চলতি বছরের প্রথম
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে সোমবার (১৬ মে)। দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম
এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত
মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
শনিবার জাতীয়
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার
বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ১০টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত এ চন্দ্রগ্রহণ চলবে। তবে
এ চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ প্রসঙ্গে জাতীয়
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দিনের বেলায় এই
চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় বাংলাদেশে তা দেখা যাবে না। তবে সৌরজাগতিক এ ঘটনা সবার জন্য শিক্ষণীয়।’
উল্লেখ্য, চাঁদ
যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তেমন পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এভাবে একটা
সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে এক সরলরেখায় আসে। যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী,
চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না,
ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোনো দর্শকের
কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে
চন্দ্রগ্রহণ বলে। এই সময় পৃথিবী, সূর্যকে আংশিক ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক
দেখা যায় না, একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে পৃথিবীর
জন্য চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না, একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলে।