আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাউফলে বাবার ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলে বাবার ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ইয়ামিন হোসেন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর দেরটার দিকে উপজেলার বগা-বাউফল মহাসড়কের হোগলা দীনিয়া মাদরাসার দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে। ইয়ামিন ওই মাদরাসার ইয়াজদাহোম শ্রেণির (প্রথম শ্রেণি) ছাত্র ও হোগলা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। জাকির হোসেন পেশায় একজন ট্রলি চালক।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ১ টন মহিষের মাংস

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ছিল কোরআন মৌখিক পরীক্ষা। দুপুর ১টার দিকে ইয়ামিন পরীক্ষা শেষে মাদরাসা থেকে বের হলে তার বাবার সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় বাবা জাকির হোসেন ছেলেকে দেখে বলেন, চলো আব্বা তুমি আমি একই সঙ্গে বাড়ি যাই এই বলে ছেলেকে কোলে তুলে তার পাশে বসায়। ট্রলিটি কিছু সময় চলার পরই বাম পাশের সামনের চাকা সড়কের খাদে পরে গেলে গাড়ি থেকে ছিটকে নিচে পরে যায় ইয়ামিন। বাবা জাকির হোসেন ছেলের পড়ে যাওয়া খেয়াল করতে না পেরে গাড়ি সামনের দিকে টান দিলে পিছনের চাকায় পিষ্ট হয় ইয়ামিন। স্থানীয়রা ইয়ামিনকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: বরগুনায় যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার তিন

ইয়ামিনের বাবা জাকির হোসেন বলেন, দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ইয়ামিন সবার ছোট। ছেলেটি রোদের মধ্যে এই গরমে হেঁটে বাড়ি যাবে। এই ভেবে ওকে আমি গাড়িতে তুলি। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে কি হতে কি হলে গেলে। আমার ছেলের মৃত্যু আমার হতেই। এই বলে আঝোরে কান্না করতে ছিল।

ঘটনার সহত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মিজানুর রহমান বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত ইয়ামিনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



অ্যাপলকে সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন টেক জায়েন্ট অ্যাপলকে প্রায় দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সুইডেনভিত্তিক মিউজিক স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান স্পটিফাইয়ের অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় সোমবার (৪ মার্চ) অ্যাপলকে এই জরিমানা করা হয়েছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলকে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ২১ হাজার ৪০৯ কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯ সালে স্পটিফাই অভিযোগ করে অ্যাপল তাদের নিজস্ব অ্যাপ স্টোরের বাইরে মিউজিক স্ট্রিমিং পরিষেবার অর্থ পরিশোধের বিকল্প সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের অবহিত করতে বাধা দিয়েছে। এরপরই মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট খোলা হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বলছে, অ্যাপলের এই বিধিনিষেধ অন্যায্য বাণিজ্য শর্ত আরোপ করেছে। অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় বিষয়টি নতুন। তবে ২০২১ সালে অ্যাপলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার এই সিদ্ধান্ত ব্যবহার করেছে ডাচ অ্যান্টিট্রাস্ট এজেন্সি।

এক বিবৃতিতে ইইউ অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান মার্গ্রেথ ভেস্টেগার বলেছেন, এক দশক ধরে অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপস বিতরণে বাজারে নিজেদের প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করেছে অ্যাপল। তারা ডেভেলপারদের অ্যাপল ইকোসিস্টেমের বাইরে বিকল্প, সস্তা সংগীতসেবা সম্পর্কে ভোক্তাদের অবহিত করা থেকে বিরত রেখে তা করেছে। এটি ইইউ অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়মে অবৈধ। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অ্যাপল জানিয়েছে, তারা বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে।


আরও খবর



রমজানেও থেমে নেই বর্বরতা: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৩

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছেই। এতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহতসহ মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজার ৯৩৪ ফিলিস্তিনি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে ৯৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফা এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

এর মধ্যে মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন মারা গেছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



চালু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল র‍্যাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসেই চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল র‍্যাম্প। এটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে আসা গাড়িগুলো সরাসরি নামতে পারবে এফডিসির সামনে হাতিরঝিলমুখী সড়কে।

হাতিরঝিল সংলগ্ন এই র‍্যাম্পটি চালু হলে সড়ক থেকে নেমে সোজা হাতিরঝিল, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী যেতে পারবে গাড়িগুলো।

এছাড়াও বাম দিক দিয়ে যাওয়া যাবে তেজগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী। আর ডান দিক দিয়ে সহজে যাওয়া যাবে মগবাজার, কাকরাইল, হাইকোর্ট, সচিবালয় ও গুলিস্তানে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যানজট নিরসনে সবচেয়ে বড় এই মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয় যান চলাচলের জন্য। মোট ১৫টি র‍্যাম্প আছে ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে।


আরও খবর



মানুষের কষ্ট লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার চেষ্টা করছে সেই কষ্ট লাঘবের। ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের।

তিনি বলেন, এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা বেশ আগে থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলি। একচেটিয়া বাজার তৈরি করে অধিক মুনাফা যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য ভারত হতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং প্রায় সমপরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা এই পাঁচটি পণ্য বিতরণ করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৫৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।


আরও খবর



শুল্ক কমানো হলেও দফায় দফায় বাড়ছে খেজুরের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোজার খাদ্যতালিকায় অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো এবং বাজার তদারকিসহ সরকারের নানান উদ্যোগের পরও কমছে না এ খেজুরের দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে খেজুরের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজিতে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত শুল্ক, ডলার সংকট, এলসি না পাওয়া ও সরবরাহে ঘাটতি।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সৌদি আরবের মেডজুল, মাবরুম, আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। জাম্বো মেডজুল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সাধারণ মেডজুল ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০, মাবরুম খেজুর ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, আজওয়া খেজুর মানভেদে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। এ ছাড়া কালমি মরিয়ম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, সুফরি মরিয়ম ৭৫০ থেকে ৮০০, আম্বার ও সাফাভি ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ও সুক্কারি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

তবে পাড়া মহল্লার বাজার ও দোকানে এসব দামি খেজুর বিক্রি হচ্ছে আরও ৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে। সাধারণ মানের খেজুরের মধ্যে খুচরায় বর্তমানে প্রতি কেজি গলা বা বাংলা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, জাহিদি খেজুর ৩০০ থেকে ৩২০ ও মানভেদে দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরই খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫৪০ টাকায়।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালে রোজার আগে জাহেদি ব্র্যান্ডের খেজুরের দাম ছিল কার্টনপ্রতি (১০ কেজি) ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। চলতি বছরের দুই সপ্তাহ আগেও একই ব্র্যান্ডের খেজুরের দাম ছিল কার্টনপ্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টন ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৭৫০ ডলার। ফলে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর পরও খুচরা বাজারে দামে খুব একটা প্রভাব পড়ছে না।

আমদানিকারকরা জানান, এমনিতেই ডলার সংকটের কারণে তারা চাহিদা অনুযায়ী খেজুর আমদানি করতে পারছেন না। এর মধ্যে প্রকৃত মূল্যের চেয়েও বাড়তি দামে শুল্কায়ন খেজুরের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছে। যৌক্তিক অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণে কাস্টম কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও তারা কোনো প্রতিকার পাননি।

এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে খেজুরসহ চার পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা অনেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর আমদানি করে বন্দরে খালাস না করে রেখে দেন। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারির পর ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ খেজুর খালাস করেননি। যার ফলে দামে এর প্রভাব পড়ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাস্টমস নিজেরা নিজেরা পণ্যের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু করছে। গত বছর আমরা যে পণ্য ১ হাজার ডলার দিয়েছি এবার সে পণ্যের দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার ধরেছে। আমরা ইরাক তিউনেসিয়া, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর আমদানি করে থাকি। ইরাকি খেজুর ৯০০ ডলারে এলসি খুলেছি, আবর আমিরাতের খেজুর ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলারের, আলজেরিয়া থেকে ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলারের এলসি খুলেছি। পণ্যের কাস্টমস দিতে গিয়ে দেখি ৯০০ থেকে ১২০০ ডলারের এসব পণ্যের ভ্যালু ২ হাজার ৫০০ ডলার ধরেছে। যার কারণে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। এখন দাম কমানোর বিষয়টা কাস্টমসের ওপর নির্ভর করছে।


আরও খবর