আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বেকুটিয়া ফেরিঘাট থেকে পড়ে রাজস্ব কর্মকর্তা নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পিরোজপুরের বেকুটিয়া ফেরিঘাট থেকে কঁচা নদীতে পড়ে সাতক্ষীরা কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন কাফি নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার বেকুটিয়া ফেরিঘাটের কুমিরমারা প্রান্তে ফেরির পল্টুন থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন কাফি (৪০) ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেওলা ইউনিয়নের চরটিকিয়া গ্রামের মৃত কেফায়েত উল্লাহর ছেলে।

আবদুল্লাহ বিন কাফির গাড়িচালক ইব্রাহীম স্বপন জানান, সাতক্ষীরা থেকে বিকেলে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি ও আবদুল্লাহ বিন কাফি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেকুটিয়া ফেরিঘাটে এসে পৌঁছালে গাড়ি ফেরিতে ওঠার সময় গাড়ি থেকে নেমে আবদুল্লাহ বিন কাফি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় পল্টুন থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা পিরোজপুরের ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেয়।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েই ফেরিঘাটে এসে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানের চেষ্টা চালানো হয়। তবে পিরোজপুরে ডুবুরি না থাকায় বরিশাল থেকে ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে নদীতে পুরোদমে সন্ধান চালাবে।


আরও খবর



রোজায় স্কুল খোলা নাকি বন্ধ, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, এ বিষয়ে আপিল বিভাগ আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।

শুনানিতে এ কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

সোমবার সকালে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

তার আগে রোববার (১০ মার্চ) রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।


আরও খবর



আজকের বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার (০২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী যোগ্য হয়ে উঠুক, সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক, স্মার্ট ও যোগ্য বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।


আরও খবর



অর্ধেকের বেশি শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারে, পল্লীর তুলনায় এগিয়ে শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পল্লী এলাকার তুলনায় শহরে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস)। সম্প্রতি বিবিএসসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বেড়েছে সন্তান জন্মদানের হার। দেশে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পল্লী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে ছিলো ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে অস্ত্রপচারের হার। পল্লী এলাকায় ২০২২ সালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকার চিত্র ঠিক বিপরীত। শহর এলাকায় ২০২২ সালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় ২০২২ সালে যেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৫৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ২০২২ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে সন্তান জন্মদানের হার ২০২২ সালের চেয়ে কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

পল্লী এবং শহর এলাকাতেও বেড়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার। পল্লী এলাকায় এই হার ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ আর শহর এলাকায় এই হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া এই পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে জীবিত সন্তান জন্মদানের হার। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ৮৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।


আরও খবর



হাইতির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেছেন। গুয়েনার প্রেসিডেন্ট এবং ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (কেরিকম) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইরফান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কেরিকমের নেতারা হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন করার সময় এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইরফান আলী।

হাইতিতে বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা বাড়তে থাকায় দেশজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশজুড়ে সহিংসতা এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই পদত্যাগের চাপে ছিলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। হাইতির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জ্যামাইকাই বৈঠকে বসেন আঞ্চলিক নেতারা।

বর্তমানে পুয়ের্তো রিকোতে অবস্থান করছেন হেনরি। তবে বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশেও ফিরতে পারছেন না। ২০২১ সালের জুলাই মাসে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার পর থেকেই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন হেনরি।

সে সময় নিজ বাসভবনে হত্যার শিকার হন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। আততায়ীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। সশস্ত্র একটি দল প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের বাড়িতে মাঝ রাতে হামলা চালায়। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে। হামলায় প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির স্ত্রীও আহত হন।

জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে বৈঠকের পর বক্তৃতাকালে ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ারম্যান এবং গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী বলে, আমরা তার (এরিয়েল হেনরি) পদত্যাগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নামকরণের বিষয়ে আলোচনার কথাও জানান তিনি।

হেনরি এরিয়েলের পদত্যাগের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের রাস্তাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ভারী অস্ত্রধারী বিভিন্ন গ্যাং।

হাইতি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম হাইতি প্রজাতন্ত্র। ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিম এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে রাষ্ট্রটি গঠিত। দ্বীপের বাকি অংশে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র অবস্থিত।

১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটিই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিল। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে।

এ পাহাড়ি দেশটি একসময় অরণ্যে আবৃত ছিল। বেশির ভাগ গাছই কেটে ফেলা হয়েছে, ফলে মৃত্তিকার ক্ষয় ঘটেছে। পল্লী অঞ্চলে কৃষকরা পাহাড়ের পাদদেশে ক্ষুদ্রাকার জমিতে চাষবাস করে। অপুষ্টি ও বেকারত্ব হাইতির বড় সমস্যা।

ইতিহাসজুড়ে হাইতির জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণি, যারা বেশিরভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণি, যাদের কোনো ক্ষমতা নেই। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

হাইতির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস দীর্ঘ। দেশটিতে অনেকগুলো স্বৈরশাসক শাসন করেছেন। এদের মধ্যে ফ্রঁসোয়া দুভালিয়ে-র নাম উল্লেখযোগ্য। ২১০০ শতকের প্রারম্ভে এসে হাইতি একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি হাইতির বৃহত্তম দুই কারাগার থেকে কয়েক হাজার বন্দি পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির সরকার কারফিউ এবং জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সহিংসতার পর কারাগার দুটি থেকে প্রায় চার হাজার বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



বিএনপি-জামায়াত এখন ইসরাইলের দোসর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফিলিস্তিনে চলা গণহত্যার সমর্থন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এখন ইসরাইলের দোসর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা চলছে। নারী ও শিশুরাই মারা যাচ্ছে বেশি। হাসপাতালে হামলা হচ্ছে, ত্রাণবাহী গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

একবিংশ শতাব্দীতে এমন বর্বরতা কল্পনার বাইরে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে বিশ্ব মোড়লরা ভেটো দেয়। এমনকি মুসলিম বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রও কোনো প্রতিবাদ জানাচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বার বার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে যতগুলো বিদেশ সফর করেছেন, সেসব সফরে সব সময়ই তিনি যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলেছে

তিনি অভিযোগ করেন, সবাই প্রতিবাদ জানালেও বিএনপি-জামায়াত নিশ্চুপ থেকে ফিলিস্তিনে চলা গণহত্যার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। উলটো ইসরায়েলের মতো পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। তাদের হাতে দেশ জাতি সমাজ নিরাপদ হতে পারে না। 

আরও পড়ুন>> ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। জামাত কোনো শব্দ না করে ইসরায়েলের সাথে হাত মিলিয়েছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীই এখন তাদের নেতাদের প্রশ্ন করে। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) পদই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ তাদের ভুল সিদ্ধান্তে তারা নির্বাচনে আসে নাই। 

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অভিনন্দন পাঠানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত ৭৮ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।


আরও খবর