আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ২৮ দিন পর ফেরি চালু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

একটানা ২৮ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে সোমবার(৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে শুরু হয়েছে ফেরি চলাচল। এর আগে গত ১১ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ধাপে বন্ধ হয় ফেরি। পদ্মায় স্রোতের তীব্রতার কারণে প্রথম ধাপে গত ১৮ আগস্ট থেকে নৌরুটে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। দ্বিতীয় ধাপে বন্ধ হয় গত ১১ অক্টোবর থেকে। তৃতীয় দফা ট্রায়াল শেষে সোমবার দুপুর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সীমিত সংখ্যক ফেরি হালকা যানবাহন নিয়ে শুধুমাত্র দিনের বেলা চলবে। বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ট্রায়ালের অংশ হিসেবে শিমুলিয়া থেকে একটি কেটাইপ ফেরি বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দুপুরের দিকে ওই ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে সফল ভাবেই ঘাটে গিয়ে নোঙর করে। নৌরুট স্বাভাবিক থাকায় এরপর থেকেই ফেরি চলাচল শুরু করে। তবে সীমিত সংখ্যক ফেরি ছোট যানবাহন নিয়ে শুধুমাত্র দিনের বেলায় চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে সোমবার মাঝারি দুটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আরো দুই/তিনটি ফেরি বাড়ানো হতে পারে।

ফেরি চালুর খবর পেয়ে ছোট যানবাহন আসতে শুরু করেছে বাংলাবাজার ঘাটে। দুপুর থেকে ফেরিতে ছোট যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীরাও পার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন স্থবির অবস্থায় থাকার পর ফেরি ঘাট এলাকায় ফিরে আসতে শুরু করেছে প্রাণচাঞ্চল্য

বিআইডব্লিউটিএ'র মেরিন কর্মকর্তা(শিমুলিয়া) আহমদ আলী বলেন, 'নৌরুট স্বাভাবিক থাকায় ফেরি চালু হয়েছে। আপাতত দিনের বেলা সীমিত সংখ্যক ফেরি চলবে। তবে ফেরিতে বাস, ট্রাক পার করা হবে না।'


আরও খবর



বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন আ ন ম ওবাইদুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামে জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আ ন ম ওবাইদুর রহমান। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫২৬টি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীক মোঃ জাফর আলী পেয়েছেন ৪৬৮টি ভোট।

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার সবকয়টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে নিবার্চনী ভোট দেন ভোটাররা।

জানা গেছে, গত জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন মোঃ জাফর আলী। পরে জেলা পরিষদের শুন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই পদে আবারও আনারস প্রতিক নিয়ে নিবার্চন করলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ন ম ওবাইদুর রহমানের আনারস প্রতীকের কাছে ৫৮ ভোটে পরাজিত হন তিনি। এ নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ১০১৩ জন। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, মেম্বার, চেয়ারম্যানগন ৯টি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেন।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিলহাজ উদ্দিন বলেন, জেলায় ৯ টি উপজেলার ৯ টি ভোট কেন্দ্রে শান্তি পূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই বেসরকারিভাবে ৫৮ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীক আ ন ম ওবাইদুর রহমান।


আরও খবর



আসামি ছিনিয়ে নেওয়া যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরকে (৩৫) ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাগর মাদবর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের টেকেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা। সাগর বড় গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টাসহ ৮টি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও র‍্যাব সূত্র জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারে অভিযান চালিয়ে আধা কেজি গাঁজাসহ আরিফ মাদবর ও সবুজ মাদবরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় খবর পেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাগর মাদবর ও তার লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদকসহ আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সাগর মাদবরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা সাগর মাদবর। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাগর মাদবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


আরও খবর



নুসরত বাদ, নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা মমতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি ইস্যু এখনো টাটকা মানুষের মনে। তারই মাঝে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাটের তারকা এমপি চিত্রনায়িকা নুসরত জাহান আর পাননি টিকিট। তার বদলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভূমিপুত্র হাজি নুরুল ইসলামের মতো দক্ষ সংগঠকের ওপর আস্থা রেখেছে ঘাসফুল শিবির।

শোনা যাচ্ছে, তার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহম্মদ সামি। যদিও, বিষয়টি এখনো জল্পনার স্তরেই রয়েছে। কোনো তরফ থেকে জল্পনায় চূড়ান্ত বক্তব্য আসেনি।

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাট কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে আর টিকিট পাননি। জঙ্গিপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেখানে অবশ্য জিততে পারেননি। তার পরিবর্তে ইদ্রিস আলি ভোটে লড়ে জিতে যান। এর পর বিধানসভা ভোটে লড়েন। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া থেকে জেতেন। হাড়োয়ার বিধায়ক হলেও বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রথমে চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হন। এবার তাকেই লোকসভার মুখ হিসাবে বেছে নিলো তৃণমূল।

গত লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থী নুসরতেই আস্থা রেখেছিল তৃণমূল। এবার কেন দক্ষ সংগঠককেই তুরুপের তাস করল ঘাসফুল শিবির? রাজনৈতিক মহলের মতে, নুসরতকে নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ ছিল। তারকা ইমেজে ভোটে জিতলেও কোনো দিন জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেননি নুসরত। সম্প্রতি সন্দেশখালি ঘটনার পর তারকা এমপির দেখা না মেলায় আরো হতাশ বসিরহাটের মানুষজন। সম্ভবত সে কারণে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রেই দক্ষ সংগঠকেই আস্থা তৃণমূলের।

বসিরহাট উত্তর, বসিরহাট দক্ষিণ, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ এই সাত বিধানসভা নিয়ে গঠিত বসিরহাট লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর। এই লোকসভা কেন্দ্রে মুসলমান ভোটার ৪৯ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট করতে ফের হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিলো তৃণমূল। এরই মধ্যে আবার বসিরহাট লোকসভা আসন থেকে বিজেপির সম্ভাব‌্য প্রার্থীর নাম নিয়ে তুমুল জল্পনা রয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, বসিরহাট লোকসভা থেকে এবার নিজেদের প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। সেক্ষেত্রে তারাও যদি সংখ্যালঘু প্রার্থী ঘোষণা করে, তাহলে তা শাসকদল বা বিজেপি-দুইয়ের ক্ষেত্রেই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণেও হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল বাছতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে জেতেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


আরও খবর



শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনে তালা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

যৌন হয়রানির অভিযোগে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিসসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র ও সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়। এছাড়াও রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে তার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক ছুটি নয় বরং স্থায়ী বহিষ্কার। প্রথমে তারা প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসে তালা দেন৷ পড়ে একে একে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন, প্রক্টর অফিস, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, ব্যাবসাপ্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

পড়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়। এরপরেই বিকাল ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এসময় ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি সেটি কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত তারা প্রতিবেদন দেবে এবং সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । তোমরা শান্ত থাকো। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা এর বিচার করবো।

তবে তার এই কথায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এসময় তারা উপাচার্যের অপারগতাকে নিন্দা জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফারাবী বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকবো। যদি আজকের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হয় তাহলে আমাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আপনাদের যেতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থানে এক চুল ছাড় দেব না।

দিনব্যাপী আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।


আরও খবর