চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) গাড়ি বিক্রি ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত মাসে ইউরোপে ১০ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এ সংখ্যা ১৯৯৬ সালের পরে সর্বনিম্ন। সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা ও যন্ত্রাংশ ঘাটতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করে চলেছে। ইউরোপীয় অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, চিপ ঘাটতির কারণে এখনো গাড়ি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জানুয়ারি-জুন সময়ে ইইউতে নতুন গাড়ি বিক্রি ৪৬ লাখে নেমেছে। ইতালিতে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ, ফ্রান্সে ১৬ দশমিক ৩, জার্মানিতে ১১ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ গাড়ি বিক্রি কমেছে। এ সময়ে ইইউর বাইরে যুক্তরাজ্যে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। জুনে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এ নিয়ে টানা একাদশ মাসে গাড়ি বিক্রিতে পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত বছর থেকে অটোমোবাইল শিল্প কম্পিউটার চিপের কারণে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারী থেকে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হওয়ায় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে বর্তমানে চিপের ঘাটতিজনিত পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন অন্যান্য যন্ত্রাংশের ঘাটতি তৈরি করেছে। কারণ ইউক্রেন বেশ কয়েকটি গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক ছিল। তাছাড়া যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, দামের ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমবর্ধমান সুদের হার বিক্রি পুনরুদ্ধারে বাধাগ্রস্ত করারও হুমকি দিচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তারা বড় ধরনের ব্যয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
বছরের প্রথমার্ধে ইউরোপে গাড়ি বিক্রিতে পুনরায় শীর্ষস্থানে ফিরেছে ফক্সওয়াগন। তবে এ সময়ে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বাজারের হিস্যা ২৮ দশমিক ৮ থেকে কমে ২৪ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটির বিক্রিও ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৫০ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে। স্টেলান্টিসের বাজার অংশীদারত্বও ২১ দশমিক ৩ থেকে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছে। এ সময়ে সংস্থাটির গাড়ি বিক্রি ২১ দশমিক ১ শতাংশ কমে ১০ লাখ ৯০ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে।