আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বেতাগীতে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, স্যালাইনের হাহাকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

Image

বরগুনার বেতাগীতে বাড়ছে ডেঙ্গু প্রকোপে কেড়ে নিয়েছে ৪ জনের প্রাণ। চলছে শিরায় দেওয়া স্যালাইনের হাহাকার।

এ বছরের মত এত বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু আগে কখনো দেখা যায়নি। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গুর প্রকোপবৃদ্ধিতে রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে বাজারেও শিরায় দেওয়া স্যালাইন কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে  মিললেও বেশি দাম দিয়ে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে এমনই অভিযোগ একাধিক ক্রেতাদের।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে উপজেলার মোকমিয়া ইউনিয়নের জোয়ার করুনা গ্রামের উত্তম মল্লিকের গৃহীনী স্ত্রী শিল্পী রানী (৩৮), বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের আব্দুল জালিল (৫০), বেতাগী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন (৬৫) ও ১নং ওয়ার্ডের মো: শাহ আলম (৩২)র মৃত হয়। গত কয়েক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এরা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের অনেককে বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠনো হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এক দিনের ব্যবধানে শনিবার দুইজন মারা যান।

সোমবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাসেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে জুলাই মাস থেকে এর প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেয়ে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হয়। বেতাগী হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা হাসপাতালে ১৮৬ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

বেতাগী হাসপাতালে দেখা যায়, বর্তমানে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। উপজেলার কদমতলা থেকে আসা সীমা বেগম (২৭) গত ২১ সেপ্টেম্বর এখানে ভর্তি হন। সেদিন থেকে তাঁকে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হয়েছে। আজও তাঁর জন্য হাসপাতালের বাইরে থেকে চড়া দামে ২০০ টাকায় স্যালাইন কেনা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্র জানায়, উপজেলার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালেও সাধারণ স্যালাইন (এনএস) ও গ্লুকোজ-সোডিয়াম ক্লোরাইড (ডিএনএস) উভয় স্যালাইনের মজুতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ওষুধের দোকানগুলোতেও এই সংকট রয়েছে। বেতাগী পৌর শহরের একাধিক ফার্মেসির মালিক ও ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না। সিফাত মেডিকেল হলের মালিক হাফেজ মো: আলাউদ্দীন জানান, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্যালাইনের জন্য প্রতিদিন মানুষ ভীড় জমাচ্ছে। কিন্ত সংকটের কারণে তাদের মাঝে সরবরাহ করতে পারছি না। 

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্কর বলেন, ডেঙ্গ রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি হতে পারে। স্যালাইন চেয়ে ইতোমধ্যে চাহিদাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। এটা পেলে সংকট কেটে যাবে।

বাজারে কেন স্যালাইন সংকট চলছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, আমদানি করা স্যালাইন উপজেলা পর্যায় পৌঁছালে আশা করি সমস্যা আর থাকবে না। তবে যাতে বাজারে কোন সংকট না থাকে সে বিষয় আমরা স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতা ও কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালাবো।


আরও খবর



শীত নামবে কখন, যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী দেশে শীতকাল আসতে এখনো ১০ দিন বাকি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আরও আগে থেকেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় এখনো তেমন ঠান্ডা অনুভব হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বরের চেয়ে এ বছরের নভেম্বর মাস অনেকটা উষ্ণ ছিল। ডিসেম্বর মাসেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দ্রুতই দেশে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এ মাসে আবার মাঝারি আকারে শৈত্যপ্রবাহেরও আশঙ্কাও আছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর প্রভাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা রয়েছে। ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে সকালে। দেশের অন্যত্রও বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, আগামীকাল (বুধবার) বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। রাজধানীতেও কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। এই মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি চলে যাওয়ার পরই তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তাতে শীত অনুভূত হবে অপেক্ষাকৃত বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সারা দেশেই আকাশ কমবেশি মেঘলা থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর থেকে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৯৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৫৭৭ জন মারা গেলেন। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জনে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ১২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যান গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশে গত ১৫ নভেম্বর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মারা গেছেন, যা একদিনে এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ২১ জন মারা যান, যা ডেঙ্গুতে এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বরও ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আসনে ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী আসন গোপালগঞ্জ-৩-এ মোট পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।

আজ সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ইসির দেওয়া বৈধ প্রার্থী সংখ্যা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনাসহ আরও আট প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে যাচাই-বাছাই শেষে এই আসনে পাঁচজনকে বৈধ প্রার্থী রেখে বাকি তিনজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

সারাদেশের মোট ৩০০ আসনের কোথাও একক বৈধ প্রার্থী দেখা যায়নি। ৩০০ আসনেই একাধিক বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে বিদেশিরা সন্তুষ্ট : ইসি আলমগীর

ইসির তথ্যমতে, ৩০০ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন করে বৈধ প্রার্থী দেখা গেছে বগুড়া-৭, ময়মনসিংহ-৩ ও ঢাকা-৫ আসনে। সব থেকে কম বৈধ প্রার্থী দেখা গেছে শেরপুর-২ আসনে। এখানে মোট বৈধ প্রার্থী দুজন। এ ছাড়া তিন জন করে বৈধ প্রার্থা আছেন রংপুর-২, জামালপুর-১ ও জামালপুর-২ আসনে।

অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্রের বৈধতা চেয়ে আপিল করেছেন নির্বাচন কমিশনে। ইসির আপিল শুনানি শেষে অনেক প্রার্থী ফিরে পাবেন প্রার্থিতা। ফলে এবার ভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব দল অংশ নিচ্ছে সেগুলো হলো জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামে বসানো হচ্ছে আরও ১ লাখ প্রিপেইড মিটার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) আরও এক লাখ গ্রাহক পাচ্ছেন প্রিপেইড মিটার। মিটার বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে। জাপান থেকে আনা হচ্ছে এসব প্রিপেইড মিটার। আগামী ২৯ নভেম্বর মিটারের প্রথম চালান দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, কর্ণফুলী গ্যাসের মোট ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ন্যাচরাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। জাইকার অর্থায়নে ২০১৫ সালে হাতে নেওয়া ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি কমে আসায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।

আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প শিরোনামে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে এক লাখ মিটার স্থাপনের জন্য দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সংস্থাটির নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পটি মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত ও গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করা। তবে নানা জটিলতার কারণে পিছিয়ে যায় এ প্রকল্পের কাজ। এরপর প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পাশাপাশি সময় বেড়ে হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম বলেন, চট্টগ্রামে আরও এক লাখ প্রিপেইড মিটার বসছে। এসব মিটার বসানোর জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োকিকি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এসব মিটার নগরী ও জেলায় বসানো হবে। গ্রাহক যত গ্যাস ব্যবহার করবেন তত বিল দিতে হবে। এর সঙ্গে ১০০ টাকা মিটার চার্জ দিতে হবে। এর বাইরে ডিমান্ড চার্জ বা ভ্যাট বাবদ কোনও অর্থ গুনতে হবে না গ্রাহকদের।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে আবাসিকে ৬ লাখ গ্যাসের চুলা আছে। প্রথম ধাপে ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। এতে দেখা গেল অনেক গ্রাহকের বিল কমে এসেছে। এতে সাশ্রয় হয় গ্যাস। প্রিপেইড মিটারের কারণে গ্যাস অপচয় কমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেজিডিসিএল দ্বিতীয় ধাপে আরও এক লাখ মিটার বসানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগামী ২৯ নভেম্বর প্রিপেইড মিটারের প্রথম চালান দেশে পৌঁছাবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মিটার লাগানোর কাজ শুরু হবে।

এই মিটারে গ্রাহকের খরচ কমবে জানিয়ে নাহিদ আলম বলেন, প্রিপেইড মিটারে প্রতি চুলায় গ্রাহকের সাশ্রয় হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জের মতোই গ্রাহকরা মিটারে প্রয়োজনীয় গ্যাসের টাকা রিচার্জ করতে পারবেন।

কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগর ও জেলার এক লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর সদরঘাট, বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, চকবাজার, হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, ইপিজেড, বাকলিয়া, কোতয়ালি, ডবলমুরিং, বন্দর, পতেঙ্গা, আকবরশাহ এবং জেলার হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী এবং চন্দনাইশ উপজেলার কেজিডিসিএল গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটার পাবেন।


আরও খবর



জেলেদের জালে সামুদ্রিক বিষধর নীল ব্যান্ডেড সাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে একটি সামুদ্রিক বিষধর সাপ। এটি কর্ডাটা পর্বের ইলাপিডা পরিবারের বিষধর সামুদ্রিক সাপ, যাকে সাধারণত অ্যানুলেটেড সামুদ্রিক সাপ বা নীল ব্যান্ডেড সামুদ্রিক সাপ বলা হয়।

গত মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার উপকূলের পেঁচার দ্বীপে এই সাপটি জেলেদের টানা জালে ধরা পড়ে। সাপটি এখন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) মেরিন স্পেসিমেন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।

কক্সবাজারের সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমুদ্রবিজ্ঞানী তারিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের টানা জালে ধরা পড়া সামুদ্রিক সাপটি বিওআরআইর মেরিন স্পেসিমেন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। এটি হাইড্রোফিস সায়ানোসিক্টাস; প্রধানত কর্ডাটা পর্বের ইলাপিডা পরিবারের বিষধর সামুদ্রিক সাপ। যাকে সাধারণত অ্যানুলেটেড সামুদ্রিক সাপ বা নীল ব্যান্ডেড সামুদ্রিক সাপ বলা হয়। এদের গায়ে হলুদ ও কালোর মিশ্রণে ডোরাকাটা দাগ থাকে।

তারিকুল ইসলাম বলেন, ভারত মহাসাগরের ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং কোরিয়া, জাপান, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ চীন সাগর, পূর্ব চীন সাগর, পারস্য উপসাগরের ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং নিউগিনি অঞ্চলে এ জাতের সাপ বিচরণ করে। এটি অগভীর উপকূলীয় জলে বসবাস করে। এটি প্রায়ই চিংড়ি ট্রলার বা উপকূলীয় অঞ্চলে জেলেদের টানা জালে দুর্ঘটনাক্রমে ধরা পড়ে। এরা বিভিন্ন সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। প্রজাতিটি সমুদ্রের সঙ্গে খুব অভিযোজিত।

এই সমুদ্রবিজ্ঞানী আরও বলেন, এটি উপকূলীয় অগভীর এবং গভীর সমুদ্রে ভালোভাবে সাঁতার কাটতে পারে। ম্যানগ্রোভ অঞ্চলেও এদের দেখা পাওয়া যায়। স্থলভাগে এদের চলাফেরার গতি অত্যন্ত ধীর। তবে অন্যান্য সামুদ্রিক সাপের তুলনায় ভালো কাজ করে। তারা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করে, তবে হুমকিতে থাকলে বা আক্রান্ত হলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সাপটি বিষধর হলেও এদের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার অত্যন্ত কম। এটি সরাসরি একসঙ্গে ৩ থেকে ১৮টির মতো বাচ্চা জন্ম দেয়। সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি প্রায় ২৮ সেমি লম্বা হতে পারে। এদের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৭ সেমি এবং নারীর দৈর্ঘ্য ১৬০ সেমি পর্যন্ত এবং দৈহিক ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম হতে পারে। বর্ষা-পরবর্তী মৌসুমে বিশেষ করে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এদের নারীদের বেশি দেখা যায়। মেয়ে বাচ্চাটি পুরুষ বাচ্চার তুলনায় আকারে বড় হয়।


আরও খবর