আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাউফলে বড় ভাইয়ের গুলিতে ছোট ভাই নিহত!

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

বাউফলে বড় ভাইয়ের অবৈধ পিস্তলের গুলিতে প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বড় ভাই মোঃ সজিব হোসেনকে (২১) আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আটক করেছে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রান্না ঘরের রাখা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে একটি  পিস্তল উদ্ধার করে। তার বাবার নাম বাবুল সরদার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাবুল সরদারের বড় ছেলে বাউফল নবারুন সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সজিব একটি পুরানো জংয়ে ধরা পিস্তল নিয়ে নাড়াঁচাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ ট্রিগারে চাপ পরে একটি গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের উপরে গিয়ে বিদ্ধ হয়। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সাব্বির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে প্রচার করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, সাব্বরিকে আহত অবস্থায় জরুরী বিভাগে অনার পর তার কপালে বাম চোখের উপরে একটি ছিদ্র দিয়ে রক্ত বেড় হতে দেখি। তখন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ছিল। ওই সময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি।

নিহত সাব্বিরের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বজন বলেন, ওই দিন বিকালে দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধর বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়র হোনে বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। ঘটনাটি আমি জেনেছি। খুবই বেদনাদায়ক। আমি চাই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। সজিব কোথা থেকে কিভাবে এ অস্ত্র পেলে তাও পুলিশের খতিয়ে দেখবেন বলে আশা করছি। 

এ ব্যাপারে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  আতিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। নিহত সাব্বিরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।

নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে না’ বলার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর



সবার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর ৩৩ দিনের অপেক্ষা। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ মের এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। সেই ধারাবাহিকতায় সবার আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতির মাধ্যমে কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করে  বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে শক্তিশালী এক দল ঘোষণা করেছে কিউইরা।

টপঅর্ডারে আছেন ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, রাচীন রবীন্দ্রর মতো তারকা ব্যাটাররা। এছাড়াও মার্ক চাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের মতো পরীক্ষিতরাও দলটির বড় ভরসা। স্পিন বোলিংয়েও আছে বৈচিত্র্য। ফিট থাকায় আছেন ইশ শোধি, মিচেল স্যান্টনার, রাচীন রবীন্দ্রর মতো বোলারদের পাচ্ছে কিউইরা।

আর পেস ডিপার্টমেন্ট তো রীতিমত ভয়ঙ্কর। স্কোয়াডে আছেন অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি, জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, লকি ফার্গুসনের মতো বিশ্বসেরা পেসাররা। যারা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেলকে দলে নেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

কেন উইলিয়ামসন, ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচীন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ শোধি ও টিম সাউদি।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর