
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে বড় আকারের ফাটল ধরেছে।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০-২৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের কিছু অংশে অবশিষ্ট রয়েছে। প্রতি জোয়ারেই ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা শত শত পরিবার। হাজার হাজার শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ বসবাস করে এই অঞ্চলে। বসতভিটা ও ফসলি জমি, নিজেদের ঐতিহ্য ও সৃতিকে ধরে রাখতে দ্রুত টেকসই বেড়ি বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় প্রতি নিয়ত ভাঙনের মুখে পড়তে হয়। এজন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের ভয়াবহ প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড় (সিডরে) ২০০৭ সালের উপকূলীয় বরগুনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে তালতলী উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি জানমালের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এরপরেও এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি এই অঞ্চলে।
সচেতন মহল বলেন, এখানে তাৎক্ষণিক মেরামত করা না হলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধের এই অংশ পুরোপুরি ধসে গিয়ে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ ফিরোজ বলেন, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর আগেও কয়েকবার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি ঢুকলে সব ধরনের ফসল ও গাছ মারা যায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। তখন গরু-ছাগল, পশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। বাঁধ ঠিক হলে আবার ঘর ঠিক করে বসবাস শুরু করি। একটু গুছিয়ে উঠতেই দেখা যায় আবার বাঁধ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় আবারো বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারো তাই হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলে নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে সার্ভে করতে পাঠানো হয়েছিল। অফিসিয়ালি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।