আওয়ামী লীগের
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে বর্তমান শ্রীলঙ্কার অবস্থায় দেখতে চায়। কিন্তু,
বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস শিল্প ও কৃষিখাত। বর্তমানে এ
তিনটি খাতে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ প্রগতিশীল চিন্তা ধারার,
তাই কখনও বর্তমান শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
(বিএসএমএমইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মা সেতু
প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘দেশে সেতু হতেই পারে। তবে, পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ মিশ্রিত।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। বিএনপি ও ড. ইউনূসের ষড়যন্ত্রে দুর্নীতির মিথ্যা
অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কিন্তু,
জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে এ সেতু আজ উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে।’
হানিফ বলেন,
‘জাতির
পিতাকে হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যারা
একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল, তাদের পশ্চিমা মিত্ররা একাত্তরের পরাজয়ের চরম প্রতিশোধ নেওয়ার
জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নকে হত্যা
করার চেষ্টা হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের
এ নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। জিয়াউর
রহমান ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের তিন লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো স্বাধীনতাবিরোধীকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন।
পাকিস্তানের পরামর্শে আবদুল আলীম, মাওলানা মান্নান ও রজব আলীর মতো স্বাধীনতাবিরোধীদের
নিয়ে কেবিনেট গঠন করেছিলেন।’