প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি নিতে চাইছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটিতে বহু বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দেশের সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) সেখানে জানানো হয়েছে, ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ৮৮ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট কাজে কমপক্ষে ৬ মাস দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর কিংবা অন্যান্য দেশে আন্তর্জাতিক জাহাজ নির্মাণ শিল্পে কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এছাড়া প্রার্থীকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর হতে হবে। আর দোভাষী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রার্থীদের আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বোয়েসেল।
জানা যায়, রাশিয়ায় যেতে মাইগ্রেশন খরচ হবে প্রায় ৪২ হাজার টাকা। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে কর্মীদের বেতন ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হবে। এর বাইরে রাশিয়ায় বিমান ভাড়া, বাসস্থান ও পরিবহন খরচ নিয়োগকর্তারাই দেবে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর বেসামরিক জাহাজের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম সরবরাহ নিয়ে সংকটে পড়ে রাশিয়া। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে শক্তিশালী করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তার এমন আগ্রহের পর জাহাজ শিল্পে জনশক্তি আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে দেশটি।
সরকারি মালিকানাধীন জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বোয়েসলের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলো মূলত স্ক্যাফোল্ডিং (বিল্ডার), হাল ফিটার (ধাতব জাহাজ), মেরিন মেশিন ফিটার, মেরিন পাইপ ফিটার এবং ওয়েল্ডিংয়ের জন্য কর্মী নিয়োগ করতে আগ্রহী।
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশে অনেক লোক কাজ করছে। এছাড়া বাংলাদেশের ছয়টি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসছেন। রাশিয়ার জনবল নিয়োগ শুরু হলে তাদের জন্য ভালো সুযোগ হবে বলে জানিয়েছেন বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মল্লিক আনোয়ার।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা একবার রাশিয়ার বাজারে প্রবেশ করলে সেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’