ঢাকায় নিযুক্ত
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন যাত্রায় সব সময় পাশে থাকবে ভারত।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে
তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ-ভারত
মৈত্রী দিবস উপলক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই দিনটি দুই দেশের জনগণের আবেগের বন্ধন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অসামান্য ভূমিকার উপলক্ষ হয়ে আছে। দিনটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বড় প্রভাব রেখেছে।
আরও পড়ুন>> নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিবন্ধন পেল ৯৬ দেশি সংস্থা
প্রণয় ভার্মা
বলেন, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে
দুই দেশের মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার
আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর
দুই দেশের অংশীদারিত্বকেও ছাড়িয়ে যাওয়া সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল। এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
বহুদূর বিস্তৃত। দুই দেশের সম্পর্ক আজ বহুমুখী। এ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্তহীন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১
সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে
স্বীকৃতি দেয় ভারত। দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ২০০১
সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী
দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।