
বরগুনার বেতাগীর
আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও সু-খেজুরের রস-গুড়। রস আহরণে গাছিরা
কোমরে দড়ির সঙ্গে বৃদ্ধি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচাছোলা এ নলি বসানোর
কাজ এখন আর দেখা যায় না। চোখে পড়ে না গ্রাম বাংলার সেই দৃশ্য, তেমনি দুষ্প্রাপ্য
হয়ে উঠেছে খেজুরের রসও। অথচ খেজুর গাছ হারিয়ে গেলে এক সময় হারিয়ে যাবে খেজুর রস
ও খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য।
দেখা মেলে না শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষীর পায়েস ও পিঠে খাওয়ার ধূম। এখন আর আগের মত খেজুরের রসও নেই, নেই সে পিঠে রেস বেতাগী, পাথরঘাটা ও রামনায় সহ পটুয়াখালীর কলাপাড়া, মহিপুর, কুয়াকাটার সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে ফুল দিয়ে বানানো হতো বিভিন্ন রকমের গুড়ের পাটালি ও নালি গুড়। খেতেও যেমন সুস্বাদু, চাহিদাও ছিল না।