মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সাত বছর আগের কথা। ২০১৬ সালে ছোট্ট পরিসরে আমের খামার শুরু করেন আব্দুল মান্নান। কঠোর পরিশ্রম, সততা ও নিষ্ঠার উপর ভর করে তিনি এখন এক সফল খামারি। বেকারত্ব ঘুচিয়ে তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা। তার খামারের নাম ‘মান্না অ্যাগ্রো ফার্ম’।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরের বাজার এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান। ২০০৩ সালে উপজেলার নিজামপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক (পাস) পাস করার পর দীর্ঘ দিন বেকার জীবন কাটান।
অবশেষে ২০১৬ সালে তিনি যুব উন্নয়ন অধিদফতর চট্টগ্রাম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ির পাশে সমন্বিত খামার শুরু করেন আব্দুল মান্নান। নিজেদের পারিবারিক দেড় বিঘা জমির ওপর যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকার সাথে ধার করে আনা আরো কিছু টাকা দিয়ে আমের চারা রোপণ করেন তিনি। আম্রপালি, হিম সাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলিসহ ১৫ জাতের আমের চারা রোপণ করেন। এখন ৯০ শতক জায়গাজুড়ে রয়েছে তার আমের বাগান। রয়েছে ব্যানানা, মধুরানি, দেউরী, বারি-৪সহ প্রায় ৩০ প্রজাতির আম গাছ। শুধু আমের গাছই নয়, মান্নানের খামারে রয়েছে পেঁপে, কলা, ভিয়েতনামী নারিকেল, লাউ, কুমড়া, মরিচ, ঢেঁড়স প্রভৃতি নানান জাতের ফলদ গাছ ও সবজি। তিনি জমিতে ধানও চাষ করছেন। মাত্র একটি ছাগল নিয়ে তিনি তার খামারে ছাগল পালন শুরু করেন। এখন তার খামারে বিভিন্ন জাতের ২২টি ছাগল রয়েছে। এর আগে ১৪টি ছাগল তিনি বিক্রিও করেছেন। রয়েছে হাঁস ও গরুর খামার।
মান্নান বলেন, শুরুটা সহজ ছিল না। পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের লোকজনও তিরস্কার করেছে। শিক্ষিত ছেলে কৃষি কজি করবে? সব বাধা অতিক্রম করে আজ আমি এই পর্যায়ে এসেছি।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, সাহেরখালীর ‘মান্না অ্যাগ্রো ফার্ম’ এর কথা শুনেছি। তার খামারটি দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। শিগগিরই ফার্মটি পরিদর্শন করতে যাব।