বাংলাদেশের জলসীমা আটকের ১৩ ঘণ্টা পর ৪টি ফিশিং ট্রলারসহ বাংলাদেশি ২২ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা ৪টি ট্রলারসহ তাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘাটে এসে পৌঁছান।
গতকাল ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময়
বাংলাদেশ জলসীমায় সাগরে মাছ শিকার করার সময় সেন্টমার্টিনের অদূর থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর
সদস্যরা দুই দফায় ৪টি ফিশিং ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড
বাহিনীর সহযোগীতায় ওই জেলেদের ফেরত দিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার নৌবাহিনী।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
পারভেজ চৌধুরী জানান, মাঝিমাল্লাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ফিশিং ট্রলারগুলো ফেরত দিয়েছে। জেলেরা
সবাই সুস্থ আছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায়
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের
মালিকাধীন চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ২২ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ ধরতে যান। শনিবার সকালে
দ্বীপের পূর্বদিকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ট্রলারসহ
২২ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যান।
সেন্টমার্টিন স্টেশন কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা
জানিয়েছেন, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর মিয়ানমার দূতাবাসের
সঙ্গে যোগাযোগ করার পর উভয় পক্ষের দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়েছে।