আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বেতাগীতে তরুণদের উদ্যোগে মানবতার দেয়াল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ ডিসেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ ডিসেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

Image

বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে ভরা উপজেলা শহরের দেয়ালগুলোর দাগ পড়া চিহ্ন যেন বলে দেয় এই শহরের মানুষদের মানবতা বোধেও কতটা কালি পড়ে গেছে। তার পরও কিছু মানুষ সে দেয়ালে সাদা রং মেখে দিয়ে সাদা মনের চিহ্ন রেখে প্রমাণ করেন, মানবতা আছে, থাকবে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ দেশের সূর্য সন্তানরাই বারবার তৈরি করবে মানবতার মানবিক দেয়াল। শীতার্ত মানুষদের জন্য গরম কাপড় সংগ্রহ করতে এমনই এক মানবতার দেয়াল তৈরি করেছে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রিন পিস সোসাইটি'র তরুণ তরুণীরা।

এলাকার মানুষ এবং অন্য শিক্ষার্থীরা বলছে, একটি ভালো উদ্যোগ বদলে দিতে পারে অনেকের জীবন। মানবতার দেয়াল তৈরি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে প্রশংসার জোয়ার। বিষয়টি প্রথম কে শুরু করেছে সেটা জানা না গেলেও একটি দেয়ালে মানবতার দেয়াল নামে দেখার পরে সেটাতে অনুপ্রাণিত হয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়েছে।

গত শুক্রবার সরেজমিনে বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পশ্চিম পাসে গিয়ে দেখা যায়, শহরে বড় ব্রিজের ঢাল দিয়ে নামার সময় হাতের ডান দিকে হাইস্কুল রোডে যাবার সময় পাশের দেয়ালের মাঝে ব্যানের লেখা আপনার যা অপ্রয়োজন দিয়ে যান আর অন্য পাশে লেখা আপনার যা প্রয়োজন নিয়ে যান "দিতে গর্ববোধ করবেন না " নিতে লজ্জাবোধ করবেন না"।

মাঝ বরাবর দেয়ালে লেখা আছে মানবতার দেয়াল। দেয়ালের গায়ে লাগানো হ্যাঙ্গারে ঝুলছে শার্ট, শীতের কাপড়, গেঞ্জিসহ বিভিন্ন পুরনো পোশাক। যেখান থেকে রিকশাচালক থেকে শুরু করে অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন শীত থেকে রক্ষা পেতে নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক। এমন মানব দেয়াল তৈরি করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রিন পিস সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্নার নেতৃত্বে সংগঠন এর স্বপ্নদ্রষ্টা মোঃ মাহামুদ হাসান, মোঃ আরিফুল ইসলাম মান্না,  সাইফুল ইসলাম রিয়াজ, মাহি বুরহান সিয়াম,  মোঃ সুমন মিয়া, মোঃ ইমাম প্রমুখ।

দেখা যায়, বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালে লাগানো হ্যাঙ্গারগুলোতে এলাকার মানুষ ও সংগঠনপর সদস্যরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের পুরনো পোশাক এনে রাখছেন।

তেমনই একজন স্কুল ছাত্রী নুপুর তিনি বলেন, আসলে এই সময়টায় অনেকেই শীতের পোশাক সংগ্রহ করে এবং শীতার্তদের মধ্যে দিতে চায়; কিন্তু সঠিক জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছানো যায় না। এখানে আমরা রেখে যাচ্ছি, যার প্রয়োজন সে নিয়ে যাচ্ছে। দেখা গেল, কেউ কেউ আবার নতুন পোশাকও দিচ্ছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বেতাগী উপজেলা সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম মন্টু বলেন, আসলে আমরা ছেঁড়া টাকাটা ফকিরকে আর মসজিদে দেওয়ার জন্য রেখে দিই। সেটা খুবই দুঃখজনক। ছেঁড়া জামা-কাপড় দিলে সেই কাপড় পরার মতো অবস্থা থাকে না। তাই যাদের যা সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ী নতুন কাপড়ও দেওয়া জরুরি। তরুণ তরুণীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই,  এমন উদ্যোগ বদলে দিবে এই সমাজ।

তবে এভাবে রেখে গেলে কেউ আবার একসঙ্গে সব নিয়ে যায় কি না? সেটা নজর রাখা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের উত্তরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রিন পিস সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, সেটা করার সুযোগ নেই। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা এবং পাশের ফুটপাতের দোকানিরাও নজর রাখেন। প্রযুক্তির যুগে যখন মানুষ সারাক্ষণ অনলাইনে নিজের চিন্তাভাবনা, আবেগ, অনুভূতি বিলাতে ব্যস্ত! তখন কোন চিন্তা থেকে এমন উদ্যোগ নিলেন এই কয়েকজন? এমন প্রশ্নের উওর খুজতে গেলে  একজনকে পাওয়া গেলেও নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন। তিনি বলেন, ‘‘আসলে মানুষ মানবতা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। সবাই নিজেদের মধ্যে শত্রুতা বাড়াতে ব্যস্ত। ভয় কিসের আমি তো আছি এই কথা বলার মতো কেউ নেই। আমরা কয়েকজন চিন্তা করেছি, এমন কিছু করি, যাতে করে আমরা না থাকলেও মানুষের উপকার হবে। সে জন্যই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া।"

রিকশাচালক কুদ্দুস হাওলাদার নিজের জন্য শীতের কাপড় নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ভাই, গরিব মানুষ, তাই কিনতে পারি না। আবার মাইনষের কাছ থেইক্যা হাত পাইত্তা নিতেও শরম লাগে। এই জায়গা ঝুলাইন্না আছে দেইখা ভাবছি কেউ দেখব না; কিন্তু আপনি দেইক্কা ফেলছেন। তয় যারা এই কাম (ব্যবস্থা) করছে, তারা খুব ভালা মানুষ। আল্লাহ হেগো ভালা করুক।


আরও খবর



দীর্ঘ ছুটিতে ঈদযাত্রা, বাস ট্রেন লঞ্চে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অফিস ছুটি হয়নি এখনো। পরিবার নিয়ে যেতে হবে গ্রামে। ঈদের ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে সবাই বাড়ির পথ ধরবে। এতে বাড়বে চাপ। এজন্য পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।

শনিবারও রাজধানী ছাড়বেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ। ঈদের লম্বা ছুটি ঘিরে মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করায় সড়ক, নৌ ও ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রী বেড়েছে আকাশপথেও।  তবে এখনো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়নি। যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার মসজিদে মসজিদে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটির সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। এজন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদে খতিবরা এবং কোথাও পুলিশ সদস্যরা এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে গ্রামে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আবার শহরে ফিরতে পারে।

ঈদে বাসযাত্রা : ফজরের নামাজের পর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ঈদযাত্রায় পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই বাসগুলো একের পর এক স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী মোড়, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন। বাস সংকটে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়ে।

ঢাকা-চাঁদপুর রুটের পদ্মা পরিবহণের সুপারভাইজার মকবুল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। শনিবার সাহরির পর তা আরও বেড়েছে।

ঢাকা-সিলেট রুটের মিতালী পরিবহণের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনশ টাকা বাড়তি দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী চাকরি করেন। তাকে ঢাকায় রেখেই ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সে কারণে আমরা আগেভাগে চলে যাচ্ছি।

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।

গাবতলী বাস টার্মিনাল : গাবতলী বাস টার্মিনালের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে শুক্রবার যাত্রীর তেমন একটা চাপ ছিল না। বেশিরভাগ কাউন্টার ছিল ফাঁকা। ঢাকা-বরিশাল রুটের দর্শনা পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার আল আমিন বলেন, গাবতলীতে রানিং (এসেই টিকিট কাটবেন এমন) কোনো যাত্রী নেই। যারা অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছেন তারাই শুধু আসছেন।

সদরঘাট নৌটার্মিনাল : সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রী ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। তবে খুব বেশি চাপ ছিল না। ফলে নৌপথের যাত্রায় এখনো অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিআইডব্লিউটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী ও টার্মিনালে নৌপুলিশের একাধিক টিম টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় অর্থঋণ আদালতের পেশকার। পরিবার নিয়ে থাকেন পুরান ঢাকায়। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি।

ট্রেনযাত্রা : এদিকে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনযাত্রা ছিল স্বস্তির। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ রোধেও কাজ করছি। আমরা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সিটবিহীন টিকিট বিক্রি করছি।


আরও খবর



ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িসহ কেএনএফের ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত জিপগাড়িসহ পৃথক অভিযানে কেএনএফের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রুমা-থানচিতে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় আটটি মামলায় সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, গতকাল রোববার রাতে থানচি থেকে একজন এবং রুমা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সদরের স্যারণপাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের দীর্ঘলাইন। বেড়েছে ভোগান্তিও।

প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক লুট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর



ফখরুলের কাছে ৬০ লাখ কারাবন্দির তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাবন্দি থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। একটা সময় তারা বলেছে ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কীভাবে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জেলে থাকা ৬০ লাখ লোকের তালিকা দিতে হবে। এই তালিকা আমরা দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। দেশের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা নেই। ৭১-এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?


আরও খবর



রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তে ইসরায়েল ব্যাপক কামানের গোলাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর।

এদিকে, গাজার গণকবর পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক পরিচালক রথ বলেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও তদন্তের জন্য গণকবর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা অসম্ভব নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরায়েল এমন স্বাধীন তদন্ত হোক, তা চাইবে না।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ। এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ কারণে ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম থাকা সত্ত্বেও কেন হিট অ্যালার্ট দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আগামী দুইদিন বাড়বে। আজ একটু কম হলেও বেড়ে যাবে। তাই হিট অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বুধবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একই সময় পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলা ও ঈশ্বরদীতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর