আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়া ধান ক্রয়ে ওজনে কারচুপি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

চলতি ইরি-বোরো মওসুমে বগুড়ার আদমদীঘিতে বোরো মওসুমে ধানের ফড়িয়া, আড়ৎদার ও মহাজনরা সের ও কেজির মারপ্যাঁচে ধান ভেজা ও কাঁচা অজুহাতে ফাউ নিয়ে এবং ওজনে কারচুপি করে এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে শত শত মণ ধান আত্মসাৎ করছে।

এলাকার ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীরা এক বস্তা ধান যে দামে কিনে সেই দামে আড়ৎদার ও মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করলেও তাদের লাভ থাকে। এর নাম হলো সের কেজির মারপ্যাঁচ। দেশের শহরাঞ্চলে সব পরিমাপ কেজি ওজনে হলেও উত্তরাঞ্চল জুড়ে ধান চালের বাজারে এখনো চলে সের মণের ওজন। সের মণের ওজনে ধান কেনা বেচা না হলেও মেপে নেয়া হয় কেজির বাটখারায়। আর এখানেই হিসাবের মারপ্যাঁচে কৃষককে ঠকানো হয়। স্থানীয় প্রশাসন যেমন উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ হাট-বাজার ইজারা দিলেও হাটবাজারের এই অনৈতিক বিষয়গুলো দেখভাল করেন না।

মেট্রিক পদ্ধতির ওজন ব্যবহার না করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও নিয়মিত এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় না। এ এলাকার কৃষকেরা ধান ব্যবসায়ীদের এসব কারচুপি থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন স্থানে মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো ফল পায়নি। মহাজন ও ব্যবসায়ীদের এসব কারচুপি থেকে বাঁচার জন্য এবং ফাউ নেয়া বন্ধের জন্য  প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকসমাজ।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুলের প্রয়াত চারণ কবি মোসলেম উদ্দিন ছন্দ ছড়ায় লিখে গেছেন, ধান ফলায় চাষি আর লাভ খায় মাসী। এই মাসী হলো আড়তদার, মহাজন, ব্যবসায়ী ও বড় ভূস্বামী। কবি মোসলেম উদ্দিন আরো বলতেন কৃষক ফলায় ধান, ব্যবসায়ী পায় মান। কৃষক কষ্ট করে ফসল ফলালেও তার সঠিক দাম ও সম্মান পায় না। অপর দিকে ব্যবসায়ীরা লাভ পায় ও সম্মানিত হয়।

জানা যায়, উপজেলার প্রায় ১০ থেকে ১২টি হাট-বাজার সহ বিভিন্ন পয়েন্টে এবং পাকা সড়কের ধারে ধান কেনা-বেচার হাট বসে। এসব বিক্রয় কেন্দ্র ও হাটবাজার স্থানীয় প্রশাসন প্রতি বাংলা বছরে ইজারাও দিয়ে থাকে। এসব হাট থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও হাট ইজারাদাররা টোল পায়। এ থেকে সরকারের লাখ লাখ টাকা আয় হয়। এসব হাট-বাজার ও বিক্রয় কেন্দ্রে ওজনের চেয়ে বেশি নেয়া, অতিরিক্ত টোল আদায় এসব বিষয় দেখা হয় না। এ অঞ্চলে দুচারটি হাটবাজার ছাড়া প্রত্যেক হাট বাজার ও আড়তে কেজির বাটখারায় সেরের ওজন পরিমাপ করা হয়। কেজি থেকে সেরে পরিবর্তন সহজে সাধারণ মানুষ বুঝে ওঠে না। আড়ৎদার মহাজন ধান ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত ধান মেপে নেয়। এতে সাধারণ কৃষকদের বলার কিছু থাকে না। অনেক কৃষক বাধা প্রদান করলে তাদের ধান আর নেয় না। তখন বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের।

এ অঞ্চলে দুই মণে এক বস্তা হিসেবে ধান বিক্রি হয়ে থাকে ওজন দেয়ার সুবিধার্থে। ৭৫ কেজিতে দুই মণ ধরে এক বস্তা হিসাব করলে কৃষকদের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীরা আড়ৎদার মহাজন ও ধান ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সময় প্রতি মণে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই কেজি ফাউ নিয়ে থাকে। এ ধানের দাম আড়ৎদার মহাজনরা তাদের দেয় না। বরং নানা কায়দায় ওজনের মারপ্যাঁচে ফেলে তারা সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে বছরে শত শত কেজি ধান আত্মসাৎ করে থাকে।

এভাবে ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীরা মিল মালিকরা প্রতি মওসুমে একই ভাবে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল আত্মসাৎ করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ বুনে গেছে। অপর দিকে প্রান্তিক চাষিরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলে কৃষকদের কোনো সংগঠন নেই। আর কৃষকদের সংগঠন নেই বলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এসব ওজনের মারপ্যাঁচ ও কৃষক ঠকানো দেখেও দেখে না।

এলাকার ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীরা জানায়, মিল মালিকরা আমাদের নিকট থেকে এভাবেই ধান কিনে থাকেন। তাদের ৩৯.২৫ কেজির স্থলে সাড়ে ৩৭ কেজি দিলে এক কেজির দাম কম দিয়ে থাকেন। ফলে এলাকার কৃষকদের নিকট থেকে আমরা বাধ্য হয়ে সাড়ে ৩৭ কেজির জায়গায় ৩৯.২৫ কেজি হিসাবে ক্রয় করতে হয়। উপজেলার সদরর ইউনিয়নের জিনইর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন, কেশরতা গ্রামের কৃষক চঞ্চল হোসেন, চড়কতলা গ্রামের কৃষক শিশির সরকার, তালসন গ্রামের কৃষক হাবুল উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল ওয়েট মেশিনে ওজন দিয়ে সাড়ে ৩৭ কেজির জায়গায় ৩৯.২৫ কেজিতে মণ হিসেবে ধান ক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ দুই মণের বস্তায় গড়ে ২ থেকে আড়াই কেজি ধান ওজনে বেশি নিয়ে আমাদের ঠকানো হচ্ছে।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বড় বড় মিলারদের কাছে তাদের সাড়ে ৩৭ কেজির জায়গায় ৩৯ কেজিতেই তাদের বিক্রি করতে হয় বলে ক্রেতাদের কাছ থেকে তারা এভাবে ধান কিনে থাকেন। আদমদীঘির কুসুম্বী বাজার, কুন্দগ্রাম বাজার, চাঁপাপুর বাজার ও নশরতপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে এসব কারচুপি ও ফাউ নেয়ার সংস্কৃতি চালু আছে।

এবিষয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় কৃষকদের ঠকিয়ে ধান ক্রয় করে আসছে। কোন ভাবেই এদের প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া

আরও খবর



বাঙালির দুয়ারে কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্যাডেলে পা দিয়েছে বাঘ, রিকশা নিয়ে ছুটবে এবার শহর থেকে গ্রাম। কোথাও আবার সে রিকশায় সওয়ার হয়েছে চতুর শেয়াল পণ্ডিত। যেখানে খুব আদরে মুরগি বাঁধা, সেখানেই রিকশা নিয়ে ছুটে চলা। আয়োজকেরা বলছেন, রূপ কথার গল্প আছে, শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালা। সেটাকে কেন্দ্র করেই এই থিম।

অন্যদিকে তোড়জোড় বাঁশের বেণী বাঁধার। সেই বেণীতে আঁজলা হাতে আঙুলের আলতো চাপে আদল পাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিকৃতি। প্রতিটিই বাঙারির চিরায়ত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রামে-বন্দরে, জলে জঙ্গলে। একজন জানান কবুতর, হাতি ও ট্যাপা পুতুল থাকছে তাদের থিমে। অপরজন জানান গ্রামীণ লোক শিল্প তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

এবার পহেলা বৈশাখ আসছে ঈদের ছুটির সঙ্গে পিঠাপিঠি হয়ে। তাই ছুটির আমেজে কমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সংখ্যা। তবু পিছিয়ে নেই আঁকিবুঁকি। বড় কিংবা ছোট মোটিফে আগের মতোই থাকছে হুতোম পেঁচা কিংবা বাঘ। সরায় কিংবা কাগজের ক্যানভাসে দৃশ্যপটের পসরাও বসেছে বিক্রির জন্য। এবার জীবনানন্দ দাশের তিমির-হননের গান কবিতা থেকে ঠিক করা হয়েছে প্রতিপাদ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন জানান, এই ছোটখাটো জিনিসগুলো যেগুলো তৈরি হয়, সবগুলোর মধ্যে লোক শিল্পের টাচ থাকে। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতির যে ঐতিহ্য, সে ঘরে তা নিয়ে যাচ্ছে। এর ভাষা ও বিশিষ্টের সঙ্গে সে পরিচিত হচ্ছে। সুতরাং এটা দু-তিনটা পারপাস সার্ভ করছে।

নিউজ ট্যাগ: পহেলা বৈশাখ

আরও খবর



জুমাতুল বিদা’য় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রমাদান।’ অর্থাৎ, বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান- জুমাতুল বিদার খুতবার মধ্য দিয়ে রমজানকে বিদায়ের প্রস্তুতি নেবে মুসলমানরা। একইসঙ্গে আজ দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনায় দোয়াও করেন মুসল্লিরা। সে উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দেখা যায়- নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে মসজিদ। সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে মুসল্লিদের উপস্থিতি। অন্যরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে জুমা পড়তে আসেন শিশু-কিশোররাও।

নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ করা হয় যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেসব দিবসে সূর্য উদিত হয় তার মধ্যে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা, সেদিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। একই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। আবার পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করেন। এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। এই শুক্রবারই কিয়ামত সংঘটিত হবে। এই পুণ্য দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।’ (সুনানে তিরমিজি ৪৯১, সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬)

জুমাতুল বিদা রোজাদারদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মাহে রমজানের সমাপনান্তে এ বছর এর চেয়ে ভালো দিবস আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এই পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক দিনদার মুমিন-মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।’

আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবেকদর পালিত হবে। কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী, কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সারা বিশ্বের মুসলিমরা ইবাদত-বন্দেগিসহ বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে এই মহিমান্বিত রজনী। অবশ্য লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাতেই হতে পারে।

আল্লাহর অনুগ্রহ, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস রমজান। সুনানে তিরমিজিতে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন (নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য) এত বেশি পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়েতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ খরায় ভুগছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ জিম্বাবুয়ে। আর এরই জেরে এবার খরা মোকাবিলায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া ক্ষুধা মোকাবিলায় বিপুল অর্থ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দেশটি। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী খরা সংকট মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া দেশটিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন। নানগাগওয়া বুধবার বলেছেন, কম বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট খরা ও ক্ষুধা মোকাবিলায় তার দেশের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। মূলত বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে দেশটির প্রায় অর্ধেক ভুট্টা ফসল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

এদিকে শস্যের ঘাটতি জিম্বাবুয়েতে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এতে করে আনুমানিক ২৭ লাখ মানুষ ক্ষুধার মুখোমুখি হবে। এছাড়া প্রতিবেশী জাম্বিয়া এবং মালাউইও সম্প্রতি খরার কারণে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চলমান এই খরা হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ বর্তমানে এই অঞ্চলে সংকট স্তরের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া বলেন, সমস্ত জিম্বাবুয়ের জন্য খাদ্য সুরক্ষিত করাই আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের কোনও নাগরিককে ক্ষুধায় আত্মহত্যা করতে বা মরতে হবে না।

জিম্বাবুয়ে অবশ্য ইতোমধ্যেই খাদ্য মূল্যের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত ভুট্টা খুঁজে পেতে আঞ্চলিক লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

বিবিসি বলছে, জিম্বাবুয়ে একসময় আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফসল এবং গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছে দেশটি। আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ খরা ঘটেছিল ১৯৯২ সালে। সেসময় দেশটির গবাদি পশুর এক-চতুর্থাংশই মারা গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমবর্ধমান শুষ্ক আবহাওয়া আবারও ফিরে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে এবং এরপর ২০১৯ সালেও দেশটিতে খরা ঘোষণা করা হয়েছিল।

যদিও সব খরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না, তবে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত তাপ পৃথিবী থেকে আরও বেশি আর্দ্রতা বের করে দেয় এবং এতে করে খরা আরও বেশি খারাপ হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবী ইতোমধ্যেই প্রায় ১.২ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উষ্ণ হয়েছে এবং বিশ্বের সকল দেশ কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে হ্রাস না করলে তাপমাত্রা আরও বাড়তেই থাকবে।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।

পরে আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

মামলার বিষয়ে ড. ইউনূস জানান, অনেক দিন ধরে তার ওপর বালা-মুসিবত। দেশের ওপরও এসেছে। তিনি ও দেশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই।

শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। সারা বিশ্ব বাংলাদেশ থেকে শিখতে চায়। তবে, দেশের মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, সেভাবে পারছে না। মানুষ আইনের শাসন পাচ্ছে না।


আরও খবর