শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল, গোড়তা, বালেন্দা ও ভাদড়া গ্রামবাসী ও আদীবাসীর সঙ্গে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।
আম্বইল গ্রামে সোলাইমান মাস্টারের ৪ বিঘা জমিতে রবিবার সকালে হাল দিয়ে চাষ করে ধান রোপন শেষ করে। দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় আদিবাসী নেতারাসহ প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন আদিবাসীরা জমিতে বাধা দেয়। পরে সোলাইমান মাস্টারের বাড়ি থেকে দশ বিশ জন লোকজন গেলে তাদেরকে মারধর করে এমন সময় আদীবাসী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে।
এই সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলের গ্রামবাসী- সোলাইমান মাস্টার (৬২) পিতা মৃত. তছির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন সরকার (৫০), হায়দার আলী (৪৫), মিলন সরকার (১৭), ফারুক হোসেন (৩৮), আছাবুদ্দেীলা (৩৮), টুটুল হোসেন (৩২), নুরুন্নবী সরকার (৩২), সাঈদ হোসেন (৪৫), ফজলুল হক (৪৮), জুয়েল রানা (৩৮), নুর হোসেন (২৮), আব্দুল বারিক (৫১), লিটন হোসেন (২৭), তরিকুল ইসলাম (৩৪) আদীবাসীরা হলেন, তিখনা (৫০), রিপন (১৮), শুখী রানী (৩৫), কাদু সিং (৬০), মিনা রানী (৩৫), পোলান ১৮), প্রদীব (৩৮), দিলীপ (৪০), শুশিল (৬০) রত্না (২৫), সোহাগী (২৫) হৃদয় (২৫), মালতী (৬০), আকাশ (১৮), নাদু (৫৫), প্রবীর (২২)সহ ৫০জন আহত হয়।
আদীবাসীরা জানান, আগমী মঙ্গলবার ইউএনও অফিসে মিটিং ছিল। কিন্তু তারা কোন কিছু না মেনে ধান চাষ করছিল। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এখন আদীবাসীরা কালিতলা অবস্থান করছে ও গ্রামবাসীরা আম্বইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে।
শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।