পারিবারিক মামলায় কারাগারে থাকা বাবা ও ভাইকে দেখতে আসছিল ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। পথিমধ্যে পাচঁ-ছয় জন যুবক তার গলায় ছুরি ধরে ও চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করেছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে তরুণীর মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার
দুপুর ১টার দিকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও কারাগারে থাকা তার বাবা ও ভাইকে দেখেতে
পাগলু (থ্রী হুইলার) যোগে বালিয়াডাঙ্গী থেকে ঠাকুরগাঁও শহরে আসছিল। এ সময় একই এলাকার
৫-৬ যুবক মেয়েটির গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে একটি নির্জন এলাকায়
নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হলে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এলাকাবাসী শুক্রবার
রাত ১১টায় জেলা সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামার এলাকায় রাস্তার ধারে মুখ বাধা অবস্থায়
মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে
হাসপাতালে ভর্তি করে।
শনিবার হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন ওই তরুণী জানায়, বাড়ি থেকে বালিয়াডাঙ্গী পাগলু স্ট্যান্ড থেকে একটি পাগলুতে
উঠে বাবা ও ভাইকে দেখতে আসার সময় বাবলু, তালেব ও আসলামসহ মোট ৬ জন ওই গাড়িতে ওঠে আমার
গলায় ছুরি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ঘরে
তারা ছয় জন তাকে ঘিরে ধরে আছে। পরে তার উপর নির্যাতন করা হলে সে আবার অজ্ঞান হয়ে যায়।
তারপরে জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে সদর হাসপাতালে দেখতে পায়।
ধর্ষণের প্রাথমিক
সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জানান,
মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে এবং হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ৯৯৯-এ কলের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।