বায়ুদূষণে মানবদেহে
কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক, বাড়ছে নানা রোগব্যাধি। বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে
প্রকাশিত যুক্তরাজ্য ও চীনের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা
কমে যাওয়ায় প্রতিবছর কমপক্ষে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের
পাশাপাশি বায়ুদূষণ এ অবস্থাকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
ধুলোবালির সাথে কলকারখানা ও যানবাহনের কালো ধোঁয়াসহ নানা কারণে বাতাসে দূষণ বেড়েছে। আর এরকম দূষণের সঙ্গেই বসবাস রাজধানী ঢাকার ১ কোটির বেশি মানুষের। দূষণের ফলে প্রতিবছর দেশে প্রাণ হারাচ্ছে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন>> ফ্রান্সের হলিডে হোমে আগুন, নিহত ১১
শুধু বাংলাদেশই
নয় গোটা বিশ্বেই বায়ু দূষণের কারণে বাড়ছে রোগব্যাধি। প্রতিবছর বিশ্বে বায়ু দূষণের শিকার
হয়ে মারা যাচ্ছে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ। বাড়ছে হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যানসার, শ্বাসকষ্টের মতো
নানা রোগ। এই তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
এ অবস্থায় বায়ু
দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে নতুন তথ্য দিলো যুক্তরাজ্য ও চীনের গবেষকরা। সম্প্রতি বিজ্ঞান
সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার বিষয়টি।
প্রথমবারের
মতো বিশ্বের শতাধিক দেশে প্রায় দুই দশক ধরে চালানো গবেষণার ফলাফল বলছে, বায়ুদূষণের
প্রভাবে বিশ্বের সব মহাদেশেই মানব দেহে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমছে। যেকোনো
বয়সী মানুষই এই ক্ষতির শিকার হতে পারে।
গবেষকরা জানান, বায়ুতে থাকা পিএম-টু পয়েন্ট ফাইভ কনা সরাসরি ফুসফুসে ও রক্তে প্রবেশ করতে পারে, যাতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া। বায়ুতে ওই কনা ১০ শতাংশ বাড়লে, মানব দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যক্ষমতা ১ শতাংশ কমে।
আরও পড়ুন>> ভেঙে দেওয়া হলো পাকিস্তানের সংসদ
তবে গবেষকরা
বায়ু দূষণের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ অ্যান্টিবায়োটিকের
কার্যকারিতা ১৭ শতাংশ কমে যাবে।