আসন্ন ঈদুল আজহা
উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাস কোম্পানিগুলো। টিকিট বিক্রির প্রথম
দিন অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের খুব একটা ভিড় লক্ষ করা যায়নি কাউন্টারগুলোতে।
তবে পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রীদের মধ্যে ৭ জুলাই তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি।
আজ শুক্রবার
(২৪ জুন) সকাল থেকে একযোগে গাবতলী ও কল্যাণপুরের বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টার থেকে
অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কাউন্টারে যাত্রীদের টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে
অপেক্ষা করে থাকতে দেখা যায়নি। ফলে টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই টিকিট
কেটে চলে যেতে পারছেন।
গাবতলীতে বিভিন্ন
বাসের অগ্রিম টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, পূর্বঘোষণা থাকলেও অনেক যাত্রী অভিযোগ
করছেন, আজ অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে, সেটা তাঁরা জানতেন না। তা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী টিকিট
না পাওয়ারও অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। কোনো কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি
টিকিট নিতে।
গাবতলীতে হানিফ পরিবহনের বাস কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসা জিনারুল ইসলাম নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, সকালের দিকে মানুষের কিছুটা ভিড় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা একেবারেই কমে গেছে। রংপুরের টিকিট পেয়েছি ৭ তারিখের। কিন্তু বাসের সামনের দিকের কোনো সিটি খালি নেই, কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে পেছনের লাইনে সিট আছে। বাধ্য হয়ে তা কিনতে হয়েছে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সিট ও টিকিট পাওয়া অনেক কঠিন।
এদিকে রবিউল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে নীলফামারী যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকিট কাটাতে এসেছি। আমার চারটা টিকিট দরকার ৭ জুলাইয়ের। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে ৭ তারিখের কোনো টিকিট নেই, অন্যান্য দিনের টিকিট আছে। টিকিট ছাড়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৭ তারিখের টিকিট কীভাবে শেষ হয়ে যায়? এখন টিকিট বিক্রি করবে না, পরে ঠিকই বেশি দামে টিকিট পাওয়া যাবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির চাপ নেই। যারাই টিকিট কাটতে আসছেন, সবারই চাহিদা ৭ তারিখ রাতের। ৭ তারিখ রাতে প্রতিটি গন্তব্যে হয়তো চারটা করে গাড়ি যাবে। তাহলে সবাইকে তো আমরা ৭ তারিখ রাতের টিকিট দিতে পারব না। এ ছাড়া অন্যান্য দিনের কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তা ছাড়া বন্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সব মিলে মানুষের বাড়ি যাওয়ার প্রতি আগ্রহও কম।
ঈদে সড়কের অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদের আগে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব একটা ভালো না। এবার কোরবানির ঈদে গরুর ট্রাক আসবে, আবার যাত্রী নিয়ে বাসও যাবে। সে ক্ষেত্রে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। ফলে স্বাভাবিক রুটিন অনুযায়ী গাড়ি চলবে। বিশেষ কোনো ট্রিপ চালানোর এখনো চিন্তা-ভাবনা করছি না আমরা। পরিস্থিতি ও চাহিদা বিবেচনা করে দেখব বাড়তি ট্রিপ চালানো যায় কি না।