আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। এই পদক্ষেপের কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ঠেকাতে যে চুক্তি আছে তা লঙ্ঘিত হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে পুতিন বলেছেন, মস্কো তার অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের হাতে দেবে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা বিশ্বাস করে না যে এই ঘোষণার পর রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা আমাদের নিজস্বকৌশলগত পারমাণবিক অবস্থান সমন্বয় করার কোনো কারণ দেখিনি। আমরা ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শনিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, বেলারুশের নেতা আলেকজান্দার লুকাশেংকো দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, এখানেও অস্বাভাবিক কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক ধরে এটি করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ডে তাদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, রাশিয়া ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য স্থাপনা নির্মাণের কাজ শেষ করবে। পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের সময় ব্যবহার করা যায় এমন অল্প সংখ্যক ইস্কান্দার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই বেলারুশে স্থানান্তর করা হয়েছে।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ের পর এই প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে মস্কো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ভেঙে যাবার পর অস্ত্রগুলো চারটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্ররাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ ও কাজাখস্তানের কাছে চলে যায় এবং সকল ওয়ারহেড রাশিয়ার কাছে স্থানান্তর শেষ হয় ১৯৯৬ সালে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরো সামরিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। এর পরই ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কথা জানালেন।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে অন্তত ১৮টি দেশ একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যেখানে পরের বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে কমপক্ষে এক মিলিয়ন কামানের গোলা সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে।

তবে একটি জাপানি সংবাদপত্রে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, পরবর্তী গোলাবারুদ না আসা পর্যন্ত ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলে সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারবে না।

রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গেও বেলারুশের সীমান্ত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বেলারুশের নেতা অ্যালেক্সান্দার লুকাশেংকো বলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার নতুন আক্রমণের জন্য ঘাঁটি হিসেবে নিজ দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিতে তিনি প্রস্তুত।

এ সময় দুই দেশের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে সহযোগিতা বৃদ্ধির ঘোষণা আসে। ঘাঁটি হিসেবে নিজ দেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের বিনিময়ে বেলারুশ রাশিয়ার কাছ থেকে একটি এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উপহার পেয়েছে।

এই মূহুর্তে বেলারুশে কয়েক হাজার রুশ সৈন্য রয়েছে এবং সেখানে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর যৌথ মহড়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ধাপে ধাপে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তারই একটি পদক্ষেপ ৭ মার্চ। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হয়ে, ৭০ এর নির্বাচনেই আগে লন্ডনে বসেই ভেবেছিলেন কিভাবে গেরিলা যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা আসবে। স্বাধীনতা হঠাৎ আসেনি, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এসেছে।

শেষ হাসিনা বলেন, সংগ্রামের পথ বেয়ে অনেক রক্তের অক্ষরে লেখা আছে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার ও স্বাধীনতার অধিকার। ৭ মার্চের ভাষণে কাউকে আনতে হয়নি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়। এই ভাষণের আগে অনেক জ্ঞানী-গুণী, একেকজন একেকরকম পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করে। মা জাতির পিতাকে বললেন- তোমার কারো কথা শোনার দরকার নেই। তুমি সারাজীবন দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছো। কাজেই তোমার মনে যে কথা আসবে সেটাই বলবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা মানুষকে আশার বাণী শোনানো আবার শত্রুপক্ষকে বিরত রাখা সবই করেছেন। যে কথা বলার সবই বলেছেন ৭ মার্চে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের ভাষণ নয়, আন্তর্জাতিক মর্যাদাও পেয়েছে। পাকিস্তানিদের ভাবতে ভাবতেই দিন গেছে- এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু কি বলে গেলেন। তারা দেখলো ভাষণের পর গেরিলা যুদ্ধও শুরু হয়ে গেলো। এই ভাষণ শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতিই নয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের ধারণা ছিলো, জাতির পিতার পরিবারের কেউ আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তবে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। আজকে ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ঐতিহাসিক প্রামাণ্য দলিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালির নয়, যে নেতারা ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সে ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্থান পেয়েছে ৭ মার্চের ভাষণ। দেশকে আমরা জাতির পিতার আদর্শের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো, আজকের দিনে সেটিই প্রতিজ্ঞা।


আরও খবর



পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন যেসব কারণে কমে যায়, চিকিৎসা কী?

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রিয়জনকে নিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ইচ্ছে হলেও অনেকেরেই যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোনো কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী- তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি বলা হয়।

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। তাই টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন ঠিক রাখতে অণ্ডকোষ সুস্থ রাখা জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন,বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।

অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে: যৌন তাড়না কমে যাওয়া,যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা,যৌন মিলনে অক্ষমতা,অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া,শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো-স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

চিকিৎসা কী ? টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




পরিচালকের সঙ্গে গোপন প্রেমে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন রামায়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করে আসা রামায়া কৃষ্ণানের গোপন প্রেম এখনও চর্চিত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। বাহুবলির মা হিসেবে পরিচিত এই অভিনেত্রী বিয়ের আগেই এক পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যা গড়ায় গর্ভপাতের মতো ঘটনাতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৯৯ সালে দক্ষিণী পরিচালক কে এস রবিকুমারের সঙ্গে প্রথম সিনেমায় কাজ করেন রামায়া। এরপর একটা সময় ঘণিষ্ঠতা বাড়ে দু’জনের। বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্কের খবর গোপন ছিল না অন্দরমহলে। সকলেই জানতেন তাদের প্রেমের কথা। কে এসের অনেক সিনেমাতেই কাজ করেন রামায়া। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্ক গড়ায় পরিণয়ে।

এরপর একসময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বিষয়টি জানতে পারেন রবিকুমারের স্ত্রী। হুমকি দেন রামায়াকে। যে কারণে সন্তানের জন্ম ও পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন পরিচালক। ফলে একপর্যায়ে এসে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন রামায়া। আর সেজন্য নাকি কে এস রবিকুমারের থেকে ৭৫ লক্ষ টাকাও চেয়ে নেন অভিনেত্রী।

যদিও গণমাধ্যমের কাছে বিভিন্নসময় প্রেম-গর্ভপাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দুজনেই। তবে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের এই গোপন সম্পর্কের’ খবর এখনও চর্চিত হয় বিভিন্ন সময়ে।

পরবর্তীতে ২০০৩ সালে পরিচালক কৃষ্ণা বামসির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। যার নাম হৃত্বিক কৃষ্ণান। বর্তমানে কৃষ্ণা বামসির সঙ্গেই সুখের সংসার এই অভিনেত্রীর।

প্রসঙ্গত, রামায়া কৃষ্ণান দক্ষিণের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। দক্ষিণের এই অভিনেত্রী দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। নিজের ক্যারিয়ারে প্রায় ২৬০টি সিনেমা করে ফেলেছেন তিনি। রামায়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে রজনীকান্তের সঙ্গে জেলার’ চলচ্চিত্রে।


আরও খবর



মিয়ানমারে সংঘাত: উখিয়া সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ারুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতের বিল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।

এ নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি হলো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জলপাইতলী এলাকায় ওপারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে দুজন নিহত হন। এদের একজন বাংলাদেশি নারী ও অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

গুলিবিদ্ধ আনোয়ারুল এক মাসেরও বেশি চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যায় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন>> পাঁচ দিনের মাথায় উৎপাদনে ফিরছে এস আলমের চিনিকল

তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল অস্ত্র নিয়ে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই দিন পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্রধারী ২৩ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে তাঁরা গুলি ছোড়েন।

গুলিতে আনোয়ারুলসহ পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আনোয়ারুল ইসলামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানো হয়। আনোয়ারুল ইসলাম তিন সন্তান রয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘাত চলে আসছে। এ সংঘাতের জেরে প্রায় প্রতিদিন গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে এপারের সীমান্তঘেঁষা বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে আছেন।


আরও খবর



এক ঘণ্টা এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ এলাকায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়েছে অর্থাৎ রবিবার ভোর রাত ২টার সময় সকলকে ৩টা বাজাতে হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে রবিবার ১০ মার্চ থেকে শুরু হলো ডে লাইট সেভিংস টাইম। দিনের আলোকে কাজে লাগানোর এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ৩ নভেম্বর রবিবার ভোর রাত ২টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, স্মার্ট ফোন বা আই ফোনে আপনাআপনি সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী নিউইয়র্কে যখন রাত ১২টা বাজবে, ঢাকায় তখন হবে সকাল ১০টা। ঘড়ির কাটা আগ-পাছ করার আওতায় নেই আরিজোনা, হাওয়াই, আমেরিকান সামুয়া, গুয়াম, পর্তোরিকো ও ভার্জিন আইল্যান্ড।


আরও খবর