বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাদশা সওদাগর (৫৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরদিন শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন এবং ঘাতক ছেলে এনামুল হক (২১)কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত মতিউর রহমানের পুত্র বাদশা সওদাগর স্থানীয় প্রেম বাজারের পূর্ব পাশের ডেকোরেশনসহ বিভিন্ন ব্যবসা করে আসছিলেন। তার ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে। ছেলেমেয়েদের মধ্যে ছোট ছেলে এনামুল হক প্রতিদিন রাত করে ঘরে ফিরতো তাই বাদশা সওদাগর ওই ছেলেকে বকাঝকা করতেন। যার ফলে বাদশা সওদাগরের ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ওই ছেলেটির। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসে বাদশা সওদাগর। রাতের খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা আলাদা আলাদা কক্ষে ঘুমায়। এই সুযোগে বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে এনামুল হক তার বাবার রুমে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে তার বাবা বাদশা সওদাগরকে। এ সময় খুনের ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে ঘাতক এনামুল হক তার মেঝ ভাইয়ের মোবাইলসহ পরিবারের আরও কয়েকজনের মোবাইল তার বাবার রুমে রেখে আসে। শুক্রবার সকালে নিহত বাদশা সওদাগরের মেঝ ছেলে আমির হোসেন মোবাইল খুঁজতে খুঁজতে তার বাবার কক্ষে গিয়ে দেখে তার বাবা বাদশা সওদাগরের রক্তাক্ত নিথরদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে, মাথায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার বাবা বাদশা সওদাগরকে। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয় তারা।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক পুত্রকে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’