আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বায়তুল মোকাররমে বঙ্গবন্ধুর নামে নির্মিত হবে ডিজিটাল লাইব্রেরি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বঙ্গবন্ধুর নামে ডিজিটাল লাইব্রেরি করার ঘোষণা দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর। গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) মসজিদ কমিটির সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি একশো মুসল্লিকে হজে পাঠানোর কথাও জানান।

জানা যায়, সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি তুলে ধরেন মুসল্লিরা।

এরপর ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুমতিক্রমে, বঙ্গবন্ধুর নামে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম ডিজিটাল লাইব্রেবি নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দেন সায়েম সোবহান আনভীর। এ উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান মুসল্লিরা।

এছাড়া এই বছর ১০০ অসামর্থ্যবান মুসল্লিকে হজে পাঠানোর কথা জানান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

১৯৬৮ সালে বাইতুল মোকাররম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সময়ের পরিক্রমায় এটিকে ঘোষণা করা হয় জাতীয় মসজিদ। একসঙ্গে ৪০ হাজারের বেশি মুসল্লির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদটি বিশ্বের দশম বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদ ভবনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বেশ কিছু অফিস থাকলেও দীর্ঘদিনেও এখানে গড়ে ওঠেনি অত্যাধুনিক লাইব্রেরি। 


আরও খবর



বাঙালির দুয়ারে কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্যাডেলে পা দিয়েছে বাঘ, রিকশা নিয়ে ছুটবে এবার শহর থেকে গ্রাম। কোথাও আবার সে রিকশায় সওয়ার হয়েছে চতুর শেয়াল পণ্ডিত। যেখানে খুব আদরে মুরগি বাঁধা, সেখানেই রিকশা নিয়ে ছুটে চলা। আয়োজকেরা বলছেন, রূপ কথার গল্প আছে, শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালা। সেটাকে কেন্দ্র করেই এই থিম।

অন্যদিকে তোড়জোড় বাঁশের বেণী বাঁধার। সেই বেণীতে আঁজলা হাতে আঙুলের আলতো চাপে আদল পাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিকৃতি। প্রতিটিই বাঙারির চিরায়ত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রামে-বন্দরে, জলে জঙ্গলে। একজন জানান কবুতর, হাতি ও ট্যাপা পুতুল থাকছে তাদের থিমে। অপরজন জানান গ্রামীণ লোক শিল্প তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

এবার পহেলা বৈশাখ আসছে ঈদের ছুটির সঙ্গে পিঠাপিঠি হয়ে। তাই ছুটির আমেজে কমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সংখ্যা। তবু পিছিয়ে নেই আঁকিবুঁকি। বড় কিংবা ছোট মোটিফে আগের মতোই থাকছে হুতোম পেঁচা কিংবা বাঘ। সরায় কিংবা কাগজের ক্যানভাসে দৃশ্যপটের পসরাও বসেছে বিক্রির জন্য। এবার জীবনানন্দ দাশের তিমির-হননের গান কবিতা থেকে ঠিক করা হয়েছে প্রতিপাদ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন জানান, এই ছোটখাটো জিনিসগুলো যেগুলো তৈরি হয়, সবগুলোর মধ্যে লোক শিল্পের টাচ থাকে। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতির যে ঐতিহ্য, সে ঘরে তা নিয়ে যাচ্ছে। এর ভাষা ও বিশিষ্টের সঙ্গে সে পরিচিত হচ্ছে। সুতরাং এটা দু-তিনটা পারপাস সার্ভ করছে।

নিউজ ট্যাগ: পহেলা বৈশাখ

আরও খবর



তরমুজের পর ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের ডাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের হিড়িক। মূলত বাজারে গরুর মাংসের অতিরিক্ত দামের কারণে অনেকে এটিকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে দাম কমবে বলে ধারণা তাদের। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপে এ বয়কটের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।

এর আগে রমজানের শুরুতে রাজধানীতে তরমুজের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তখন থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে এ পণ্য কিছুদিনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অনেকে পোস্ট দেন। তবে রোজার মধ্যেই তরমুজ নেমে এসেছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। এটিকে প্রতিবাদ বা বয়কটের ফল হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা।

তরমুজ বয়কটের দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তবে শুক্রবারও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে অনেকের স্ট্যাটাসই ভাইরাল হয়েছে। এদের মধ্যে একজন লিখেছেন, তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আমজনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন, বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কত দিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।

অন্য একজন একটি গ্রুপে লিখেছেন, আমি গরুর মাংস কিনলাম। বললো যে, দেশের মানুষ ভাত পায় না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অন্য একটি স্ট্যাটাসে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে বলা হয়েছে, আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দেশবাসী আপনারা তরমুজকে বয়কট করেছেন, এখন বর্তমানে তরমুজের দাম ১০০ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩০ টাকা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এবার আপনাদের পালা, গরুর মাংস কে বয়কট করুন, দেখবেন ৮০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে চলে এসেছে গরুর মাংস। ধন্যবাদ।


আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যান তিনি।

সফরকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে গিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

গত ৩ দিনে পরপর কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর, কুকি চিনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে আজ থেকেই সমন্বিত অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।

র‍্যাব জানায়, যৌথ অভিযান কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ অংশ নিচ্ছে।

র‍্যাব আরও জানায়, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট, ম্যানেজার অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরপর সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১০টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যায়।

রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না।

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা লুট, অস্ত্র ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।


আরও খবর