রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। রাত দুইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।
রাত দুইটা ৩৫ মিনিটের দিকে ৪৪ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) ১ জনের মৃতদেহ রয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫-এ।
মৃতদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া রাতেই শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহত কিংবা দগ্ধ অবস্থায় যারা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যেও ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আহত ২২ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক, তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। অনেকের শরীরের বাইরের অংশে পোড়া নেই, কিন্তু ভেতরে পুড়ে গেছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রয়েছে ৮ জন আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ১৪ জন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক ঘণ্টার বেশি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় বিজিবিও।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।