সাতকানিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। পাশাপাশি নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির দাম। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতোই হঠাৎ সবজির দামও বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের পাশাপাশি কাঁচা সবজির দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার কেরানীহাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ ৭০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০, কাঁকরোল ১০০, করলা ৬০, পেঁপে ৫০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ৭-১০ দিন আগে এসব সবজির অধিকাংশের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কম ছিল। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে বর্তমানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।
খুচরা বাজারের সবজি কিনতে আসা মোরশেদ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই মাঝে মধ্যে শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচসহ পেঁপে, কাঁকরোলের দাম বেশি বেড়েছে।’
সাকিব নামের আরেক ক্রেতার অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকায় বিক্রেতারা খেয়াল খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। সারা দিন বললেও কোনো লাভ হবে না। আমরা খাই আর না খাই, তা দেখার কেউ নেই।’
সবজি ব্যবসায়ী আজিজ জানান, ‘চলতি মাসে বেশ কয়েকবার ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তাই সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে আসি বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আরেক বিক্রেতা শফিক বলেন, কাঁচামালের দামের কোনো ঠিক নাই। একদিন একটু বাড়ে, আরেক দিন একটু কমে। স্বাভাবিক কারণেই কাঁচামালের ক্ষেত্রে এটা হয়েই থাকে।