আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়ায় কুরবানি পশুর হাটে বেপরোয়া পকেটমার চক্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

ঈদের সামনে বগুড়া শহরে বেপরোয়া পকেটমার চক্র। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে পকেটমারদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। গবাদী পশুর হাট ও জনাকীর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন পকেটমার। এদের খপ্পড়ে পড়ে প্রায় প্রতিদিনই কারো না কারোর খোঁয়া যাচ্ছে টাকা, মানিব্যাগ বা মোবাইল ফোন।

সংঘবদ্ধ পকেটমার চক্রের সদস্যদের হাতে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ গবাদি পশু বিক্রেতা ও ক্রেতা সাধারণ। বিশেষ করে শহড় থেকে গ্রামাঞ্চলে আসা কুরবানি পশু ক্রেতা সাধারণদের তারা টার্গেট করে বেশি।

তবে পকেটমার চক্রের বিরুদ্ধে থানার পুলিশ ও আইন শৃঙংখলা বাহিনীর সদস্যে অভিযান শুরু করা হয়েছে। পকেটমার ঠেকাতে গরুর হাট গুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।

এ দিকে, ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে ধরা পড়া রুমন ও শফিকুলসহ কয়েকজন পকেটমারের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য। তারা তথ্য দিয়েছে যে, বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় সান্দারপট্টিতে হলো তাদের পকেটমার রাজ্য। সেইরাজ্যে বাস করে একশর বেশি পকেটমার। এ ছাড়াও ফুলবাড়ি, বগুড়া পাড়া, তিনমাথা কাটনার পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পকেটমার বসবাস করে।

পকেটমার দলে আছে নারী ও শিশু সদস্যও। তাদের একাধিক সর্দার রয়েছে। সর্দাররাই পকেটমারদের নিয়ন্ত্রণ করে। সর্দাররা পকেটমারতে তাদের বিচিত্র কায়দা শেখায়, বিচিত্র নাম দেয়। হরেক নামে ডাকে। এর মধ্যে কোন কোন পকেটমারের নাম যেমন মিরপুর, ছক্কা, ভোট, বড় বুদো প্রভৃতি। ইতিপূর্বে তারা ধরাও পড়েছে। সদর থানায় অপরাধ ফাইলের বোর্ডে তাদের ছবি টানানো রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সান্দারপট্টিতে কিভাবে পকেট মারতে হয় তা শেখায় ওস্তাদরা। বছর জুড়েই তারা বগুড়া শহর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে পকেটমারি করে মানুষের টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়। ঈদের সামনে তাদের তৎপরতা আরও বাড়ে। এক রকম সারা বছরের কামায় ঈদ মৌসুমেই করে থাকে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হাটে বাজারে চলে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার জন্য চলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা।

এ ছাড়া কারো কাছে মোটা অংকের টাকা থাকতে পারে এমন ইঙ্গিত পেলে তারা পরস্পর চেয়ারম্যান ও মেম্বার আছে বলে মাথা চুলকানোরো ভান করে ইশারা দেয়। সেই ইশারা পেয়ে সহযোগী পকেটমাররা কাজ সাড়ে। পকেটমাররা পুলিশকে বুবাই বলে। পুলিশকে তারা জমের মত ভয় করে।

পুলিশ দেখলেই বুবাই এসেছে বলে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওস্তাদরা পকেটমারদের শিল্পী আর ভুক্তভোগীদের ঠেকুয়া বলে ডাকে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পকেটমারদের প্রধান হাতিয়ার ব্লেড। তারা এই ব্লেড ব্যবহার করেই বেশি পকেট কাটে। তারা বিশেষ কায়দায় মুখের মধ্যে ব্লেড রাখে। আবার জনগণের হাতে ধরা পড়লে সেই ব্লেড দিয়ে নিজের জিহবা কেটে রক্তাক্ত করে।

তা দেখে অনেক সময় জনতা পকেটমারকে ছেড়েও দেয়। সাতমাথায় রাস্তা পার হতে গেলে পকেটমাররা একসাথে পার হতে যায়। যখন পথচারী যানবাহনের গতিবিধি রেখে রাস্তা পার হতে যান তখনই ঝোপ বুঝে কোপ মারে পকেটমাররা। পথচারীর অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে তারা পকেট ফাঁকা করে। এ ছাড়া তারা ডাকঘর, ব্যাংক, বীমা অফিস, হাট বাজার, বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ আদালত পাড়াসহ কমপক্ষে বিভিন্ন স্থানে এ সব পকেটমার সদস্যরা সক্রিয় থাকে।

ফলে তাদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হন সর্বসাধারণ। নিমিষে হাত থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে ব্যাগ,পকেট থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে মানি ব্যাগ, মোবাইল সেট, কেনাকাটা করা ব্যাগ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সব বিষয়ে ঝামেলা এড়াতে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ না করে কান্নাকাটি কিংবা হায় হুতাশ করে বাড়িমুখো হতে বাধ্য হন । ফলে এ বিষয়টি আইন  প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের কাছে অজানা থেকে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেন, পকেটমারদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। কুরবানি পশু ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে নির্বিগ্নে কেনা-কাটা করতে পারে। তিনি বলেন চলাফেরার সময় মানুষকে সতর্ক হতে হবে।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বে মামুন উল হক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইটিসি) প্রফেসর মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ ও প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি করা হয়।  সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। বোর্ডের জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির বিষয়ে তথ্য জানতে আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটে পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০)।

এই পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গত ১ এপ্রিল। তাদের দেওয়া তথ্যে কলিকে কুষ্টিয়া সদর এলাকা থেকে ধরা হয় গত ৫ এপ্রিল। পরে এই তিনজন  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর কলির জবানবন্দিতে জাল সনদ জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সেহেলার জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান ও সানজিদা আক্তার কলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা বিশ্বাসযোগ্য

জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি আসন্ন। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে

এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



কেমন হবে বৈশাখের সাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাংলা নববর্ষের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যায় যখন সুন্দরভাবে সেজে এই দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের সাজে নারী আরও বেশি অনন্যা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়িতে এদিন তাকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তবে গরমের সময় বলে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নয়তো সাজ নষ্ট হয়ে আপনাকে দেখতে উদ্ভট লাগতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেমন হবে বৈশাখের সাজ-

শাড়ি কেমন হবে

পহেলা বৈশাখের সাজে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুতির শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গরমের সময়ে সুতির শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আরাম পাবেন। তাই স্বস্তির জন্য সুতির শাড়িই উত্তম। সুন্দরভাবে পরলে সুতির শাড়িতেও আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। এক্ষেত্রে নতুন শাড়ি কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়িতে থাকা যেকোনো পরিষ্কার শাড়ি পরতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার সামর্থ্য আর ইচ্ছার ওপর।

মানানসই ব্লাউজ

শুধু শাড়ি নয়, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মানানসই না হলে দেখতে ভালোলাগবে না। আবার সুন্দর একটি ব্লাউজ আপনার সাজ আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এই সময়ে যেসব ব্লাউজ বেশি ট্রেন্ডিং সেসব থেকে একটি বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে শাড়ির রং কিংবা শাড়ির ঠিক উল্টো রংটিও বেছে নিতে পারেন।

গয়না কেমন হবে

পহেলা বৈশাখে গয়না না পরলে দেখতে ভালোলাগবে না। সুন্দর একটি শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে দেখতে আরও বেশি পরিপাটি লাগবে। গয়নার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আর স্বস্তির বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন। তবে বৈশাখের সাজে বেশি মানানসই কাঠ, মাটি, পুতি, কাপড় ইত্যাদির গয়না। গলায় বড় কোনো গয়না পরলে কানে হালকা গয়না পরুন। আবার কানে ভারী গয়না পরলে গলায় হালকা পরুন। এতে দেখতে ভালোলাগবে। চাইলে এই দিনে পরতে পারেন ফুলের গয়নাও।

ছবি : ফ্যাশন হাউজ মিরা। অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন : www.facebook.com/mirabrandbd অথবা https://mira.com.bd


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




উদ্ধার হয়েছে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ফলে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছিল।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: যমুনা এক্সপ্রেস

আরও খবর