আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাস চাপায় পিতার চোখের সামনে পুত্রের মৃত্যু!

প্রকাশিত:রবিবার ২০ মার্চ ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ মার্চ ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে পিতার চোঁখের সামনে পুত্র তাসকিন (৫) বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী পটুয়াখালীর বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের পুত্র এবং কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

আজ রবিবার নিহত তাসকিনের পিতা তার পুত্রকে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হওয়ার পরে তাসকিন আমতলী- পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেটে তার পিতার কাছে যাওয়ার পথে ওই সড়কে চলাচলরত একটি দ্রুতগামী অজ্ঞাত যাত্রাবাহী বাস তাসকিনকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পিতার চোখের সামনে পুত্র তাসকিনের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত শিক্ষার্থী তাসকিনের পিতা আবুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা তাসকিন আমাকে দেখেও আমার কোলে উঠতে পারলো না। আমার চোখের সামনে ঘাতক বাসটি আমার ছেলেকে চাপা দিয়ে মেরে পালিয়ে গেছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।


আরও খবর



সাংবাদিক রানার কারাদণ্ডের তদন্তে তথ্য কমিশনার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রূপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানার কারাদণ্ডের ঘটনা তদন্ত করছেন তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহিদুল আলম ঝিনুক। আজ রোববার সকালে শহিদুল আলম ঝিনুক শেরপুরে যান।

তিনি শেরপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে সেখানে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের সঙ্গে কথা বলেন। আজ সারা দিন তিনি এ ঘটনার তদন্ত করবেন। এরপর আগামীকাল সোমবার তথ্য কমিশনে তাঁর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৭ মার্চ দৈনিকের দেশ রূপান্তরের প্রথম পৃষ্ঠায় তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক জেলে’–শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন থেকে তথ্য অধিকার আইনের ২৫ (৫) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার দেশ রূপান্তর পত্রিকার সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে।

এদিকে গতকাল রাতে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, সাংবাদিক রানা বেশ আগেই তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। যা যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য তাঁকে সাজা দেওয়া হয়নি। তিনি অফিসে এসে ফাইল তছনছ করছিলেন ও অফিসের নারী কর্মচারীকে উত্যক্ত করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতেই তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, আপিল করলে তাঁর সাজা মওকুফ বা জামিন পাবেন বলে আমরা আশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: তথ্য কমিশন

আরও খবর



সড়কের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান, জব্দ করলেন ইউএনও

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ। উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের গাছ কেটে হরিলুটের রমরমা ফন্দি এটেছিলেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এমন সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির সদর উপজেলা ইউএনও। সমস্ত গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদ নেয়ার নির্দেশ ও সাময়িকভাবে সড়কের কাজ বন্ধ ঘোষণা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বড়গাঁও ইউনিয়নের ভুল্লি-ফাড়াবাড়ির সড়কে।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন কথা বলেন গাছ কাটা শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে। তারা জানান, বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানোর নির্দেশে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে। এ সময় শ্রমিকরা জানান, প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার মজুরি চেয়ারম্যান দেবেন বলেও জানান শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের পাশে সরকারি জমিতে চুক্তিভিত্তিক গাছ রোপনের পর তা ৩০ বছর ধরে পরিচর্যা করে আসছেন স্থানীয় কয়েকজন উপকারভোগী নারী। ভুল্লি বড়গাঁও থেকে ফারাবাড়ি প্রায় ৮ কিলোমিটার এ সড়কে ১৯৯২ সালে গাছ লাগানো প্রকল্পের আওতায় প্রথম পক্ষ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ, দ্বিতীয় পক্ষ অরগানাইজেশন ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (ওআরডি) ও তৃতীয় পক্ষ বনলতা মহিলা উন্নয়ন দলের স্থানীয় ১০ জন নারীর সঙ্গে চুক্তি নামা হয়। এ চুক্তিনামায় প্রত্যেক নারী ১৫০ গাছ রোপন করলে মোট ১৫০০ গাছ রোপন করা হয়। যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকরের মেয়াদ রয়েছে। এ সময়ের পর গাছগুলো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কেটে মুনাফার একটি অংশ পাবেন সেসব নারীরা।

কিন্তু এরইমধ্যে সড়ক প্রসস্থকরণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। তবে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে উপকারভোগী নারীদের অভিযোগ।

তাদের অভিযোগ, আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। আমরা ইউএনওকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন। কিন্তু এরই মাঝে কিছু গাছ হরিলুট হয়ে গেছে বলে জানান নারীরা।

বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানের দাবি, গত শুক্রবার ঠিকাদার রাস্তার বক্সকাটিং করার সময় ভেকু মেশিন ব্যবহার করার ফলে গাছগুলো উপড়ে গেছে। গাছ যাতে লুট না হয় সেই জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়েছে।

তবে ঠিকাদারের দাবি, গাছ উপড়ে ফেলার মতো কোন নির্দেশনা ভেকু চালকের প্রতি তার ছিলো না। তিনি বলেন, যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে এর আগে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বক্স কাটিং করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে বক্সকাটিংয়ের কাজ চলছে। কোন গাছ কাটা বা উপড়ে ফেলা হয়নি।

সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে জানতে চাইলে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার প্রয়োজন হলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইউএনওকে চিঠি দেবেন। পরবর্তীতে ইউএনও বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে সেসব গাছ চিহ্নিতকরণ ও দাম নির্ধারন করতে বলবেন এবং নিলামে গাছ বিক্রি করবেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গাছ কার নির্দেশে কাটা হয়েছে বা উপড়ে ফেলা হয়েছে এগুলো তদন্তের বিষয়। তবে এতগুলো গাছ কাটার ঘটনায় যা হয়েছে তা অনৈতিক। আপাতত সড়কের বক্স কাটিং-এর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীরা আইনের আওতায় আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



বিয়ের আগে সম্পর্ক ভাঙল সমকামী যুগল সুফি ও অঞ্জলির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিয়ে ভাঙল সমকামী যুগল অঞ্জলি চক্র ও সুফি মালিকের। অঞ্জলি ভারতের বাসিন্দা। আর সুফি পাকিস্তানের নাগরিক। দুজনই থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

অনেক দিন ধরে তাদের প্রেম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত। পাঁচ বছর আগে অঞ্জলি ও সুফির প্রেম পর্বের সূত্রপাত। সমকামী এ যুগল ২০১৯ সালে নিজেদের প্রেমের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশের মন জয় করেছিলেন। অনেকের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাদের।

সেই সময় দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বৃষ্টির মধ্যে নাচের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে অনেকের প্রশংসা কুড়ান অঞ্জলি ও সুফি। এরপর টানা পাঁচ বছরের প্রেম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করার কথাও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগে ইনস্টাগ্রামে পৃথক পোস্টে নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন তারা।

কেন বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে সম্পর্কে ইতি টানলেন অঞ্জলি ও সুফি? অঞ্জলি জানিয়েছেন, সুফির বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা নিজেই জানিয়েছেন সুফি। তিনি জানান, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি অঞ্জলিকে ঠকিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে সুফি লিখেছেন, আমাদের বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে আমি অঞ্জলির সঙ্গে প্রতারণা করেছি। বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। ওকে ভীষণভাবে আঘাত করেছি। আমি ভুল স্বীকার করছি। আমি জানি কী ভুল করেছি। আমি শুধু অঞ্জলি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যাদের ভালোবাসি, তাদেরই আঘাত করে ফেলি। তার মধ্যে আমার পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুরা রয়েছে। যারা এত দিন ধরে আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের ধন্যবাদ।

অন্যদিকে অঞ্জলি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, সুফি ও আমি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছি। আমাদের ভালোবাসা আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা ভাগ্যবান। কিন্তু এখন আমাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সুফির বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা আমাদের বিয়ে বাতিল করেছি এবং সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর জন্য সুফির প্রতি মানুষ যেন কোনো নেতিবাচক ব্যবহার না করেন, সেই অনুরোধও ওই পোস্টে করেন অঞ্জলি।

সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া যুগলের অনুরাগীদের একাংশের দাবি ছিল, তাদের বিয়ে ভাঙার ঘোষণা নিছকই মজা। তবে অঞ্জলি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সত্যিই বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনলাইনে যে আবেদন তিনি করেছিলেন, তাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্জলি।

অঞ্জলি ও সুফি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে ছিলেন। বছরখানেক আগে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

এক বছর আগে নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে অঞ্জলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুফি। এরপর নিজেদের বাগদানের কথা ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তারা।

অঞ্জলি নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে বিবাহের অনুষ্ঠান পরিকল্পনা সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে সুফি নিউইয়র্কে জীবনধারা ও ভ্রমণ বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর

ইনস্টাগ্রামে অঞ্জলি ও সুফি দুজনেরই ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ করে।

ইউটিউবে যৌথভাবে একটি চ্যানেলও চালান সুফি ও অঞ্জলি। সেই ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার রয়েছে। তবে তাদের বিচ্ছেদের পর সেই চ্যানেলের কী হবে, তা এখনো জানা যায়নি।


আরও খবর



স্বাধীনতার ইতিহাস ৭ই মার্চ ছাড়া হতে পারে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আজকে ৭ই মার্চকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে এটি নিয়ে সন্দেহ হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ৭ই মার্চ ছাড়া হতে পারে না।’ বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গকন্যা। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।


আরও খবর



কারাগারে রাজবন্দী নয় বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা (বিএনপি) বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দী। আমি বলব রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। বন্দী আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে... ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে; যেটা পুলিশ করছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুছলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন, আত্মগোপন করেছেন- তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও বুঝি তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারা দেখেন যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


আরও খবর