নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কয়েকটি নতুন রাস্তা নির্মাণ
ও পুরোনো সড়ক সংস্কার কাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারের জিওবি মেন্টেনেজ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি বেগমগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের তত্তাবধানে
চলছে এই নির্মাণকাজ।
এর মধ্যে দুটি রাস্তা নির্মাণে
একেবারে নিন্মমানের ইট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও সড়কের পাশে থাকা
গাইড ওয়াল গুলোও একেবারে নিন্মমানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ,
শিডিউলের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো দুটি সড়কে নিন্মমানের কাজ করছেন ঠিকাদার। কাজের
শুরু থেকেই তদারকি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে এসব অনিয়ম
করে চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে
নিন্মমানের ইটের খোয়া ও সড়কের পাশের গাইড ওয়াল গুলো একেবারে যেনতেন ভাবে নির্মাণ করা
হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার
আবদুল হামিদ রাজু নিন্মমানের ইট-বালু ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাস্তায়
ইট-বালু ভালো মানের ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে যাঁদের কাছ থেকে এগুলো নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা
তারা ভুলবশত মাঝে মধ্যে এক নম্বর ইটের মধ্যে কিছু খারাপ ইট দিয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী
কাজী কামরুল ইসলাম একজন সহকারী প্রকৌশলীর বরাত দিয়ে দাবি করেন সড়কে নিন্মমানের কিছু খোয়া আছে। তবে সড়কে তেমন নিন্মমানের
উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো.একরামুল হক বলেন, নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার অভিযোগ
পাওয়া গেলে নিন্মমানের উপকরণ সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসী তাঁর দাবি
নাকচ করে দিয়ে দুষছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। তারা বলছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
থাকায় নিন্মমানের কাজ হয়। এটা রাষ্ট্রও জনগণের সাথে এক ধরনের প্রতারণা।