শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির
কাছে হার মেনেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টি-টোয়েন্টি। বৃষ্টি বাধায় প্রথমে ১৬
ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। ৭.৪ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামলে আরও দুই ওভার কাঁটা পড়ে। ১৩ ওভারে
বাংলাদেশের রান যখন ১০৫, আবার বৃষ্টি বাধার মুখে পড়ে ম্যাচ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়
পেরিয়ে যাওয়ায় দুই অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। শনিবার
(০২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৩০ টায় একই মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
প্রথমবার বৃষ্টিতে
বন্ধ হওয়ার আগে ৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করে বাংলাদেশ। শেষবার খেলা বন্ধ হওয়ার
আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান তুলে সফরকারীরা। শুরুটা দারুণ করেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে
পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান তুলে বাংলাদেশ।
গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে এটাই পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এ সময়টাতে
৯ বলে ১৯ রান আসে তিনে নামা সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। পাওয়ার প্লের পরের ২.৪ ওভারে
আরও দুই উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৪ রান। ওপেনিংয়ে প্রথমবার জুটি বাঁধেন আনামুল হক
বিজয় ও মুনিম শাহরিয়ার। আকিল হোসেনের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হন মুনিম (২)। ক্যাচ
দেন উইকেটকিপার ডেভন থমাসের গ্লাভসে।
প্রায় পাঁচ বছর
টি-টোয়েন্টি একাদশে ফেরা বিজয় অবশ্য দুরন্ত শুরু পেয়েছিলেন। তাঁর প্রথম দুইটি স্কোরিং
শটই চার। প্রথমটি বাঁহাতি স্পিনার আকিলের বলে, দ্বিতীয়টি পেসার রোমারিও শেফার্ডের দ্বিতীয়
ওভারে। তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি বিজয়। পাওয়ার প্লের চতুর্থ ওভারে আউট হন বিজয় একপ্রান্তে
শেফার্ডকে সরিয়ে আরেক পেসার ওবেড ম্যাকয়কে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। নিজের
তৃতীয় বলেই সাফল্য এনে দেন ম্যাকয়। উড়ন্ত খেলতে থাকা বিজয়কে ফেরান ১৬ রানে। এলবিডব্লিওর
বিপক্ষে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি এ ওপেনার।
পাওয়ার প্লের
পর পথ হারায় বাংলাদেশ। পরের ২.৪ ওভারের মধ্যে আউট হন সাকিব ও লিটন দাস। শেফার্ডের স্লোয়ার
বুঝতে না পেরে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮ ফেরেন লিটন। ৮ রান করতে খরচ করেন
১৪ বল। লিটনের পর আউট হয়ে যান সাকিবও। লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের বলে উইকেটকিপার
থমাসের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। ১৫ বলে সমান দুটি চার-ছক্কায় ২৯ রান করেন সাকিব। বৃষ্টির
বাধার পর আবার খেলা শুরু হলে ওয়ালশের প্রথম বলেই আউট হন আফিফ হোসেন (০)।
আফিফের আউটের
পর দ্রুতই আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৪ বলে ৮ রান করে শেফার্ডের শিকার হন বাংলাদেশ
অধিনায়ক। তবে শেষ দিকে ঝড় তোলেন নুরুল হাসান সোহান। ওডেন স্মিথের বলে ২ ছক্কা এক চারে
১৬ বলে ২৫ রান করেন এ উইকেটকিপার ব্যাটার। ইনিংসের ১৩তম ওভারে স্মিথকে দুই ছক্কা মারেন
সোহান। আরেকবার তুলে মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে থাকা ফিল্ডার ব্রেন্ডন কিংয়ের তালুবন্দি
তিনি। এক বল পরেই বৃষ্টি নামে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট
নেন পেসার শেফার্ড।