আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
হাওরাঞ্চলের আতঙ্ক বজ্রপাত

বেশি করে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপনের দাবী স্থানীয়দের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ মে ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
Image

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

হাওরাঞ্চলে আতঙ্কের আরেক নাম বজ্রপাত। হাওর অধ্যুষিত ধর্মপাশা ও নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাসে ঝড়-বৃষ্টির সাথে আকাশ থেকে পড়া বজ্রপাতে প্রাণ হারায় হাওরের কৃষক, জেলে ও গৃহপালিত পশু।

বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণার পর বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। তবে গত বছর ধর্মপাশা ও মধ্যনগরের ১০ উপজেলার মধ্যে মাত্র তিন ইউনিয়নে তিনটি বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> চাঁদাবাজির লাইসেন্স দিয়েছে ঘাটাইল পৌরসভা

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বালিজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আঃ রশিদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে যা হাওর অধ্যুষিত এ দুই উপজেলার জন্য  একেবারেই অপ্রতুল। হাওরের কৃষক ও জেলেদের স্বার্থে বেশি করে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বছরের এই সময় থেকে হাওর এলাকায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত। চলে মে-জুন মাস পর্যন্ত। এই কয়েকমাস সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায়, বজ্রপাতে স্বজন হারানোদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ। হাওরে কাজ করার সময় বজ্রপাত শুরু হলে দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষক-জেলে।

বালিজুরি গ্রামের শাহজাদুল ইসলাম  বলেন, আমাদের এলাকায় বজ্র নিরোধ করতে একটি টাওয়ার দেওয়া হয়েছে। এতে কিছু মানুষ নিরাপদ থাকলেও পুরো হাওর অরক্ষিত। আমি মনে করি হাওরে বজ্র নিরোধের টাওয়ার বসালে জেলেরা নিরাপদে মাছ ধরতে পারত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ বিষয়টি নজরে আনার জন্য।

বৃদ্ধ আঃ রহিম বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম টাডা (বজ্রপাত) পইরা ওহনের মত অত মানুষ মরতে দেখছি না। ওহন টাডা পড়লেই হুনি(শুনি) মানুষ মরছে।

আরও পড়ুন>> গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ১১ ঝুটগুদাম

কলেজ শিক্ষার্থী রবিন বলেন, আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখলেই ভিতরে ভয় জাগে। আমরা হয়তো বিদ্যুত চমকাতে দেখলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাই। কিন্তু যারা হাওরে মাছ ধরতে যায় তাদের নিয়ে খুব চিন্তা। ওদের কথা ভেবে সরকারের উচিত হাওরে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা।

বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন প্রকল্পের প্রকৌশলী সালাউদ্দিন বললেন, হাওরের দিন দিন বেড়েই চলেছে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা। তাই সুনামগঞ্জে গত বছর জেলার ৬ টি উপজেলায় আমরা ২৪টি লাইটেনিং এরেস্টার স্থাপন করেছি। ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিটি  দণ্ড এর ৩শ ফুট এরিয়ার মধ্যে কোনো বজ্রপাত হলে তা টেনে মাটিতে পাঠিয়ে দেবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে মোট কতটি বজ্রপাত হয়েছে তা গণনা করে রাখবে। মানুষের পাশাপাশি গরু-ছাগলের প্রাণও বাঁচবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেশ চন্দ্র সরকার বলেন, হাওর এলাকা হওয়ায় এখানে বজ্রপাতে প্রাণহানি বেশি হয়। বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন একটি ব্যায়বহুল ব্যাপার। তাছাড়া এই দণ্ড মাত্র ৩০০ ফুট জায়গার নিরাপত্তা দিচ্ছে। এটির পরিধি কিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমরা বেশি বেশি তালগাছ রোপন করতে পারি। এছাড়া এ ব্যাপারে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।


আরও খবর



রেকর্ডের দুই দিনের মাথায় কমল সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমেছে সোনার দাম। দুদিন আগেই সোনার রেকর্ড দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাড়ার চেয়ে কমানোর পরিমাণে তফাৎ অনেক। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮৪০ টাকা কমানো হয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আজ (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ২ হাজার ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২১ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮০৫ টাকা কমানো হয়েছে। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৬৮৮ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনা কিনতে দাম পড়বে ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ৫৬০ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর
খেলাপি ঋণ না কমায় আইএমএফের অসন্তোষ

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টিসিবি পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিসিবির পণ্যগুলো এতদিন বিভিন্ন জায়গায় টেম্পোরারিভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার। যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে যেয়ে ন্যায্যমূল্যে তাদের পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

টিটু বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসি সাহেবরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন। সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন ফিক্সড দোকান করে দেব তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। এছাড়া আমাদের যেসব ডিলার রয়েছে তাদেরও পণ্য এক মাস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতেছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যেকোনো পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ারফিটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। আমরা চেষ্টা করব অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।

সারা বছর টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবিব মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য দিয়েছি। সেটা ১২ মাসই দেওয়ার করব। এতদিন জরুরি ভিত্তিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে করেছি। টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানে নিয়ে এসেছি।


আরও খবর
খেলাপি ঋণ না কমায় আইএমএফের অসন্তোষ

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




বেনাপোলে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকার পুটখালী গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পুটখালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও বালুন্ডা গ্রামের সিরাজুল গাজির ছেলে ইসরাফিল গাজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাবিব হোসেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পুটখালী গ্রামে স্থানীয় ওলিয়ার রহমানের মালিকানাধীন বিশাল গরু ফার্মে বিক্রির জন্য ফেন্সিডিল মজুদ করেছে মাদক কারবারিরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। ঘটনাস্থল থেকে হাফিজুর রহমান ও ইসরাফিল গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফার্মের উত্তর পাশের একটি জমির কলা গাছের ঝোপ থেকে দুটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর সাবিব হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মো. ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দকৃত মাদক ও গ্রেপ্তারকৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের যশোর জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


আরও খবর



শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সকালে দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে।

গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। মূলত এতদিন ছুটি না পাওয়া ও নানা কারণে রাজধানীতে থেকে যাওয়া মানুষরাই মূলত এখন বাড়ি ফিরছে। শেষ সময়ে জট কম থাকে এমন অভিজ্ঞতা থেকেও এখন বাড়ি ফেরার কথা বলেছেন যাত্রীরা।

খুলনাগামী যাত্রী শাহিন রেজা জানান, গতকাল জেনেছিলাম পথে অনেক যানজট, তাই রওনা হইনি। আজ ফজরের নামাজ পড়েই রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ পথে কোনো যানজট পাইনি। সুন্দর সড়কের কারণে স্বল্প সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে পারছি।

আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি পাইছি গতকালকে। কিন্তু যেতে পারি নাই, তাই আজ বাসায় যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে একটা দিন অন্তত আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। সকাল সকাল রওনা হয়েছি যেন ভোগান্তিতে না পড়ি, এসে দেখলাম রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রাকিফ পুলিশের কাজ করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর