আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। রাত দুইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।

রাত দুইটা ৩৫ মিনিটের দিকে ৪৪ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) ১ জনের মৃতদেহ রয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫-এ।

মৃতদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া রাতেই শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আহত কিংবা দগ্ধ অবস্থায় যারা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যেও ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আহত ২২ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক, তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। অনেকের শরীরের বাইরের অংশে পোড়া নেই, কিন্তু ভেতরে পুড়ে গেছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রয়েছে ৮ জন আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ১৪ জন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক ঘণ্টার বেশি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় বিজিবিও।

এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর
রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মানিলন্ডারিং আইনে এস আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইডি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লব পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই এস আলম গ্রু‌প ও তা‌দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন ও ঋণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার এএস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডি। এস আলমের বিরুদ্ধে এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডি'র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েস ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা’’ করে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশেই পিআর গ্রহণ করেছেন এবং সিংগাপুর, মালয়েশিয়া ও সাইপ্রাসসহ ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ ক্রয় ও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।

পাচারকৃত অর্থে সিংগাপুরে প্রায় ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্ট্রিক প্রাইভেট লি. নামক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ভুয়া নথি সৃজন, জাল জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের নিমিত্তে নামে-বেনামে ৬টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

সিআইডি'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান জানান, বিদেশে শেল কোম্পানি (নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান) খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে পাচার করেছেন। এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এই বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ত্রাণ সংগ্রহ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরে গণত্রাণ সংগ্রহের বুথ স্থাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গত ৫ দিনে ৬ লাখ টাকার সঙ্গে এসেছে ত্রাণ সহায়তা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক ওমর ফারুক বলেন, গত ৫ দিন ধরে আমরা ত্রাণ সংগ্রহ করছি। কেউ ত্রাণ সহায়তা দিতে চাইলে ষোলশহরে এসে সহায়তা করতে পারবেন। আমাদের কয়েকটি টিম এর মধ্যে কাজ শুরু করেছে। গত চারদিনে ফেনী, ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের ত্রাণবাহি ৬টি গাড়ি পাঠানো হয়েছে।

কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে সহায়তা পাঠাতে পারেন। সহায়তা পাঠানোর নম্বর:০১৩০১৬৯০৭১৬।

সরেজমিন দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মে বিশাল এলাকা জুড়ে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। পাশাপাশি একটি কক্ষে চলছে ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট করার কাজ। এছাড়া একপাশে রাখা হয়েছে কাপড় সংগ্রহের বুথ।


আরও খবর



আর্থিক খাতের রাঘব বোয়ালদের ধরা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর্থিক খাতের রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না থাকায় এনবিআর অর্থ লোপাটকারীদের সহজে ধরে ফেলবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ম্যানেজম্যান্টের (বিআইজিএম) সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য। আশা করি চাঁদাবাজ কমলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। আলু ও পেঁয়াজে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। দাম শুধু কাওরানবাজারে দেখলে হবে না অন্যান্য বাজার দেখতে হবে। কাওরানবাজারে চারবার হাত বদল হয় নিত্যপণ্যের এটা বন্ধ করা হবে।

শিল্প কারখানা কারখানা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, পোশাক খাতের অস্থিরতা কমাতে মালিক শ্রমিক এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত এটা সমাধান হবে।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা ইউনিট আগে চালু হোক। এরপরে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শুরু হবে। আগে একটা চালু হোক।


আরও খবর



ফের উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদনে ফিরেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯টায় থেকে ওই ইউনিটটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হচ্ছ। এটি চালু রাখতে এর জন্য প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে।

জানা গেছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিটটির কার্যক্রম শুরু করে। রাত ৮টা ৩২ মিনিটে ওই ইউনিট থেকে প্রথম পর্যায়ে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পূর্বক জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হতে শুরু করে। রাতের মধ্যেই উৎপাদনকৃত এ বিদ্যুৎ ৬০ মেগাওয়াট উন্নীত হওয়ার কথা রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবক্কর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, এক নম্বর ইউনিটে ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।


আরও খবর



স্কুলছাত্র হত্যা: গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরেই আসামির জামিন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ নিবির (১২) হত্যা মামলার আরেক আসামি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর জামিন দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জামিন দেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাজ্জাত (১৪) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাজ্জাত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর মাদরাসা পাড়ার মোঃ হবি এর ছেলে। তবে স্কুলছাত্র নিবির হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর জামিন দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত নিবিরের স্বজনেরা।

স্কুলছাত্র মোহাম্মদ নিবির মাদ্রাসাপাড়ার বাসিন্দা ওমানপ্রবাসী আবদুল সালামের ছেলে। সে সালন্দর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।

স্বজনদের অভিযোগ, সাজ্জাতের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা আসামির পক্ষে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এতো প্রমাণ থাকার সত্যেও পুলিশ সাজ্জাতকে গ্রেপ্তার করছে না। আমরা বিচারের জন্য গেলে পুলিশ আমাদের অপমান-অপদস্ত করে তাড়িয়ে দেয়। ভুলভাল রিপোর্ট দিয়ে মামলার আসামিদের বাচানোর চেস্টা করছে পুলিশ।

তাঁরা আরো বলেন, সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে যখন এলাকাবাসীরা রাজপথে নামতে চেয়েছিলো। তখনেই পুলিশের পক্ষে একটা নাটক সাজিয়ে সাজ্জাতকে গ্রেপ্তার করে পরের দিন জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। যারা সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত। বহু প্রমাণ থাকার সত্যেও কিভাবে জামিন পায়। কেন এখনো তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে? এসময় আদালতের কাছে সন্তান হত্যার বিচার চান নিবিরের স্বজনেরা।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় মোহাম্মদ নিবির। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় তার সন্ধানে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে নিবিবের মা শিল্পী খাতুন ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শিল্পী খাতুন ঘর থেকে দুর্গন্ধ পান। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তিনি বাড়ির পেছনে নিবিড়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম ওরফে মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রফিকুল ইসলাম পৌর শহরের সালন্দর মাদ্রাসাপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ তার বাড়ি থেকে রক্তমাখা বস্তা, দড়িসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছিলেন। পরে মানিক এর ছেলে মো: মাহিমকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। কিন্তু মামলার আরেক আসামি সাজ্জাতকে গতকাল রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও আজ আদালতে সে জামিন পাই।

নিহতের মা শিল্পী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, এলাকার সাজ্জাদ নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে হত্যা করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাহিম ও সাজ্জাদ আমার ছেলেকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। এতে সে রাজি না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে রেখে হত্যা করে। পুলিশ সবকিছু জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

নিবিরের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে এসিড নিক্ষেপ করে দুই চোখ ও হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সাজ্জাদ ও মাহিম যে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তার প্রমাণাদি পুলিশের কাছে আছে। পুলিশ মাহিমকে ধরলেও সাজ্জাদকে রহস্যজনক কারণে ধরছে না।

তিনি আরও বলেন, আমি জীবিকার তাগিদে  ওমান  থাকি। আর  পুলিশ  আমার পরিবারকে যে নির্যাতন করে তা বলা অসম্ভব। যেদিন ছেলের লাশ উদ্ধার হয় সে রাতে আমার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর