বগুড়ার শাজাহানপুরে ঢাকাগামী বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে এই দুর্ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছিল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশু মারা যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের সুজাবাদ দহপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটিকে অনেক দূর টেনে নিয়ে যায় বাসটি। এতে অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগে বাসটি পুড়ে যায়।
নিহতরা হলেন বগুড়ার গাবতলীর কালাইহাটা গ্রামের আবদুল করিমের স্ত্রী শাহানা আকতার (৩০), তার মেয়ে হিয়া মনি (৭), একই উপজেলার কদমতলি গ্রামের আবদুল গণির ছেলে অটোরিকশাচালক হযরত আলী প্রামাণিক (৩৫), ধুনটের বেড়েরবাড়ি গ্রামের মৃত দিরাজতুল্লাহর ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বাদশা (৬৪) ও অজ্ঞাত এক যুবক (২৫)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস গাবতলীর বাগবাড়িগামী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই এক যুবক, শাহানা আকতার ও গোলাম রব্বানী বাদশা নিহত হন। সেইসঙ্গে অটোরিকশাচালক হযরত আলী ও শাহানার শিশুকন্যা হিয়া মনি গুরুতর আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক হযরত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপুর দেড়টার দিকে হিয়া মনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধাক্কা দেওয়ার পরে অটোরিকশাটিকে প্রায় ৮০ গজ দূরে টেনে নিয়ে যায় বাসটি। এ সময় বিকট শব্দে অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন লেগে বাসটি পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক খন্দকার আবদুল জলিল বলেন, বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। বাসে কেউ আগুন দেয়নি। অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাসে আগুন লেগে যায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, নিহত এক যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাস ও অটোরিকশা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।