পৃথিবীর এক প্রান্তে খাবারের প্রাচুর্যতা মানে অন্য প্রান্তে কেউ একজন না খেয়ে রাত অতিবাহিত করছে। তাই প্রতি বেলা নিজের পাতে উঠে আসা খাবার যাতে একটুও নষ্ট না হয়, সেদিকে সজাগ থাকার সময় এসেছে। দিন শেষে বেঁচে যাওয়া বাড়তি খাবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় অনেককেই। সেসব ফেলে না দিয়ে সমাধান একটাই আর তা হচ্ছে সংরক্ষণ করা। প্রতিদিনের বেঁচে যাওয়া খাবার কীভাবে কতদিন সংরক্ষণ করা যাবে তা জেনে নিন—
এয়ার টাইট কনটেইনার বা বায়ুরোধী পাত্রে বেঁচে যাওয়া খাবার সংরক্ষণ করতে পারেন। বিশেষ করে ফ্রিজে রাখার সময় এমনভাবে রাখবেন যাতে পাত্র থেকে খাবার, ঝোল কোনোভাবেই না পড়ে যায় এবং সব সময় খেয়াল রাখবেন লেফটওভার বা বেঁচে যাওয়া খাবার পুনরায় খাওয়ার সময় ভালোভাবে গরম করে কিংবা পরিবেশন উপযোগী করে তবেই পরিবেশন করার।
ফার্স্ট ইন, ফার্স্ট আউট’ এই নীতিতে বিশ্বাসী হোন। অর্থাৎ ফ্রিজে যে খাবার প্রথমে প্রবেশ করাবেন তা আগে এবং যে খাবার পরে রাখবেন তা পরে গ্রহণ করার অভ্যাস। এতে খাবার অনেক পুরোনো হবে না যেমন, তেমনি খাবারের গুনগত মানও নষ্ট হবে না। বেঁচে যাওয়া খাবার রাখার ক্ষেত্রে ছোট, সমতল পাত্র বা বাক্স বাছাই করুন। এতে খাবার দ্রুত ঠাণ্ডা হবে।
কিছু খাবার কখনোই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। যার মধ্যে রয়েছে টুনা মাছ, স্যুপ, টিনজাত খাবার ইত্যাদি। টিনজাত ক্যান একবার খোলা হলে রিমের অবশিষ্ট ধাতু খাবারে প্রবেশ করতে পারে এবং ধাতব স্বাদ ছড়িয়ে দিতে পারে।
আমেরিকান কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোনো খাবারই তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এর বেশি দিন বেঁচে যাওয়া খাবার সংরক্ষণ করা হলে গুণগত মান বিলুপ্ত হতে পারে।