আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাঞ্ছারামপুরে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বসুন্ধরা গ্রুপ মানবসেবায় অনেক এগিয়ে, যার বাস্তবচিত্র আমি আমার সামনে দেখেছি। এই মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র লোকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সবচেয়ে বড় মানবিক গুণাবলী

আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলো ৩ হাজার পরিবারের মাঝে। প্রত্যেকটি প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল এবং ৩ কেজি আটা। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়। এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি তপন চন্দ্র সূত্রধর, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা শমসাদ বেগম।

অন্যান্যদের মাধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুলতানা মরিয়ম। বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আব্দুল্লাহ, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, বসুন্ধরা গ্রুপের বিজিএম মাইমুন কবির, বসুন্ধরা গ্রুপের উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার মো. জামাল উদ্দীন, মো. আনোয়ার হোসেন আনোয়ার, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ মানবসেবায় অনেক এগিয়ে, যার বাস্তবচিত্র আমি আমার সামনে দেখেছি। এই মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র লোকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সবচেয়ে বড় মানবিক গুণাবলী। পত্র-পত্রিকা পড়ে দেখতে পাই বাঞ্ছারামপুরের মতো সারা বাংলাদেশে বসুন্ধরা এই খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের কল্যাণ কামনা করছি এবং পাশাপাশি এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করছি। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম উপস্থিত কর্মহীন ব্যক্তিবর্গের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কালের কণ্ঠর প্রতিনিধি ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার।

জানতে চাইলে সুবিধাভোগী রহিছা বেগম (৬৫) খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পেয়ে আনন্দে বলে, এত বড় খাবারের বস্তা আমারে আর কেউ দেয় না। আমি হগলের লাগি দোয়া করি। খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন দিলবরের নেছা (৫০)। তার হাত ভেঙে গেছে। বলেন, হাত ভাইঙ্গা না খাইয়া চলতাছি। বসুন্ধরা অনেকটি খাবার দিছে। আল্লাহ যেন সবাইরে ভালা রাখে।

দিনমজুর রব্বান মিয়া (৭০) বলেন, করোনার সময় কেউর কাছে টেহা হাওলাত চাইলেও দেয় না। খাইয়া না খাইয়া আছি। কেহ দেহে ও না। বসুন্ধরা আমরারে খাবার দিছে। বসুন্ধরার হগলের লাগি দুই হাত তুইল্লা আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর



রমজানে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজানে সিএনজি স্টেশনগুলো এক ঘণ্টা বেশি খোলা রেখে নতুন সময় পুনর্নিধারণ করেছে সরকার। পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ৭-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে স্টেশনগুলো।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রমজানে সিএনজি স্টেশনগুলো এক ঘণ্টা বেশি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফলে নতুন আদেশ অনুযায়ী ১২মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন। যা আগে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল।

এছাড়া, ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলোকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে প্রথম রমজান থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত পরিবর্তন করে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

এছাড়া ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭-১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৯ এপ্রিল থেকে আগের সময়সূীচিতে (বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা হবে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে চিনিকলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় চিনিকলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। কারখানার গুদামে আগুন আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জ্বলতে দেখা গেছে। তবে আগুন গুদাম থেকে ছড়ায়নি।

গতকাল সোমবার বিকেল চারটার দিকে এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির কারখানার গুদামে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আজ সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এরপর পর্যায়ক্রমে নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীও যোগ দেয় আগুন নেভানোর কাজে। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কর্ণফুলী নদীর পাড়ের ইছানগর এলাকায়। আগুন লাগার সময় কারখানাটি চালু ছিল। সেখানে প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। আগুন লাগার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, সেখানে মোট ৫টি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, গুদামে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক গতকাল বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। পরে যোগ দেয় নৌবাহিনীর একটি দলও। রাত নয়টার দিকে যুক্ত সেনাবাহিনীর একটি দলও।

ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে কর্ণফুলী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে সরাসরি পানি ছিটাচ্ছে।

সরেজমিনে এবং কারখানা সূত্র জানায়, সুগার মিলের পাশে একটি গুদামে প্রথমে আগুন লাগে। চিনি পুড়ে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে।

এর আগে গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় এস আলম গ্রুপের আরেকটি নির্মাণাধীন গুদামে আগুন লেগেছিল। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


আরও খবর



যে পুরুষের প্রেমে মরিয়া ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। যার রূপ-গুনে মুগ্ধ ছিলেন হাজারো তরুণ-যুবক। কিন্তু এই অভিনেত্রী কি না একজনের প্রেমে মরিয়া ছিলেন। কে সেই পুরুষ?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ছোটবেলা থেকেই রূপে-গুনে এগিয়ে ছিলেন ঐশ্বরিয়া। সৌন্দর্যের পাশাপাশি দারুণ মেধাবীও ছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময়েও তার মেধার ছাপ ছিল সকল ক্ষেত্রে। যে কারণে এক শিক্ষিকার পরামর্শ শুনে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। এরপরই জীবন পাল্টে যায় তার।

বিশ্বসুন্দরী হওয়ার আগেই অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া। তার মন জেতার জন্য রীতিমতো লড়াই করতেন পুরুষেরা। তবে অভিনেত্রী নাকি একজনকে বেশ পছন্দ করতেন। যার জন্য তাকে অন্তর্জালে লড়াই করতে হত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার সঙ্গে! কে ছিলেন সেই পুরুষ, যার মন পাওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছিল এই দুই সুন্দরীর মাঝে?

সেই ব্যক্তির নাম রাজীব মুলচান্দানি। ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের শুরুতে তার সঙ্গেই প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। রাজীব ছিলেন সে সময়ের বেশ নামকরা ফটোগ্রাফার। যিনি ঐশ্বরিয়ার একাধিক ফটোশুট করেছেন। তখনই নাকি রাজীবকে মনে ধরে নায়িকার।

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জেতার আগের ঘটনা। রাজীবকে নিয়ে সেসময় রীতিমতো টানাটানি চলত অভিনেত্রীদের মাঝে। বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার সঙ্গেও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাজীব। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার মেলামেশা বেড়ে যাওয়াকে ভালোভাবে নেননি তিনি। দুই সুন্দরীর মধ্যে তৈরি হয় বিবাদ।

এসবই পুরোনো ঘটনা। এরপর ঐশ্বরিয়াও ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হন। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা ভানসালীর হাম দিল দে চুকে সানাম সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে সালমান খানের প্রেমে পড়েন এই নায়িকা। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে কাছাকাছি চলে আসেন দুজন। প্রায় দুই বছরের মতো সম্পর্ক ছিল দুজনের।

কিন্তু একটা সময় সালমানের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসেন ঐশ্বরিয়া। এর কয়েক বছর পর অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন নায়িকা। বর্তমানে এই অভিনেতার সঙ্গেই তার সুখের সংসার।

নিউজ ট্যাগ: ঐশ্বরিয়া রাই

আরও খবর



২ হাজার কোটি টাকা পাচার : ঢাকা টাইমসের সম্পাদক কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ঢাকা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আরিফুর রহমান ওরফে দোলন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। আজ (মঙ্গলবার) মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ এপ্রিল মামলার চার্জশিট গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে গত ২২ জুন এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি দেখতে পাওয়ায় আদালত স্বঃপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। রুবেল-বরকত ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন, নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেশ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো. নাছিম, মো. জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো. আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাব বোস, চৌধুরী মো. হাসান, মো. জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মন্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুনুম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল,  অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত,  আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো. মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো. আব্দুল জলিল শেখ, মো. রফিক মন্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।

উল্লেখ্য, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।


আরও খবর



নায়িকা বানানোর টোপ দিয়ে অঙ্কিতাকে কুপ্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

একতা কাপুরের পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। এর পর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইতিমধ্যেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকেও কাস্টিং কাউচের নোংরামি’র শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

হাটারফ্লাই নামের এক সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অঙ্কিতা জানান, এক দক্ষিণী সিনেমায় নায়িকা হওয়ার অফার তার কাছে এসেছিল। সিনেমার জন্য অডিশন দেওয়ার পর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার পর মিটিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো চুক্তিপত্র সই করার জন্য তাকে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী। এমনকি মাকে ফোন করে এই সুখবরও দিয়েছিলেন তিনি। পরে মনে আনন্দ নিয়েই প্রযোজনা সংস্থার বলা জায়গায় গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেখানে একটি ঘরে তাকে ডাকা হয়। কোর্ডিনেটরকে বলা হয় বাইরে দাঁড়াতে।

তোমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে’, প্রথমে এই কথাই বলা হয়েছিল অঙ্কিতাকে। বিপদ আঁচ করতে পারছিলেন অভিনেত্রী। তাও সরাসরি প্রশ্নকর্তার উদ্দেশ্য বুঝতে চাইছিলেন। কী ধরনের কম্প্রোমাইজের কথা বলা হচ্ছে, জানতে চান নায়িকা। তাতেই বলা হয়, তোমায় প্রযোজকের সঙ্গে শুতে হবে।’

এই কথা শুনে চমকে যান অঙ্কিতা। কিন্তু সাহস হারাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্য এই ধরনের নোংরামি’ তিনি করবেন না। সেই অভিজ্ঞতার জন্যই ছোটপর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের সেটেই অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্ত সিনেমায় ব্রেক পাওয়ার কিছুদিন পরই তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। পরে ভিকি জৈনকে বিয়ে করেন অঙ্কিতা। তার সঙ্গেই সম্প্রতি বিগ বস’ শোয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শোয়ে জয়ী হন মুনওয়ার ফারুকি। অঙ্কিতা ছিলেন তৃতীয় রানার আপ।


আরও খবর