আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বহিষ্কৃতদের দলে ফিরিয়ে নিতে কাদেরকে রওশনের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদ দলের বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে নিতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে রওশনের চিঠির কথা তার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রওশন এরশাদ এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেন।

চিঠিতে রওশন উল্লেখ করেন, গঠনতন্ত্রের ২০-এর উপধারা-১ অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের বিশেষ ক্ষমতা এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ধারা ২০-এর উপধারা ১(১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ  এবং উপধারা ২-এর ক, খ, গ এবং উপধারা-৩-এ বর্ণিত অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারীমূলক বিধান স্থগিত করে জাতীয় পার্টির অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া সব নেতাকর্মীকে পার্টিতে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেওয়া যাচ্ছে।

চিঠিতে রওশন এরশাদ অব্যাহতিপ্রাপ্ত মসিউর রহমান রাঙ্গা, জিয়াউল হক মৃধা, আবদুল গাফফার বিশ্বাস, এম এ সাত্তার, দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, কাজী মামুনুর রশীদ, ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখকে দলে আগের পদে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

রওশন এরশাদের চিঠি প্রসঙ্গে জানতে জি এম কাদেরকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দলের একজন নেতা জানান, দ্রুতই চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রওশন এরশাদের চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় পার্টি।


আরও খবর



এক ঘণ্টা এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ এলাকায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়েছে অর্থাৎ রবিবার ভোর রাত ২টার সময় সকলকে ৩টা বাজাতে হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে রবিবার ১০ মার্চ থেকে শুরু হলো ডে লাইট সেভিংস টাইম। দিনের আলোকে কাজে লাগানোর এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ৩ নভেম্বর রবিবার ভোর রাত ২টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, স্মার্ট ফোন বা আই ফোনে আপনাআপনি সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী নিউইয়র্কে যখন রাত ১২টা বাজবে, ঢাকায় তখন হবে সকাল ১০টা। ঘড়ির কাটা আগ-পাছ করার আওতায় নেই আরিজোনা, হাওয়াই, আমেরিকান সামুয়া, গুয়াম, পর্তোরিকো ও ভার্জিন আইল্যান্ড।


আরও খবর



যেসব জেলায় হতে পারে শিলাবৃষ্টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের আট বিভাগের বহু এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টিও হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে দেওয়া আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা যায়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।

এছাড়া আগামীকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আর বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলায় ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে সৈয়দপুর, ডিমলা ও তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর



চাঁদাবাজির তুলনায় অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদাবাজির চাইতে অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা আসা পর্যন্ত কী পরিমাণ চাঁদা দেওয়া লাগে, আর সেই পণ্য কারওয়ান বাজার থেকে অন্য বাজারে নেওয়ার পর কী পরিমাণ দাম বাড়ে সবকিছুই আমরা অনুসন্ধান করেছি।’

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি’ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করছে। অধিক মুনাফার চিন্তা থেকেই এর প্রভাব বেশি পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, ভবিষ্যতে সব মহাসড়ক ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।‘

যারা অতি মুনফার লোভে দামবৃদ্ধি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই তারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে ৫ বছরের ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে কর বকেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা হয়।

ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

একটি ট্রাস্ট করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে (মোট টাকার ৬ শতাংশ) উত্তরসূরীদের কল্যাণের জন্য করলেন ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে এই রূপ বিধান রেখে দিলেন যে তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে ফিরে যাবে। তিনি এটা করলেন যাতে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে টাকাটা ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে এবং তারা ট্রাস্ট ২টির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর থাকে।

দানকর দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। দানকরের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তার আইনজীবী। আইনপরামর্শক বলেন, ট্রাস্ট গঠনের কারণে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিলেন যে, এরকম ক্ষেত্রে (অর্থাৎ প্রফেসর ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

আইনজীবীর পরামর্শের ভিত্তিতে টাকা স্থানান্তর করার সময় প্রফেসর ইউনূস কোনো কর দেননি। কিন্তু তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন যে, এক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন। তিনি টাকার অঙ্কটা রিটার্নসে উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেছেন। আইন পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রফেসর ইউনূস এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলেন। আদালত কর দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এখানে তার কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালতে সরকার যায়নি, প্রফেসর ইউনূস গিয়েছেন। কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন উঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। এখন প্রফেসর ইউনূস বিবেচনা করবেন তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন। করের আইন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, প্রফেসর ইউনূস তাহলে সে টাকাটা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই হলো কর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যয়ও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনো কখনো তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট উড়োজাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনো করতে হয় না।


আরও খবর