আইজিপি ড. বেনজীর
আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশে কোনো অপরাধের স্থান নেই। অপরাধীর বিরুদ্ধে লড়াই করার
জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, নিজেরা অপরাধ করার জন্য নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা ক্রাইম
করবো না, সিনিয়র, জুনিয়র কোনো সহকর্মীকে ক্রাইম করতে দেবো না। কোনো পুলিশ সদস্য ক্রাইমের
সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে পুলিশ বাহিনী থেকে বের করে দেয়া হবে।
যশোর পুলিশ লাইনসে
বুধবার সকালে খুলনা রেঞ্জের সকল পুলিশ ইউনিটের বিভিন্ন পদবির অফিসার ও ফোর্সের সঙ্গে
এক বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এই হুঁশিয়ারি দেন। খুলনা রেঞ্জের
ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর জেলার পুলিশ
সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
বাংলাদেশ পুলিশের
এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ
তথ্য জানানো হয়। আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং করোনাকালে দেশ ও জনগণের সেবায়
আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা
করেন।
আইজিপি বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত
দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী আধুনিক পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলা
হচ্ছে। পুলিশের আধুনিকায়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে
পুলিশে সর্বাধুনিক টেকটিক্যাল বেল্ট, বডি ওর্ন ক্যামেরা ইত্যাদি যুক্ত হয়েছে। দেশ
ও জনগণের কল্যাণে এবং জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আগামীতে পুলিশের আধুনিকায়নে
যা যা করা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে।
পুলিশের নিয়োগ
পদ্ধতির সংস্কারের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর পুলিশের কনস্টেবল,
সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান নিয়োগ বিধি সংস্কার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে
কনস্টেবল পদে জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দি বেস্ট’ প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর
পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মানুষের সঙ্গে
অমানবিক ও অপেশাদার আচরণ না করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইজিপি
বলেন, মানুষের সাথে অপেশাদার আচরণ করা যাবে না।