আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাস ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে-৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নরসিংদীর পাঁচদোনায় বাস ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন সিএনজির আরও এক যাত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গী-পাঁচদোনা সড়কের ভাটপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-পাঁচদোনা গ্রামের একাব্বর মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মজিবুর রহমান (৪০) ও টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার সিংহরাগী গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে সিএনজি যাত্রী আমির হামজা (৩৬)। নিহত অপর দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টার দিকে পাঁচদোনা মোড় থেকে একটি সিএনজি টঙ্গীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সিএনজিটি পাঁচদোনার ভাটপাড়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলে সিএনজিতে থাকা আমির হামজা নিহত হন। গুরুতর আহত হয় আরও তিনজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় সিএনজি চালক মজিবুর রহমান মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত অন্যদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর আরো দুইজন মারা গেছেন।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে একজন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন। আর ঢাকায় নেওয়ার পর আরো দুই জন মারা গেছে। দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অপর দুইজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যায়।


আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর



মস্কোয় হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে মেদভেদেভ এই হুঙ্কার দেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা শুধুমাত্র সন্ত্রাসের ভাষা বোঝে। যদি বলপ্রয়োগ করা না যায়, যদি সন্ত্রাসীদের হত্যা এবং তাদের পরিবার-স্বজনদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়— তাহলে কোনও তদন্ত বা বিচার কাজে আসবে না। আমাদের সামনে আর কোনও উপায় নেই।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলা চালায় বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪৭ জন। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

ওই ভবনটির অডিটোরিয়ামে পিকনিক নামের একটি রুশ ব্যান্ডের কনসার্ট ছিল। কনসার্ট হলটির ধারণক্ষমতা সাড়ে ৭ হাজার এবং সন্ত্রাসীরা যখন আক্রমণ শুরু করে তখন হলটি প্রায় পরিপূর্ণ ছিল। কনসার্ট শুরুর আগে দর্শনার্থীরা যখন আসন গ্রহণ করছেন, সে সময়ই ঘটে অতর্কিত বন্দুক হামলা। হামলার পর ভবনটিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

২০০৯ সালে চালু হওয়া একটি বিনোদন কেন্দ্রের একটা অংশ এই কনসার্ট হলটি। পুরো কমপ্লেক্সে একটি শপিং মল ও একটি হোটেলও রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পাঁচজন বন্দুকধারী হামলাতে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য সামরিক অস্ত্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

হামলাকারীরা ওই হলের নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা ভেতর থেকে হলটি বন্ধ করে রাখে।

কনসার্ট হলের একেবারে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা চেয়ারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ওই আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কোতে আইএস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছে এবং ঘটনাস্থলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়মিত এ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে।


আরও খবর



উত্তর আমেরিকার ‘কিনোয়া’ মিরসরাইয়ে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

উত্তর আমেরিকার ফসল কিনোয়া এবারই প্রথম চাষ হয়েছে চট্টগ্রামে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২৪ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো সম্ভাবনার এ ফসল চাষ করেছেন কৃষক দীলিপ নাথ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে তাঁর স্বপ্নের ফসল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়, খরচ আর পরিশ্রমের হওয়ায় আবারো চাষের লক্ষ্যে এগুচ্ছেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন শস্যদানা কিনোয়া চাষে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘড়িয়াটোলা এলাকার কৃষক দীলিপ নাথ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রথম জানতে পারেন বিদেশি এই ফসল সম্পর্কে। শুনে মনে কিছুটা সংশয় কাজ করলেও শেষমেশ নেমে পড়েন ফসল ফলাতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করা হয় বাংলাদেশে কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাসের কাছ থেকে। ১৭ ডিসেম্বর তিনি বীজ আবাদ করেন। ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে এখন ফসল ঘরে উঠার অপেক্ষায়।

গতকাল সরেজমিন দেখতে আসেন কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস।

কৃষক দিলীপ নাথ বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে জানতাম না। তাই ফলনের ব্যাপারে শুরুতে কিছুটা ভয় কাজ করেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিনোয়া নিয়ে যে সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছেন তাতে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়ে ২৪ শতক জমিতে কিনোয়া চাষ করি। এখন পুরো ক্ষেতে ফসলে ভরপুর। আনন্দ লাগছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারবো। আশা করছি ভালো দাম পাবো।

২৪ শতকে ১৪ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। দুই থেকে তিন মণ ফসল উঠার সম্ভাবনা’— বলেন কৃষক দীলিপ নাথ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চট্টগ্রামে এই প্রথম হলেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো পরিচিতি না পেলেও এই সফলের বেশ চাহিদা রয়েছে ইউরোপ আমেরিকায়। বাংলাদেশের সুপারশপগুলোতেও বাজার গড়ে উঠছে বিদেশি এই ফসলের। কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রান্না করলে এই কিনোয়াবীজ প্রায় চারগুণ ফুলেফেঁপে ওঠে এবং কিছুটা স্বচ্ছ দানাদার আকৃতি ধারণ করে। মৃদু স্বাদের কিনোয়া একেবারে গলে যায় না এবং কিছুটা চিবিয়ে খেতে হয়।

সুপারফুড নামে পরিচিত পাওয়া কিনোয়ায় রয়েছে হাইপ্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই বৈশ্বিক বাজারে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, কিনোয়া উত্তর আমেরিকার ফসল। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পরিমল কান্তি বিশ্বাস স্যার বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কিনোয়া নিয়ে কাজ করছেন। স্যারের কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো চাষ করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। ধীরে ধীরে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, অপরিচিত ফসল হওয়ায় এখনো স্থানীয় বাজার গড়ে উঠেনি তবে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বেশ কয়েকটি সুপারশপ বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করছে। দিলীপ নাথের ফসল অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন ঢাকার বেশ কয়েকজন। হারবেস্ট/হারভেস্ট করলেই তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে।


আরও খবর



নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশটি সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা। তবে সকাল থেকে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ করতে বাঁধা দিচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে রাস্তায় মঞ্চ নির্মাণ এবং যান চলাচল রাখার শর্তে দলীয় অফিসের সামনে এ সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, মতিঝিল বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া গেছে। রাস্তায় মঞ্চ নির্মাণ ছাড়া অফিসের নিচে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি মো. রওশান উল হক সৈকত সিপিএম বলেন, রাস্তায় কোনো বাধা বিঘ্ন না করে তারা তাদের অফিসের সামনে সমাবেশ করতে পারবে।

অনুমতি পাওয়ার পরেই মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে সমাবেশের কাজ শুরু করেছে বিএনপি। অফিসের ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর



২৩৮ বার হেরেও ফের নির্বাচনে লড়বেন পদ্মরাজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ২৩৮ বার হারার পরও ফের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন ভারতের তামিলনাডুর এক ব্যক্তি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। ৬৫ বছর বয়সি ঐ ব্যক্তির নাম কে পদ্মরাজন।

তার টায়ার মেরামতের একটি দোকান রয়েছে। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়া শুরু করেন ১৯৮৮ সালে। ঐ বছর তামিলনাড়ুর মেটুর থেকে নির্বাচন করেন। যখন তিনি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন তখন অনেকে হাসাহাসি করেন।

তবে পদ্মরাজন প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। পদ্মরাজন বলেছেন, সব প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে জয় পেতে চায়। কিন্তু আমি নই। আমার জন্য জয় হলো নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমি হারলেও খুশি।’

এবার তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। পদ্মরাজনকে ইলেকশন কিং’ নামে অভিহিত করে থাকেন তার পরিচিতজনরা। তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল থেকে শুরু করে স্থানীয়সহ সব নির্বাচন করেছেন।

নির্বাচনে তিনি হেরেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ও মনমোহন সিংয়ের কাছে। এছাড়া কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও নির্বাচন করেছেন তিনি।

পদ্মরাজন জানিয়েছেন নির্বাচনে জয় পাওয়াটা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূলত নিজের পরাজয়ের তালিকা দীর্ঘ করার লক্ষ্যই এখন তার। এছাড়া কার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন সেটি নিয়েও তার কোনো চিন্তাভাবনা নেই। পদ্মরাজন বলেছেন, জয় হলো অপ্রধান। বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী যে-ই হোক, আমি পরোয়া করি না।’


আরও খবর