আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাড়ছে মাদকের ব্যবহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নেশার টাকা জোগাড় করতে মাত্র ২০ হাজার টাকায় দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বিক্রি করেন এক মাদকাসক্ত বাবা। গত ৮ জুন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এ ঘটনার পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমরান পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। টাকার জন্য তিনি সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার পর শিশুর মা লামিয়া আক্তার থানা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ইমরান হোসেনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার দাবি করেন, মূলত মাদকের টাকার জন্যই তাদের শিশুসন্তান অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে স্বামী।

গত ২৩ মে রাজশাহীতে নেশার টাকার জন্য ছিনতাই করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এক চাকরিজীবী। ৩৬ বছর বয়সী আব্দুল ওয়াদুদ বুলবুল নামের ওই ব্যক্তি সচ্ছল পরিবারের সন্তান। বাণিজ্যে স্নাতক পাস করে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন। রয়েছে স্ত্রী-সন্তান; কিন্তু মাদকের নেশায় তিনি এখন ভয়ংকর ছিনতাইকারী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। নেশার টাকা সংগ্রহ করতেই ছিনতাই করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ওয়াদুদ। তার বাড়ি নগরীর নওদাপাড়া এলাকায়। ওয়াদুদের বাবা আব্দুল হামিদ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন। তাদের চারতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে বাস করেন ওয়াদুদ।

পুলিশ জানায়, ওয়াদুদ ভয়ংকর ছিনতাইকারী। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, শখ করে এক বন্ধুর সঙ্গে একদিন ফেনসিডিল সেবন করেন। এরপর ইয়াবা ট্যাবলেট। তারপর চেষ্টা করেও আর এসব ছাড়তে পারেননি। মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে টাকা সংগ্রহ করতেই তিনি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ জগতে পা বাড়িয়েছেন।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শাতিল সিরাজের স্ত্রী ইফফাত জাহানের ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। থানায় অভিযোগ হলে ঘটনার পরদিন রাতে ওয়াদুদকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। ইফফাত জাহান রিকশায় চড়ে নগরীর রেলগেট থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই মোটরসাইকেল নিয়ে ইফফাতের ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যান ওয়াদুদ। পরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন ওয়াদুদ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা ব্যাগ ও টাকা। তবে ইফফাতের মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি। ছিনতাই করা মুঠোফোনটি তিনি ড্রেনে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগেও তিনি এভাবে ছিনতাই করেছেন।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মাদকের নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য অনেক সচ্ছল ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরাও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।

শুধু এক ওয়াদুদ বা ইমরান নয়, প্রায় প্রতিদিনই মাদকের টাকার জন্য কেউ হয়ে উঠছেন ছিনতাইকারী, কেউবা খুনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বাৎসরিক রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রতি বছরই দেশে মাদকের অপব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে সবচেয়ে বেশি ইয়াবার ব্যবহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৬ জুন মাদকদ্রব্য জব্দের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দেশে হেরোইনের অপব্যবহার বেড়েছে। গাঁজার অপব্যবহার ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান থাকলেও ২০১৮ সাল থেকে গাঁজার অপব্যবহার কিছুটা কমেছে। ফেনসিডিল ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে কিছুটা কমলেও ২০১৭ সালে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে স্থিতিশীল ছিল। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ইনজেক্টিং ড্রাগের অপব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে কমে ১৭ সালে আবারো বাড়ে।

২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব ও কোস্টগার্ড মিলে জব্দ মাদকের পরিমাণে দেখা যায়- ২০১৪ সালে কোকেন ২.০৮৫ কেজি, ফেনসিডিল ৭৪১১৩৭ বোতল ও ৪৩৮.২১৮ লিটার, হেরোইন ৭৮.৩০৩ কেজি, বিদেশি মদ ২৯৩২৫৪ বোতল, গাঁজা, ৩৫৯৮৮.৫৬ কেজি, ইনজেকটিং ড্রাগ ১৭, ৮৮৯ পিস, ইয়াবা ৬৫,১২,৮৬৯ পিস জব্দ করে। ২০১৫ সালে কোকেন ৫.৭৭৮ কেজি, ফেনসিডিল ৮৭০২১০ বোতল ও ৫১০৪.৭৫ লিটার, হেরোইন ১০৭.৫৩৯ কেজি, বিদেশি মদ ৩২২৫৮৯ বোতল, গাঁজা, ৩৯৯৬৭.৫৯ কেজি, ইনজেকটিং ড্রাগ ৮৫, ৯৪৬ পিস, ইয়াবা ২,০১,৭৭,৫৮১ পিস জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে- ভারত থেকে ২৩ রুটে, মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবানের ১৫টি রুট ব্যবহার করে দেশে মাদক ঢুকছে। ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশের অনুরোধে সীমান্তের আশাপাশের ফেনসিডিল কারখানা এরই মধ্যে ধংস করেছে ভারত। তবে এখনো যেসব কারখানা আছে সেগুলো ধীরে ধীরে ধংস করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভয়ংকর যেসব মাসক আসছে, সেগুলো রোধে ভারতের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের সব সময় অনুরোধ করছি এবং আমাদের অনুরোধে তারা ফেনসিডিল কারখানা সরিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমার, যেখান থেকে ভয়ংকর মাদকগুলো আসে। সেই ড্রাগগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সর্বত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমাদের ডিজি তাদের ডিজির আলাপ হচ্ছে, আমরা তাদের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মিয়ানমারকে যখন আমরা অবহিত করি তখন তারা বুঝেন, পরে আর কিছু করেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ কারণে আমরা সীমান্তে বিজিবিকে শক্তিশালী করছি, আমাদের কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করছি। এই মাদক যাতে দেশে না ঢুকতে পারে সেদিকে নজরদারি করছি। আমরা সীমান্ত এলাকায় সেন্সর বসানোর ব্যবস্থা করছি, যাতে কেউ আসলে বা গেলে তার অস্তিত্ব আমরা টের পাই।

মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহার বর্তমান বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত সব দেশই আজ এ সমস্যায় আক্রান্ত। আমাদের দেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের প্রধান দুটি মাদক উৎপাদনকারী বলয়ে অবস্থিত হওয়ায় এটি মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। এতে দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে যুব সমাজের একটি অংশ মেধা ও কর্মশক্তি হারিয়ে ফেলে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সারা বিশ্বে যেভাবে কাজ করে, আমরাও ঠিক সেভাবে কাজ করি। সাপ্লাই হ্রাস, ডিমান্ড হ্রাস ও হার্ম হ্রাস এই তিন পদ্ধতিতে আমরা কাজ করে থাকি।

মাদক যখন কেউ গ্রহণ করা শুরু করে দেয়, সেটা থাকে কৌতূহলবসত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে তারা সিগারেটে এক-দুই টান দেয়। এক দুই টান দিতে দিতেই কোস দিন যে চেইন স্মোকার হয়ে যায় সেটা তার অজান্তেই হয়ে যায়। তার পর শুরু করে দুই এক ছিলিম গাঁজা দিয়ে। তার পরে সে যে উল্কার মতো চলে, সে নিজেও বুঝতে পারে না। আমরা হার্ম হ্রাসের জন্য এই সমস্ত ড্রাগ অ্যাডিক্টেডদের খুঁজে বেড়াই। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান রয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। কারো কারো পরিসংখ্যানে আরো বেশি। মোট মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। মাদকাসক্তদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ আবার যৌন অপরাধী। জেলখানায় যত মানুষ আছে, এর বেশিরভাগই মাদক পাচারকারী কিংবা কারবারি। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদকসেবীদের ৮০ শতাংশই যুবক। আমরা সরকারিভাবে বলেছিলাম প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। এখনো কিন্তু একটা মেনে চলছে। সমীক্ষা বলছে, ৮ শতাংশ ধূমপায়ী কমেছে কিন্তু আমার মনে হয় আরো কমেছে। সবাই মিলে কাজ করলে আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ হতে পারব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে মাদকাসক্ত মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপির পাশাপাশি নোডাল এজেন্সি হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মাদকাসক্ত

আরও খবর



যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ফলে সম্ভাব্য রি-অ্যাকশন কী হতে পারে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কনফ্লিক্ট যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেটি কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমরা কী করতে পারি; সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুদ্ধ যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে, সেটি যেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ করে তা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন। যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়। ক্রাইসিস তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, তখন কি করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




মঙ্গলবার যে ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপপ্রবাহের কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের ২৭টি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি বাড়ানো হয়। এতে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে গতকাল রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরুর কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলে।

তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় আজ দেশের ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এই নির্দেশনার বাইরে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।

এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলোর আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন। এর আগেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।

আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। তবে ইরানের হামলার হুমকি কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া রংপুর ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


আরও খবর