই নতুন তৈরি করে দিব। এ দুই শ্রেণির যেগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো পড়া বন্ধ থাকবে। এসব বইতে ইসলাম বিরোধী কিছুই নেই। তারপরও আমরা মানুষের কথা শুনি, যদি কেউ মনে কষ্ট পায় সেটাকেও গুরুত্ব দেই এবং সম্মান করি।

তিনি বলেন, ইসলামের বিষয় নিয়ে যারা মিথ্যাচার করছে এটি কি ঠিক। কখনো এটাকে প্রশ্রয় দেবেন না। এটা মনে রাখবেন সবসময় নৌকার যারা কাজ করে, শেখ হাসিনার যারা কর্মী, তাদের হাতে কোনোদিন ইসলাম বিরোধী কাজ হতে পারে না।



আরও খবর



২১১ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখল লঙ্কানরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিকেলের সোনা রোদে সিলেটের সবুজ গালিচা চিকচিক করছিল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষের অপেক্ষায়। হঠাৎ-ই মাঠে শোনা গেল জোর গলার উচ্চ হাসি। ফিল্ডিংয়ে থাকা বাংলাদেশ শিবিরের একজনকে ঘিরে আনন্দের হাসি। শরিফুল ইসলামের ক্রস সিমের ভয়ংকর বাউন্সারে দিমুথ করুণারত্নে পুল করলেন। নিরাপদ শট। কিন্তু শরীরে ভারসাম্য না থাকায় বল চলে যায় ফাইন লেগে। ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন নাহিদ রানা। বল ঠিকঠাক তালুবন্দি করলেন।

বাংলাদেশ করুণারত্নের আউটে যতটা না খুশি তারচেয়েও বেশি খুশি নাহিদ রানা বল তালুবন্দি করায়! কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে টেস্ট শুরুর আগের দিনের চিত্র সামনে আনা জরুরী। প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নাহিদ রানা বোলিংয়ের পর ফিল্ডিংয়ে নামলেন। তাকে একের পর এক ক্যাচ দিয়ে যাচ্ছিলেন কোচ। কিন্তু বল জমাতেই পারছিলেন না। সংখ্যাটা এমন, ১০ বলে ৭-৮টি ক্যাচই ফেলে দিচ্ছেন। ২-৩টি ধরছেন।

মোটামুটি দলের ভেতরে চাওড় হয়েছে, ফিল্ডিংটা নাহিদ রানার সিলেবাসের বাইরে! তাইতো করুণারত্নের ক্যাচ নেওয়ার পর বাংলাদেশ শিবিরে বাড়তি উল্লাস। লিটন তো মাথায় হাত গিয়ে মুখ ভরা হাসি নিয়ে অবাক। পাশে থাকা মিরাজ, দিপুরাও একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আনন্দ করছিলেন। ওই হাসি, ওই আনন্দ অবশ্য দিন শেষের স্কোরবোর্ড দেখার পর টিকেছে কি না সেটা বিরাট প্রশ্ন। কেননা হাতে ৫ উইকেট নিয়েও শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের লিড ২১১ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় চড়ে বসেছে লঙ্কানরা তা বলতে দ্বিধা নেই।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ আজ ১৮৮ রানে অল আউট। ৯২ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ১১৯ রানে দিন শেষ করেছে। তাতে স্বস্তির পরশ অতিথি শিবিরে। পিছিয়ে থেকে অস্বস্তিতে স্বাতিকেরা। বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সকালের সেশনের ব্যাটিং। বিশেষ করে মাহমুদুল হাসান জয় কিভাবে লঙ্কান আক্রমণ সামলে নেন তা ছিল দেখার। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল টুকটাক ব্যাটিং পারেন তা তো সবারই জানা।

দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুরুর আক্রমণ সামলে নিয়েছিলেন। ৫ ওভারে কোনো বিপর্যয় হয়নি। এ সময়ে রান যোগ হয়েছে ২১। তাতে আশা বেড়েছিল। কিন্তু ওই আশায় গুড়েবালি হতে সময় নেননি। তাইজুল যেখানে চূড়ান্ত মনোযোগ দেখিয়েছেন। থিতু হয়ে উইকেটের মূল্য বুঝেছেন। সেখানে জয় উল্টোপথে হেঁটেছেন। পেসার লাহিরু কুমারার অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১২ রানে। এরপর কেবলই মন খারাপের গল্প।

পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে এসেছেন। দুয়েকটি শট খেলেছেন। আউট হয়েছেন। আগের তিন ব্যাটসম্যান যা করেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু, লিটন দাশ, মেহেদী হাসান মিরাজ সেই পথেরই অনুসারী। টিকে থাকার তাড়না, লড়াই করার মানসিকতা, দলকে এগিয়ে নেওয়ার জেদ চোখে পড়েনি। তাতে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। অল্পতেই অলআউট বাংলাদেশ।

শাহাদাত হোসেন দিপু লেগ সাইডে ফ্লিক ও অফ সাইডে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে ভালো কিছুর আভাস দেন। কিন্ত লাহিরুর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট সরাতে পারেননি। লিটনও নিজের উইকেট বিলিয়ে এসেছেন আলগা মনোভাবে। লাহিরুর ভেতরে ঢোকানো বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। ৪৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৫ রানে শেষ তার ইনিংস।

এই আসা-যাওয়ার মিছিলে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে তাইজুল লড়াই করেন। তার একার লড়াইয়ে সঙ্গী পাননি কাউকে। তাই ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হয়েছে শট। তাতেই নেমে আসে বিপদ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা তাইজুল ৮০ বল খেলেন। বাউন্ডারি পেয়েছেন ৬টি। আগের দিন ১০ মিনিট ব্যাটিং করা তাইজুল আজ মাটি কামড়ে ৭২ মিনিট টিকে ছিলেন। ৮২ মিনিটের লড়াই দিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে গেছেন। পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরা কেন দায়সারা ব্যাটিং করলেন? টেস্ট খেলার ধৈর্য্য কেন দেখালেন না?

শরিফুলের ১৫ ও খালেদের শেষের ২২ রানে বাংলাদেশের লাভই হয়েছে। লিড নেমে এসেছে শতরানের নিচে। লিডের বোঝা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিংও ভালো হয়েছে। অভিষিক্তি নাহিদ রানা ১২ ওভারের ভেতরেই নিশান মাদুশঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন। দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজও দায়িত্ব সামলে নেন ঠিকঠাক মতো। তাইজুল ম্যাথুজসকে এবং মিরাজ চান্দিমালকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান।

এরপর শরিফুলের বাউন্সারে করুণারত্নে পড়ন্ত বেলায় ফিরলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। কিন্তু লিডের বোঝা দুইশর বেশি চলে যাওয়াতে বিপদমুক্ত নয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার চড়ে বসার আরেকটি দিনে ব্যাকফুটেই রয়েছে শান্তর দল। হাতে ৫ উইকেট রেখে তারা আর কতদূর যেতে পারে সেটিই দেখার।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ফেনীতে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়লো ৯ চাঁদাবাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীতে চাঁদাবাজি করার সময় পৃথক অভিযানে র‍্যাবের হাতে ৯ চাঁদাবাজ ধরা পড়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে তারা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিল।

চাঁদাবাজি করার সময় র‍্যাবের হাতে আটক ব্যক্তিরা হলেন - ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৪১), বাঁশপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. ছলিম (৩৪), আবুল কালামের ছেলে মো. আরাফাত, মাখু মিয়ার ছেলে আলম (৪৫), দক্ষিণ মটুয়া গ্রামের মো. মিয়ার ছেলে মো. আরাফাত (২৩), পশ্চিম ছাগলনাইয়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আজিম উদ্দিন (২৬), বাঁশপাড়া গ্রামের জাফর আহমেদের ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪২), ইব্রাহিম দিপ্তির ছেলে মো. আবুল হাশেম খোকন (৪২), আধাঁর মানিক গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে মো. শফিক (৪৫) ও আবুল হাশেমের ছেলে মো. আনোয়ার (৪২)।

র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে কতিপয় ব্যক্তি ফেনীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে। এরপর র‍্যাবের একটি দল শুক্রবার বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সময় ৯জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে বিভিন্ন গাড়ি থেকে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা এবং চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমাণ ভুয়া রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করে আসছিল।

ফেনীস্থ র‍্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরীফ। রোববার (৩ মার্চ) দেশটির জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে এই পদে নির্বাচিত হন তিনি।

এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন প্রভাবশালী শরীফ পরিবারের এই সদস্য। রোববার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরীফ ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২, নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ জন্য জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি ও অন্য সমমনা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন পিএমএল-এন নেতারা। একপর্যায়ে ছয়টি দলের একটি জোট গঠন করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন।

অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। মূলত জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই।

নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়েও পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বার বার নওয়াজ শরীফ নাম উঠে আসছিল। তবে নির্বাচনের পরে হঠাৎ করে এই দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ছোট ভাই শাহবাজ শরীফের নাম ঘোষণা করেন নওয়াজ। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের জোট সরকার বিদায় নিলে শাহবাজের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। ওই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবারও পাকিস্তানে এই ধরনের একটি জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে।

জাতীয় পরিষদে হট্টগোল

রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হয়। ভোট উপলক্ষে সকাল গড়াতেই একে একে পার্লামেন্ট ভবনে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা। এরপর জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় কারাবন্দি ইমরান খানের দল পিটিআই এবং পিএমএল-এন ও জোটের শরিক দলের এমপিরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাদের এই পাল্টাপাল্টি স্লোগানে জাতীয় পরিষদে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) সংসদ সদস্যরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পরিষদ থেকে ওয়াক আউট করেন। বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) মেঙ্গালের আখতার মেঙ্গল প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন বর্জন করেছেন। তিনি জাতীয় পরিষদে অবস্থান করলেও ভোট দেননি।


আরও খবর



৪৫ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে এস আলম সুগার মিলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত এস আলম সুগার মিলের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, আগুন তেমন আর নেই। মাঝেমধ্যে ফুলকি দেখা যাচ্ছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

এদিকে, চিনির কাঁচা রাসায়নিকের গলিত পোড়া বর্জ্য কারখানার ড্রেন দিয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলিতে। এতে করে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আর অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে, ছড়াচ্ছে গন্ধও।

কারখানার মূলফটক থেকে গুদাম পর্যন্ত পুরো রাস্তায় অপরিশোধিত চিনি গলে লালচে কালো কাদার মতো তরল ছড়িয়ে আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটাচ্ছেন। আগুনের বিস্তার ঠেকাতে গুদামের মুখে দেওয়া হয়েছে বালি। গুদামের ছাদের বেশিরভাগ টিন কালো হয়ে বেঁকে গেছে। ধোঁয়া ছড়াচ্ছে আশপাশে। কারখানা এলাকার ভেতরের রাস্তায় জমা চিনি গলা আস্তরণ এস্কেভেটর দিয়ে সরানো হচ্ছে। অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ার তীব্রতায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে। চিনি গলে যাওয়ার গন্ধও ছড়াচ্ছে। চিনির কাঁচামালের আগুনে পোড়া বর্জ্যগুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে কর্ণফুলি নদীতে। এতে করে নদী ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেসিং যন্ত্রপাতি এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার মূল প্ল্যান্টে আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার (০৪ মার্চ) বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ চিনিকলে আগুন লাগে। রমজান মাস ঘিরে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করেছিল এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এক লাখ মেট্রিক টন চিনি রাখা ছিল ওই চিনিকলে।


আরও খবর



মালদ্বীপে সাদা পোশাকেও থাকতে পারবে না ভারতীয় সেনা : মুইজ্জু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, সাদা পোশাকেও কোনো ভারতীয় সেনা মালদ্বীপে থাকবে না। আগামী ১০ মের পর কোনো ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা, এমনকি বেসামরিক পোশাক পরিহিতরাও মালদ্বীপে থাকবে না। আমি এটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি।

গতকাল সোমবার চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালদ্বীপ। এই চুক্তির আওতায় চীন মালদ্বীপকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা দেবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের দিনেই মুইজ্জু এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন। মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম দ্য এডিশনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

মালদ্বীপের তিনটি বিমানবন্দরের মধ্যে একটির দায়িত্ব নিতে একটি ভারতীয় বেসামরিক দল দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছার সপ্তাহ না পেরোতেই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর এমন বার্তা এলো। যদিও ১০ মার্চের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই দেশ আগেই একমত হয়েছে।

দ্য এডিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের বাএ অ্যাটল দ্বীপ সফরকালে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারতীয় সেনাদের বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য নিয়ে অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে, তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারা বলার চেষ্টা করছে, ভারতীয় সেনারা চলে যাচ্ছে না, তারা ইউনিফর্ম পাল্টে বেসামরিক পোশাকে ফিরে আসছে; কিন্তু আমাদের এমন চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়, যা আমাদের মনে সন্দেহ জাগায় এবং মিথ্যা ছড়ায়।

গত ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে দুইপক্ষের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ভারত ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপে তিনটি বিমানবন্দরে থাকা ভারতীয় সেনাদের স্থানান্তর করবে এবং প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ১০ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণেও মুইজ্জু একই ধরনের মন্তব্য করেন।

মালদ্বীপের তিনটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্মে ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন। মুইজ্জু গত বছর ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত মহাসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন।


আরও খবর