আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশসহ অনেক দেশ এখন অর্থনৈতিক চাপের মুখে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম অনেক কিছু বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হয়। দাম বাড়ানের পরও ভারতে তেলের দাম আমাদের চেয়ে বেশি। সরকারকে অনেক হিসাব-নিকাশ করে চলতে হয়। এখন রাশিয়া থেকে সবাই তেল আনার চেষ্টা করছে। আমাদের সরকারও রাশিয়া থেকে তেল কীভাবে আনা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশসহ অনেক দেশই এখন অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে। গত দুই-আড়াই বছর ধরে এসব চলছে। সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সুধীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। করোনার সময় বিশ্বের অনেক দেশ যে কঠিন অবস্থা পার করেছে, তা বর্ণনা করার মতো না। তবে আমাদের সরকার করোনার সেই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তুলনামূলকভাবে এ বিষয়ে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালো আছি আমরা।

রাষ্ট্রপতি বর্তমানে জ্বালানি সংকট ও এর জেরে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তিনি শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্ত টেনে বলেন, জ্বালানি তেলের সংকটসহ নানা কারণে শ্রীলঙ্কার সরকার পরিবর্তন হয়ে গেছে। নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু নতুন সরকার হলেও কোনও লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না। প্রকৃতপক্ষে ওই দেশটির আর্থিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে যত সরকারই আসুক, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ এত সহজ হবে না। সরকারকে সময় দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে শুধু শ্রীলঙ্কা না, এমন অনেক দেশই এ ধরণের সমস্যা মোকাবিলা করছে।

তিনি নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসঙ্গে বলেন, এই সংকটকালে সরকারের কাছ থেকে এলাকার জন্য বড় কোনও কাজ বা প্রকল্প আদায়ে চাপ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি স্বাভাবিক অবস্থা থাকতো, তাহলে হাওর এলাকায় আরও অনেক কাজ করা সম্ভব হতো। তবে পরিকল্পনা আছে, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে, অর্থনৈতিক সংকট কেটে গেলে হাওরে অনেক উন্নয়ন হবে।

রাষ্ট্রপতি গত বন্যা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন হাওরের অলওয়েদার সড়কের জন্য নাকি সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা হয়েছে। এ অভিযোগ খন্ডন করে তিনি বলেন, সাধারণত সিলেট-সুনামগঞ্জ থেকে আসা পানি থেকে আমাদের হাওরে অকাল বন্যা হয়। এটাই ছোটবেলা থেকে আমরা জেনে ও দেখে এসেছি। ওইসব সমালোচনা বা কথা একেবারেই অযৌক্তিক। এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কথা। মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। আমি মনে করি, এজন্য দেশবাসী তাদের ধিক্কার দেবে।

সোমবার ৪ দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে পৌঁছান। বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে মিঠামইনে যান তিনি। সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, আফজাল হোসেন, অধ্যক্ষ আবদুল হক নুরু, সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। মিঠামইন পৌঁছার পর রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক সরকারি কলেজ পরিদর্শন করেন। চার দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করবেন। তিনি সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি অডিটরিয়ামে পেশাজীবি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিন ঘণ্টা মতবিনিময়সহ তাদের বক্তব্য শোনেন। আলোচনায় অংশ নেয়, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য সমির কুমার বৈষ্ণব প্রমুখ।

তিনি আজ ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশান ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করবেন।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বরসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

অপরদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রবিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পরের দিন সোমবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় মালিকপক্ষকে।

এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। এ কারণে প্রায়ই টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার সকালে নতুন করে বিজিপির ৯ সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের বিজিবির সদস্যরা নিরস্ত্র করেন।

এর আগে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন এবং নাইকংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৮০ জন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া নাইকংছড়ি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে ১৮০ জন সদস্য।


আরও খবর



চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে হতাশ করে প্রথম দিনেই ৩০০ পেরিয়ে শ্রীলংকা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শেষ বিকেলে শ্রীলংকার দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। এই লাইনটুকু পড়ে অবশ্য খুশি হওয়ার কিছু নেই। কেননা দিনব্যাপী স্বাগতিক বোলাররা হতাশাতেই ছিল। ফলে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টর প্রথম দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০০ পেরিয়ে গেছে লংকানরা। নির্ধারিত ৯০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করেছে তারা।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বাংলাদেশ তাদের একাদশে দুইটি পরিবর্তন এনেছে। দলে ঢুকেছেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ। এই ম্যাচই হাসান মাহমুদের অভিষেক টেস্ট। সিলেট টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন তরুণ নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম। শ্রীলংকা তাদের একাদশে একটি পরিবর্তনই এনেছে। সিলেট টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়া কাসুন রাজিথা ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার কাসুন রাজিথা।

অভিষিক্ত হাসান দলীয় ষষ্ঠ ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন তিনি। তবে তার বলে স্লিপে মাদুশকার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। অভিষেক ম্যাচে আরও দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেরিয়েছে হাসানের। ২২তম ওভারে হাসানের বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন করুনারত্নে। তবে বাউন্ডারি লাইন থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকায় ক্যাচ মিস করেন সাকিব আল হাসান। তার হাতে লেগে হয় ছক্কা। উইকেটশূন্য অবস্থায়ই প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনের প্রথমেই উইকেট পায় বাংলাদেশ। সেটি হাসান মাহমুদের কৃতিত্বে। তবে বলে নয়, ফিল্ডিংয়ে। ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৯৬ রানের মাথায় তার দুর্দান্ত থ্রোয়ে ফেরেন মাদুশকা। তিনি ১০৫ বলে ৬টি চারে ৫৭ রান করেন।

এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন করুনারত্নে ও কুশল। বল হাতে প্রথম সাফল্য আসে সেই হাসানের হাত ধরেই। ৫৬তম ওভারের প্রথম বলে হাসান মাহমুদের বলে করুনারত্নে সরাসরি বোল্ড হলে ভাঙে লংকান ওয়াল’। করুনারত্নে ফিরেছেন ৮৬ রান করে। ১২৯ বলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন করুনারত্নে।

তবে এই টেস্টও বাংলাদেশের বোলারদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রথম দুই সেশনেই তুলে নিয়েছে রানের ডাবল সেঞ্চুরি। ওভারপ্রতি সাড়ে তিনের বেশি হারে রান তুলে করেছে ২১৪।

এরপর সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে সাকিব আল হাসানে কাঁটা পড়েন কুসল মেন্ডিস। ৭২তম ওভারের তৃতীয় বলে এই টেস্টে ফেরা সাকিবের বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। লংকান ব্যাটার ১৫০ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৩ রানে ফেরেন। ম্যাথিউস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হাসান মাহমুদের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৭১ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রানে মিরাজকে ক্যাচ দেন তিনি।

দিনের বাকিটা সময় দীনেশ চান্দিমাল ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলাভা দেখেশুনে খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। চান্দিমাল ৩৪ ও ডি সিলভা ১৫ রানে প্যালিভিয়নে যান।

এর আগে সিলেটে প্রথম টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। লংকানদের বিপক্ষে ৩২৮ রানে হারের ম্যাচে বাংলাদেশ দুই ইনিংসে অলআউট হয়েছে মাত্র ১৮৮ ও ১৮২ রানে।


আরও খবর